ETV Bharat / state

Panchayat Board Formation: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে লাল-গেরুয়া আবির একাকার ! প্রশ্নের মুখে 'ইন্ডিয়া'র ভবিষ্যৎ - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Left-Right Alliance In Rural Bengal: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বিজেন্ডিয়া' তত্ত্বেরই বাস্তবতার হদিশ মিলল ৷ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলকে হঠাতে মিলেমিশে এলাকার হল লাল ও গেরুয়া আবির ৷ এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ৷

Panchayat Board Formation
বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোট
author img

By

Published : Aug 10, 2023, 7:20 PM IST

কলকাতা, 10 অগস্ট: বাংলায় বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির সখ্যতা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের বোর্ড গঠনে তারই বাস্তবতা লক্ষ্য করা গেল। জেলায় জেলায় তৃণমূলকে আটকাতে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোট বেঁধেছে । কোথাও গেরুয়া আবিরের সঙ্গে উড়েছে লাল আবির । আবার কোথাও লাল আবিরের সঙ্গে মিলে গিয়েছে গেরুয়া আবির । আর এ কারণেই জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন । বিশেষ করে এ বাংলায় । যদিও এ রাজ্যের বাম-কংগ্রেসের বক্তব্য, এই প্রশ্নের কোনও মানে হয় না । কারণ, এ রাজ্যে তাদের বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী অবস্থান পরিষ্কার ।

মমতার 'বিজেন্ডিয়া' তকমাতেই সিলমোহর ! এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে আটকাতে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ প্রতিরোধের খবর সামনে এসেছে । পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনেও কার্যত একই চিত্র । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বিজেন্ডিয়া' তকমাতেই যেন সিলমোহর পড়ছে । রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম । কমবেশি একই চিত্র । এমনকী সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম ও আইএসএফ জোটবদ্ধ হয়েছে কোথাও কোথাও । 'রাম-বাম-শ্যাম' মিলেমিশে একাকার !

বুধবারই ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ করেছিলেন ৷ তিনি বলেন, "এখন রাম-বাম, জগাই-মাধাই-গদাই ৷ অর্থাৎ এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এক হয়ে গিয়েছে । সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় ওখানে ন্যাশনাল পার্টিতে ইন্ডিয়া । আর এখানে বিজেন্ডিয়া । বিজেপির সঙ্গে বসে আছে । লজ্জাও করে না । মানুষের একটা নীতি থাকে । সেই নীতিটা মেনে চলতে হয় ।"

জাতীয় বিরোধিতার উলটো ছবি রাজ্যে: মমতার এই কথাই অক্ষরে অক্ষরে ফলতে দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন অংশের পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে ৷ জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টায় যেখানে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল সব এক সারিতে বসেছে, সেখানে রাজ্যের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ধরা পড়ল অন্য ছবি ৷ বঙ্গে ঠিক উলটো পথে হেঁটে অনেক জায়গাতেই তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এককাট্টা হয়েছে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি ৷

Panchayat Board Formation
লাল-গেরুয়া আবির একাকার

সিপিএম-বিজেপি জোট: উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়া 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি । গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী প্রফুল্ল রায় । উপপ্রধান অবশ্য বিজেপি থেকেই হয়েছেন, শম্পা রায় । অথচ, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে সাঁকোয়াঝোড়া 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ছিল । এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা 19 । যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে 9টি আসন, বিজেপি পেয়েছে 9টি আসন, বাকি একটি আসন সিপিআইএমের দখলে ছিল ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে রণক্ষেত্র গাজোল, আক্রান্ত পুলিশ

নগর বেরুবাড়ি 1 গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন 17 ৷ আটটি পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস । 6টি বিজেপি ও 3টি সিপিএম পেয়েছিল । সেখানে বিজেপি আর সিপিআইএম মিলে বোর্ড গঠন করে । প্রধান হয় সিপিআইএম-এর । উপপ্রধান বিজেপির ।

একজোট রাম-বাম: মালদার গাজোল ব্লকের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ও মানিকচক ব্লকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই ছবি সামনে এসেছে । আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 29টি আসন ৷ বিজেপি 12, তৃণমূল 10, কংগ্রেস 4, সিপিআইএম 2 ও বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থিত নির্দল একটি আসনে জেতে ৷ নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন 14টি ৷ বিজেপি 7, সিপিআইএম 3 ও তৃণমূল 4টি আসনে জয় পেয়েছে ৷ সেখানেও রাম-বাম এক হয়েছে ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর এক নম্বর ব্লকের গুড়গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন 25 টি ৷ তৃণমূল পেয়েছে 12টি আসন । বিজেপি পেয়েছে 11টি আসন । বাকি একটি করে আসন সিপিএম ও কংগ্রেস পায় । সিপিএম থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন ভুঁইয়া তৃণমূলকে সমর্থন করেন । যার ফলে 13টি আসন নিয়ে গুড়গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল । তৃণমূলের তরফ থেকে প্রধান হলেন রিন্টু রানা, উপপ্রধান হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্বগতা দোলাই ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিল তৃণমূল । মোট আসন সংখ্যা 25 । তৃণমূল পেয়েছে 12টি । বিজেপি পেয়েছে 12টি । একটি আসন পেয়েছিল সিপিআই । ভোটের দিন দেখা গেল সিপিআই-এর একজন প্রার্থী অনুপ মাইতি তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন । তৃণমূলকে সমর্থন করেই অনুপ মাইতি হলেন উপপ্রধান এবং তৃণমূলের প্রধান হয়েছেন সুস্মিতা দাস ।

নদিয়ায় বাম-বিজেপি সমঝোতা: নদিয়ার ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, সাধন পাড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বামফ্রন্ট এবং বিজেপি জোটবদ্ধ হয়ে বোর্ড গঠন করেছে । মুর্শিদাবাদের সোমপায়া-2- বিরোধী জোট, রানিনগর- বিরোধী জোট, ঘোষপাড়া - বিরোধী জোট, কাবিলপুর - বিরোধী জোট, সাঁটুই - বিজেপি, নওদা রায়পুর - বিরোধী জোট, খড়গ্রাম ব্লকের ইন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েত জোটের দখলে গিয়েছে । বাকিগুলি পেয়েছে তৃণমূল । ভরতপুর 2নং ব্লকের 7টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সালার টিয়া অঞ্চল বিজেপির দখলে । বাকিগুলো তৃণমূলের ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হাওড়ায়

বীরভূমের রামপুর, দেরিয়াপুর, কড়িধ্যা, আঙারগড়িয়ায় বিজেপি পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করল । বীরভূমের লোকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠন করল ।

প্রশ্নের মুখে 'ইন্ডিয়া' জোটের ভবিষ্যৎ: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ধারাবাহিকভাবে বোর্ড গঠনের চিত্র সামনে আসতেই কোথাও রামধনু জোট কোথাও বা রাম-রাম-শ্যাম জোট ধরা পড়ছে । ফলে সার্বিকভাবে বঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের 'ইন্ডিয়া' জোটের অংক কিছুতেই মিলছে না । ফলে সার্বিকভাবে বিজেপি বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই ।

যা বললেন সুজন: যদিও সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, "এ রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্যের সঙ্গে সিপিএম আছে, ছিল, থাকবে । যে দু-একটি জায়গায় বিজেপির সঙ্গে বামেদের সখ্যতা দেখা গিয়েছে, সে সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকার নির্বাচিত সিপিএম জয়ী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।"

কলকাতা, 10 অগস্ট: বাংলায় বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির সখ্যতা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের বোর্ড গঠনে তারই বাস্তবতা লক্ষ্য করা গেল। জেলায় জেলায় তৃণমূলকে আটকাতে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোট বেঁধেছে । কোথাও গেরুয়া আবিরের সঙ্গে উড়েছে লাল আবির । আবার কোথাও লাল আবিরের সঙ্গে মিলে গিয়েছে গেরুয়া আবির । আর এ কারণেই জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন । বিশেষ করে এ বাংলায় । যদিও এ রাজ্যের বাম-কংগ্রেসের বক্তব্য, এই প্রশ্নের কোনও মানে হয় না । কারণ, এ রাজ্যে তাদের বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী অবস্থান পরিষ্কার ।

মমতার 'বিজেন্ডিয়া' তকমাতেই সিলমোহর ! এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে আটকাতে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ প্রতিরোধের খবর সামনে এসেছে । পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনেও কার্যত একই চিত্র । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বিজেন্ডিয়া' তকমাতেই যেন সিলমোহর পড়ছে । রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম । কমবেশি একই চিত্র । এমনকী সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম ও আইএসএফ জোটবদ্ধ হয়েছে কোথাও কোথাও । 'রাম-বাম-শ্যাম' মিলেমিশে একাকার !

বুধবারই ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ করেছিলেন ৷ তিনি বলেন, "এখন রাম-বাম, জগাই-মাধাই-গদাই ৷ অর্থাৎ এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এক হয়ে গিয়েছে । সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় ওখানে ন্যাশনাল পার্টিতে ইন্ডিয়া । আর এখানে বিজেন্ডিয়া । বিজেপির সঙ্গে বসে আছে । লজ্জাও করে না । মানুষের একটা নীতি থাকে । সেই নীতিটা মেনে চলতে হয় ।"

জাতীয় বিরোধিতার উলটো ছবি রাজ্যে: মমতার এই কথাই অক্ষরে অক্ষরে ফলতে দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন অংশের পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে ৷ জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টায় যেখানে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল সব এক সারিতে বসেছে, সেখানে রাজ্যের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ধরা পড়ল অন্য ছবি ৷ বঙ্গে ঠিক উলটো পথে হেঁটে অনেক জায়গাতেই তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এককাট্টা হয়েছে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি ৷

Panchayat Board Formation
লাল-গেরুয়া আবির একাকার

সিপিএম-বিজেপি জোট: উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়া 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি । গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী প্রফুল্ল রায় । উপপ্রধান অবশ্য বিজেপি থেকেই হয়েছেন, শম্পা রায় । অথচ, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে সাঁকোয়াঝোড়া 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ছিল । এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা 19 । যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে 9টি আসন, বিজেপি পেয়েছে 9টি আসন, বাকি একটি আসন সিপিআইএমের দখলে ছিল ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে রণক্ষেত্র গাজোল, আক্রান্ত পুলিশ

নগর বেরুবাড়ি 1 গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন 17 ৷ আটটি পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস । 6টি বিজেপি ও 3টি সিপিএম পেয়েছিল । সেখানে বিজেপি আর সিপিআইএম মিলে বোর্ড গঠন করে । প্রধান হয় সিপিআইএম-এর । উপপ্রধান বিজেপির ।

একজোট রাম-বাম: মালদার গাজোল ব্লকের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ও মানিকচক ব্লকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই ছবি সামনে এসেছে । আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 29টি আসন ৷ বিজেপি 12, তৃণমূল 10, কংগ্রেস 4, সিপিআইএম 2 ও বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থিত নির্দল একটি আসনে জেতে ৷ নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন 14টি ৷ বিজেপি 7, সিপিআইএম 3 ও তৃণমূল 4টি আসনে জয় পেয়েছে ৷ সেখানেও রাম-বাম এক হয়েছে ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর এক নম্বর ব্লকের গুড়গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন 25 টি ৷ তৃণমূল পেয়েছে 12টি আসন । বিজেপি পেয়েছে 11টি আসন । বাকি একটি করে আসন সিপিএম ও কংগ্রেস পায় । সিপিএম থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন ভুঁইয়া তৃণমূলকে সমর্থন করেন । যার ফলে 13টি আসন নিয়ে গুড়গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল । তৃণমূলের তরফ থেকে প্রধান হলেন রিন্টু রানা, উপপ্রধান হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্বগতা দোলাই ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিল তৃণমূল । মোট আসন সংখ্যা 25 । তৃণমূল পেয়েছে 12টি । বিজেপি পেয়েছে 12টি । একটি আসন পেয়েছিল সিপিআই । ভোটের দিন দেখা গেল সিপিআই-এর একজন প্রার্থী অনুপ মাইতি তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন । তৃণমূলকে সমর্থন করেই অনুপ মাইতি হলেন উপপ্রধান এবং তৃণমূলের প্রধান হয়েছেন সুস্মিতা দাস ।

নদিয়ায় বাম-বিজেপি সমঝোতা: নদিয়ার ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, সাধন পাড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বামফ্রন্ট এবং বিজেপি জোটবদ্ধ হয়ে বোর্ড গঠন করেছে । মুর্শিদাবাদের সোমপায়া-2- বিরোধী জোট, রানিনগর- বিরোধী জোট, ঘোষপাড়া - বিরোধী জোট, কাবিলপুর - বিরোধী জোট, সাঁটুই - বিজেপি, নওদা রায়পুর - বিরোধী জোট, খড়গ্রাম ব্লকের ইন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েত জোটের দখলে গিয়েছে । বাকিগুলি পেয়েছে তৃণমূল । ভরতপুর 2নং ব্লকের 7টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সালার টিয়া অঞ্চল বিজেপির দখলে । বাকিগুলো তৃণমূলের ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হাওড়ায়

বীরভূমের রামপুর, দেরিয়াপুর, কড়িধ্যা, আঙারগড়িয়ায় বিজেপি পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করল । বীরভূমের লোকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠন করল ।

প্রশ্নের মুখে 'ইন্ডিয়া' জোটের ভবিষ্যৎ: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ধারাবাহিকভাবে বোর্ড গঠনের চিত্র সামনে আসতেই কোথাও রামধনু জোট কোথাও বা রাম-রাম-শ্যাম জোট ধরা পড়ছে । ফলে সার্বিকভাবে বঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের 'ইন্ডিয়া' জোটের অংক কিছুতেই মিলছে না । ফলে সার্বিকভাবে বিজেপি বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই ।

যা বললেন সুজন: যদিও সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, "এ রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্যের সঙ্গে সিপিএম আছে, ছিল, থাকবে । যে দু-একটি জায়গায় বিজেপির সঙ্গে বামেদের সখ্যতা দেখা গিয়েছে, সে সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকার নির্বাচিত সিপিএম জয়ী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.