কলকাতা, 8 নভেম্বর : কালীপুজো শেষ হলেও শহর জুড়়ে শব্দবাজির রমরমা এখনও অব্যাহত । যা থেকে রীতিমতো চিন্তায় লালবাজার । লালবাজারের এক মহলের দাবি, যদি এত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও কালীপুজোয় যদি পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেড়িয়ে যায়, তাহলে ছটপুজোয় কী হবে ?
সোমবার দুপুরে ছটপুজো নিয়ে লালবাজারে বৈঠকে বসেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্র । উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেকটি ডিভিশনের ডিসি । এই বৈঠকে, নাকা চেকিংয়ে বেশি জোর দেওয়ার পাশাপাশি ছটপুজোর দিন প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানানো হয় । এছাড়াও শহরের 25টি ট্রাফিক গার্ডের ওসিদের রাস্তায় থাকতে হবে ।
আরও পড়ুন : Chhath Puja : এবার ছটপুজো, ফের দুদিনের ছুটিতে সরকারি কর্মীরা
উৎসবের মরশুমে শহরে বেআইনি মদ্যপানের আসর ও চোলাই ঠেকে হানা দিয়ে প্রায় 90 লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করেছে লালবাজার । তাছাড়াও কলকাতা পুলিশের বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোন নম্বরে এবং লালবাজারের ডায়াল 100তে শব্দ বাজি ফাটানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে প্রায় 110টিরও কাছাকাছি । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক জানান, খাস কলকাতা যেমন শ্যামবাজার, টালা, মধ্য কলকাতার একাংশ এবং দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গায় পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর । কিন্তু বাজি ফাটানোর অভিযোগ সব থেকে বেশি এসেছে কসবা, তিলজলা, তোপশিয়া,বাঁশদ্রোনী, রিজেন্ট পার্ক, নেতাজি নগর, পাটুলি, যাদবপুর, বেহালা-সহ কলকাতা পুলিশের সংযুক্ত এলাকাগুলি থেকে ।
কলকাতা পুলিশের আইপিএস মহলের একাংশের দাবি, এই যে বিপুল পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে লালবাজার, তা সত্যিই সাফল্যের কথা । কিন্তু সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠে আসছে যে তাহলে কি আগে থেকেই শহরে নিষিদ্ধ বাজি মজুত ছিল ? যদি তাই হয়, তাহলে কি নজরদারিতে ফাঁক ছিল লালবাজারের ?
কোন কোন বাজি ফাটানো যাবে, আর কোনটা নিষিদ্ধ বাজির আওতায় পড়বে তা নিয়ে বাজি শিল্প ও পরিবেশবিদদের আইনি জটিলতার পর অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজিই ফাটানো যাবে । তাও আবার দু'ঘণ্টার জন্যই । কিন্তু বাস্তবে যে উল্টো চিত্র ধরা পড়ল শহর কলকাতায় তা বলাই বাহুল্য । আর তা প্রমাণিত হয় বাজি উদ্ধারের পরিসংখ্যান দেখে ।
আরও পড়ুন : Green Firecrackers: কোন বাজি পরিবেশবান্ধব ? কিউআর কোড স্ক্যান করে বুঝবে লালবাজার