কলকাতা, 24 অগাস্ট : বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট আদৌ কি হবে, প্রশ্ন কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের অভ্যন্তরে । সদ্য প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল বাম-কংগ্রেস ঐক্য । ধাক্কা খেয়েছে যৌথ আন্দোলন । লকডাউনের নজিরবিহীন পরিস্থিতিতেও একাধিকবার কোরোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ সরঞ্জাম নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ।
সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর দুই দলের যৌথভাবে পথে নামা কতটা আন্তরিক হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে । ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছে না বামফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বেঁচে থাকতেই একাধিক শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব দলকে সাংগঠনিকভাবে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য একক লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন । মুর্শিদাবাদের লালগোলার কংগ্রেস বিধায়ক আবু হেনা, মালদার মালতিপুরের আলবিরুনি জুলকারনাইন, ফিরোজা বেগম , নেপাল মাহাতো, মইনুল হক, মিল্টন রসিদ-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের একা চলার মনোভাব স্পষ্ট ।
সব কিছু জেনেই, এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সোমেন মিত্র বামফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্যমত গড়তে প্রস্তুত ছিলেন । পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাত বাম বিরোধী অর্থাৎ জোটের বিরোধিতা করেছেন । এককভাবে কংগ্রেসকে লড়াইয়ের ময়দানে প্রস্তুত করতে চান তাঁরা । নেপাল মাহাত জানান, এককভাবে লড়াই করলে কংগ্রেসের ফল আশানুরূপ হবে । বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট বাঁধলে কংগ্রেসের ভোটও ভাগ হয়ে তৃণমূল এবং BJP-র দিকে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কংগ্রেস নেতাদের অনেকেই ।