কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি আন্দোলনে নেমেছেনে কলকাতা হাইকোর্টে কর্মচারীরা ৷ হাইকোর্টের ল'ক্লার্ক থেকে শুরু করে উচ্চ আধিকারিকেরা ৷ ফলে সমস্যায় পড়েছেন আইনজীবী থেকে সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা ৷ এই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা ৷ একই সঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণাভ ঘোষও এদিন প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন ৷
বৃহস্পতিবার আদালতের কর্মদিবসের দ্বিতীয়ার্ধে বিভিন্ন স্তরের কয়েকশো ল'ক্লার্ক প্রধান বিচারপতির এজলাসে উপস্থিত হন ৷ নানা আইনি জটিলতায় গত চারদিন ধরে মামলা ফাইল করা যাচ্ছে না বলে জানানো হয় ৷ অরুণাভ ঘোষ, শ্রীজীব চক্রবর্তীর মতো আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, কোর্ট ফি পাওয়া যাচ্ছে না ৷ কর্মীর অভাবেও কমিশনারের অফিসে মামলা ফাইল করা যাচ্ছে না ৷
চার দিন মামলার শুনানি না-হওয়ায় তা পাহাড়ের আকার নিয়েছে ৷ একটা মামলা ফাইল করতে দু-তিন দিন সময় লাগছে ৷ এখন নোটারি করে মামলা ফাইলের সুবিধে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে মামলা ফাইলের গতি আরও কমেছে ৷ প্রধান বিচারপতি সবার বক্তব্য শোনার পর জানান, সমস্যাগুলো আগেও কিছু কিছু শুনেছি ৷ সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে আমরা বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি ৷
আরও পড়ুন: ডিএ ইস্যুতে কর্মবিরতিতে সামিল হাইকোর্টের কর্মচারীরা, ব্যাহত বিচার প্রক্রিয়া
উল্লেখ্য চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে গোটা রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছে ৷ 20-21 ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মচারীরা কর্মবিরতির ডাক দেয় ৷ এই দু'দিন অনেকে সরকারি অফিসে গেলেও নিজেদের দফতরে যাননি, কেউ বা হাজির হলেও কাজে অংশগ্রহণ করেননি ৷ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হাইকোর্টের কর্মীরাও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ৷ মঙ্গলবার হাইকোর্টে দিনভর কর্মবিরতি পালন করে হাইকোর্টের কর্মচারীরা ৷ তারপর থেকে প্রতিদিন আদালতের দ্বিতীয়ার্ধে কোর্ট অফিসার, স্টেনোগ্রাফাররা এজলাসে হাজির হচ্ছেন না ৷ ফলে মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে যাচ্ছে ৷ কারণ, রায় লিপিবদ্ধ করা লোক নেই ৷ কর্মচারীদের পক্ষে ইঙ্গিত, প্রধান বিচারপতি আশ্বাস দিলেও লাগাতার আন্দোলন চলবে ৷