কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের গান্ধিমূর্তির পাদদেশে অবস্থান-বিক্ষোভের 1000 দিন পূর্ণ হল শনিবার । তাদের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে আজ নাগরিক মিছিলের ডাক দেয় রাজ্য বামফ্রন্ট । দুপুর 2টোর সময় ধর্মতলার লেলিন মূর্তির পাদদেশ থেকে গান্ধিমূর্তি পর্যন্ত মিছিল পৌঁছয় । তারপর বিমান বসু চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে । এই সরকার কানেও শুনতে পায় না, চোখেও দেখতে পায় না । হাজার দিন হয়ে গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসতে পারলেন না । শিক্ষামন্ত্রীও আসতে পারলেন না ।"
বামফ্রন্ট নেতাদের অভিযোগ, হাজার দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান গোটা সমাজের লজ্জা । বাংলা মানুষের লজ্জা । শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার মধ্যেও পরিবার পরিজন ছেড়ে 1000 দিন রাস্তায় ধরনা দিতে হচ্ছে যোগ্যদের । উৎসবে তাঁরা নিকটাত্মীয়, কোলের শিশুসন্তানকে রেখে রাস্তায় বসে রয়েছেন । আর খেলা মেলায় মেতে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল ।
স্কুলগুলোতে শূন্য পদের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দেওয়া তথ্য নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন অনেক নেতা । বিমান বসু বলেন, "শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শূন্যপদ বলেছেন 781 । সর্বৈব অসত্য । পরে আবার বলছেন 50 হাজার । বিধানসভায় বলেছিলেন 2.5 লক্ষ তো হবেই । এলোমেলো করে দিতে চায় সরকার । আসলে চাকরি না দেওয়ার বাহানা ।"
বামফ্রন্ট আমলের শিক্ষা ব্যবস্থার উদাহরণ টেনে বিমান বসু আরও বলেন, "আগে বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চশিক্ষা দফতর-সহ স্কুল, প্রাথমিক, একাধিক মন্ত্রী থাকতো । যাতে একজনের উপর চাপ না পড়ে আলাদা আলাদাভাবে প্রত্যেকের নির্দিষ্ট বিষয় ভালোভাবে কাজ করতে পারে । এখন একজন শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়ে সব গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে ।’’
অন্যদিকে, আজ মাথা মুড়িয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ‘‘অবস্থানের 1000 দিন পূর্ণ হচ্ছে । আমাদের আন্দোলনের সমর্থনে অনেক রাজনৈতিক দল পথে নেমেছে৷ সংহতি জানিয়েছে । আমরা সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানায়নি বা তাদের সঙ্গে যায়নি । কিন্তু শাসক দলের কোনও নেতা-মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা বললেন না ৷ আমাদের দাবি তো পূরণ করলেন না । আর কী করলে সরকার তবে চাকরি দেবে ? মারা গেলে তো চাকরি হয়, তাহলে কি আমরা আত্মহত্যা করব ?"
আরও পড়ুন: