ETV Bharat / state

যাদবপুরে ATM জালিয়াতিতে রোমানিয়ার গ্যাংকেই সন্দেহ পুলিশের

author img

By

Published : Dec 2, 2019, 9:51 PM IST

Updated : Dec 2, 2019, 11:15 PM IST

যাদবপুর থানায় 22 টি ATM জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয় । প্রতিটি ক্ষেত্রে 10 থেকে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে খবর । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ । জানতে পারে, এই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে । শুধু তাই নয়, চলতি বছরের এপ্রিলে যাদবপুরের যে দুটি ATM-এ স্কিমার পাওয়া গিয়েছিল, প্রতারিতদের অনেকেই সেই ATM ব্যবহার করেছে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা ।

Symbolic Image
ছবিটি প্রতীকী

কলকাতা, 2 ডিসেম্বর : বছর খানেক আগে রোমানিয়ান গ্যাং-এর সদস্যদের জন্য কলকাতায় ATM জালিয়াতির আতঙ্ক ছড়িয়েছিল । এবার যাদবপুরে ATM জালিয়াতির পিছনেও সেই গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা । ইতিমধ্যে সেই সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্যও পেয়েছে কলকাতা পুলিশ ।

আজ যাদবপুর থানায় 22 টি ATM জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয় । প্রতিটি ক্ষেত্রে 10 থেকে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে খবর । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ । জানতে পারে, এই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে । শুধু তাই নয়, চলতি বছরের এপ্রিলে যাদবপুরের যে দুটি ATM-এ স্কিমার পাওয়া গিয়েছিল, প্রতারিতদের অনেকেই সেই ATM ব্যবহার করেছে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা । তাই পুলিশের অনুমান, এপ্রিল মাসে স্কিমারের সাহায্যে ATM কার্ড থেকে চুরি করা তথ্যের ভিত্তিতেই টাকা তুলছে প্রতারকরা ।

কিন্তু এই ATM জালিয়াতির পিছনে কারা ?

চলতি বছরের এপ্রিলে ATM জালিয়াতির অভিযোগে দিল্লির মুনিরকা, বসন্তকুঞ্জ এলাকা থেকে রোমানিয়ার তিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ । তারাই ATM জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা । ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল । লালবাজার সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট ATM থেকে CCTV ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ ।

চলতি বছরের এপ্রিলে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রথীশ কুমার সিং হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন । সেই অভিযোগে তিনি জানান, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে 12 এপ্রিলের মধ্যে ব্র্যাবোর্ন রোডের প্রায় 12 টি ATM-এ স্কিমার বসিয়ে গ্রাহকদের তথ্য হাতানো হয়েছে । একটি ATM থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্মীরা স্কিমার উদ্ধার করেছিলেন । সেই সময় ওপিয়ান দারিউ নামে এক রোমানীয় যুবককে প্রথমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । তারপর তার থেকে পুলিশ জানতে পারে পার্কস্ট্রিট, যাদবপুর এলাকাতেও বসানো হয়েছিল স্কিমার । ওপিয়ানকে জেরা করে পাপুয়া রবার্ট জর্জ এবং মারিয়ানু এলিয়েন নামে দু'জনকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

লালবাজার সূত্রের খবর, ওপিয়ান সেই সময় অ্যাড্রিয়ান লুপু নামে আরও এক যুবকের কথা জানিয়েছিল পুলিশকে । কিন্তু তাকে ধরতে সমর্থ হয়নি গোয়েন্দারা । তাই এবারে ATM জালিয়াতির ঘটনায় ওই অ্যাড্রিয়ান জড়িত রয়েছে বলে তদন্তকারীদের ধারণা । তাদের অনুমান, অ্যাড্রিয়ান নিজে এই কাজ করেছে অথবা সে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে কার্ডের তথ্য বেচে দিয়েছে । সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অন্য কোনও প্রতারক গ‍্যাং নেমেছে ATM জালিয়াতিতে ।

কলকাতা, 2 ডিসেম্বর : বছর খানেক আগে রোমানিয়ান গ্যাং-এর সদস্যদের জন্য কলকাতায় ATM জালিয়াতির আতঙ্ক ছড়িয়েছিল । এবার যাদবপুরে ATM জালিয়াতির পিছনেও সেই গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা । ইতিমধ্যে সেই সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্যও পেয়েছে কলকাতা পুলিশ ।

আজ যাদবপুর থানায় 22 টি ATM জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয় । প্রতিটি ক্ষেত্রে 10 থেকে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে খবর । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ । জানতে পারে, এই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে । শুধু তাই নয়, চলতি বছরের এপ্রিলে যাদবপুরের যে দুটি ATM-এ স্কিমার পাওয়া গিয়েছিল, প্রতারিতদের অনেকেই সেই ATM ব্যবহার করেছে বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা । তাই পুলিশের অনুমান, এপ্রিল মাসে স্কিমারের সাহায্যে ATM কার্ড থেকে চুরি করা তথ্যের ভিত্তিতেই টাকা তুলছে প্রতারকরা ।

কিন্তু এই ATM জালিয়াতির পিছনে কারা ?

চলতি বছরের এপ্রিলে ATM জালিয়াতির অভিযোগে দিল্লির মুনিরকা, বসন্তকুঞ্জ এলাকা থেকে রোমানিয়ার তিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ । তারাই ATM জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা । ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল । লালবাজার সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট ATM থেকে CCTV ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ ।

চলতি বছরের এপ্রিলে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রথীশ কুমার সিং হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন । সেই অভিযোগে তিনি জানান, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে 12 এপ্রিলের মধ্যে ব্র্যাবোর্ন রোডের প্রায় 12 টি ATM-এ স্কিমার বসিয়ে গ্রাহকদের তথ্য হাতানো হয়েছে । একটি ATM থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্মীরা স্কিমার উদ্ধার করেছিলেন । সেই সময় ওপিয়ান দারিউ নামে এক রোমানীয় যুবককে প্রথমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । তারপর তার থেকে পুলিশ জানতে পারে পার্কস্ট্রিট, যাদবপুর এলাকাতেও বসানো হয়েছিল স্কিমার । ওপিয়ানকে জেরা করে পাপুয়া রবার্ট জর্জ এবং মারিয়ানু এলিয়েন নামে দু'জনকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

লালবাজার সূত্রের খবর, ওপিয়ান সেই সময় অ্যাড্রিয়ান লুপু নামে আরও এক যুবকের কথা জানিয়েছিল পুলিশকে । কিন্তু তাকে ধরতে সমর্থ হয়নি গোয়েন্দারা । তাই এবারে ATM জালিয়াতির ঘটনায় ওই অ্যাড্রিয়ান জড়িত রয়েছে বলে তদন্তকারীদের ধারণা । তাদের অনুমান, অ্যাড্রিয়ান নিজে এই কাজ করেছে অথবা সে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে কার্ডের তথ্য বেচে দিয়েছে । সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অন্য কোনও প্রতারক গ‍্যাং নেমেছে ATM জালিয়াতিতে ।

Intro:কলকাতা 2 ডিসেম্বর: যাদবপুরে এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে বেশকিছু তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, সাম্প্রতিককালে নয়, স্কিমার বসানো হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে। যাদবপুরে দুটি এটিএমে সেই সময় স্কিমার পেয়েছিল পুলিশ। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, তখনই তথ্য হাতানো হয়েছিল গ্রাহকদের। এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তিন রোমানিয় নাগরিককে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, রোমানীয়রাই এই এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছেছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল। লালবাজার সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট এটিএম থেকে সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ।


Body:পেট কলকাতা শহরে একের পর এক এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এখনো পর্যন্ত যাদবপুর থানায় মোট 22 টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে 10 থেকে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই দেখা যায়, গত এপ্রিল মাসে যাদবপুর এলাকার যে দুটি এটিএমে স্কিমার পাওয়া গিয়েছিল, অনেক প্রতারিত সেই এটিএম ব্যবহার করেছে। সেই সূত্রেই লালবাজারের ধারণা, গত এপ্রিল মাসে চুরি করা তথ্যের ভিত্তিতেই এখন টাকা তুলছে প্রতারকরা।

গত এপ্রিল মাসে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার রথীশ কুমার সিং দায়ের করেন অভিযোগ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে 12 এপ্রিলের মধ্যে ব্রাবোর্ন রোডের প্রায় 12 টি এটিএমে স্কিমার বসিয়ে গ্রাহকদের তথ্য হাতানো হয়েছে। একটি এটিএম থেকে ওই ব্যাংকের কর্মীরা স্কিমার উদ্ধার করেছিলেন। সেই সময় ওপিয়ান দারিউ নামে এক রোমানিয় যুবককে প্রথমে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে পার্কস্ট্রিট, যাদবপুর এলাকাতেও বসানো হয়েছিল স্কিমার। ওপিআনকে জেরা করে পাপুয়া রবার্ট জর্জ এবং মারিয়ানু এলিয়েন নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয় দিল্লি থেকে। লালবাজার সূত্রের খবর ওপিয়ান সেই সময় অ্যাড্রিয়ান লুপু নামে এক যুবকের কথা জানিয়েছিল পুলিশকে। কিন্তু তাকে ধরতে সমর্থ হয়নি গোয়েন্দারা।


Conclusion:লালবাজারের ধারণা, হয়তো অ্যাড্রিয়ান নিজে এই কাজ করছে। অথবা সে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে তথ্য বেচে দিয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অন্য কোন প্রতারক গ‍্যাং নেমেছে অপারেশনে। তবে খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে সে বিষয়ে নিশ্চিত কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
Last Updated : Dec 2, 2019, 11:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.