কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এবার পকসো আইনে মামলা রুজু করল লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । যদিও পকসো আইনে মামলা রুজু করতে এত দেরি কেন লাগলো, এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই ছাত্রের জামা খোলা হয়েছিল । পাশাপাশি যখন দেহটি উদ্ধার হয়েছিল, সেসময় তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল ৷ ফলে এবার এই ঘটনায় ধৃত 13 জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারার পাশাপাশি পকসো আইনে মামলা রুজু করল কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা ।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের দেহ । এরপরেই অভিযোগ ওঠে, বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া র্যাগিংয়ের শিকার । উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর । এরইমাঝে ঘটনার তদন্তভার যাদবপুর থানার হাত থেকে চলে যায় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের কাছে ।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় মোট 13 ছাত্রকে গ্রেফতার করে । প্রথম গ্রেফতার হয় সৌরভ চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী । সেই সূত্র ধরেই বাকিদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার মা'কে স্বাস্থ্য ভবনে চাকরি নবান্নের
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে ইসরো ৷ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনাইজ প্রযুক্তি লাগানো সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখছে ইসরো । তার সঙ্গে হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের ডেটাবেস তৈরির জন্য ক্লাউড তৈরি করা সম্ভবনা আছে কি না তাও দেখা হচ্ছে । ফেসিয়াল রেকগনাইজ প্রযুক্তির সাহায্যে বহিরাগতদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে । ক্যাম্পাসের গেটে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স ব্যবহারের পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে ।