কলকাতা, 9 জুলাই : লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের DD বিল্ডিং পড়েছিল মহা চিন্তায়। বিভিন্ন সেকশনের একাধিক অফিসার এবং কর্মীর কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । গতকাল লালবাজার কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। গত দু'দিনে তিনজন কোরোনামুক্ত হলেন। গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অ্যান্টি রাউডি সেকশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর রাজু দে। তাঁকে বরণ করে নেন সিনিয়র পুলিশ অফিসাররা।
শুধুমাত্র থানা, ট্র্যাফিক গার্ড, বডিগার্ড লাইন কিংবা পুলিশ ট্রেনিং স্কুল নয়। কোরোনা থাবা বসিয়ে ছিল একেবারে লালবাজারের অন্দরমহলে। আক্রান্ত হয়েছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার। কিন্তু, সুস্থ হলেন তিনি। এই খবরে অনেকটাই স্বস্তিতে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, গতমাসে অসুস্থ বোধ করেন অ্যান্টি রাউডি বিভাগের অফিসার রাজু দে। তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল KPC হাসপাতলে। কোরোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তাঁর শরীরে। সেই সূত্রে লালবাজারের তরফে তাঁকে হোম আইসোলেশন করে দেওয়া হয়। পরে সোয়াবের নমুনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় । কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয় লালবাজারের DD বিল্ডিংয়ের বেশ কয়েকজন অফিসার এবং কর্মীকে। অবশেষে কোরোনার সঙ্গে লাড়াইয়ে জয়ী হলেন তিনি। গতকাল তাঁকে ফুল, কডরতালিতে দিয়ে বরণ করে নেন গোয়েন্দা বিভাগের অন্যান্য অফিসাররা।
এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের কর্মী ও আধিকারিক মিলিয়ে প্রায় 350 জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের ৷ সুস্থ হয়েছেন চার OCসহ অধিকাংশ পুলিশকর্মী।
লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশে কর্মরত সক্রিয় কোরোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা 100-র কাছাকাছি। দিনকয়েক আগেই সুস্থ হয়েছেন প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে 37 জন কর্মরত রয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স, ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট, আর্মড পুলিশে। শহরের বিভিন্ন কোরোনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁদের। পাশাপাশি গড়ফা থানায় কর্মরত মোট 16 জন পুলিশকর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হন। কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত থানাগুলির মধ্যে গড়ফা থানায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। যার জেরে বিক্ষোভ দেখানো হয় থানার সামনে। তবে, অতিরিক্ত পুলিশ OC, ASI, SI, কনস্টেবলসহ মোট 16 জন পুলিশকর্মীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সেই সঙ্গে DD বিল্ডিং-র মোট পাঁচজন অফিসার এবং কর্মী কোরোনামুক্ত।