কলকাতা, 31 জানুয়ারি: লালন শেখ মৃত্যু মামলায় (Lalan Sheikh Death Case) সিবিআই অফিসারদের ফের সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । আগামী 8 ফেব্রুয়ারি সিবিআই আধিকারিকদেরকে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
জিজ্ঞাসাবাদে সবাই হাজির হননি: মঙ্গলবারের শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী অনির্বান রায় জানান, 28 জানুয়ারি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের । কিন্তু তাঁরা সবাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভিডিয়ো কনফারেন্সের সম্মুখীন হননি । ফের নোটিশ দিতে হবে । দুজন জিজ্ঞাসাবাদে হাজির ছিলেন । তাঁদের সশরীরে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়ারও আর্জি জানান তিনি ।
'স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে এক অফিসার হাজিরা দেননি': অন্যদিকে, সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী জানান, "একজন মাত্র পুলিশ কনস্টেবল হাজির হননি জিজ্ঞাসাবাদে ৷ তাঁর পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি হাজির হতে পারেননি । তাঁর স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা ।" তিনি আরও বলেন, "সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হতে সমস্যা নেই । কিন্তু তাঁদের প্রাণহানির আশংকা রয়েছে ।"
8 ফেব্রুয়ারি সিআইডির মুখোমুখি হতে নির্দেশ: বিচারপতি সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নির্দেশ দেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিবিআইয়ের সমস্ত আধিকারিককে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ।সিআইডি আগেই জানিয়েছে তদন্ত চলাকালীন সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না । ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই সিবিআই আধিকারিকদের আগামী 8 ফেব্রুয়ারি সিআইডির মুখোমুখি হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুতে বরখাস্ত 4
পরবর্তী শুনানি 9 ফেব্রুয়ারি: 9 ফেব্রুয়ারি দুপুর দুটোর সময় ফের এই মামলার শুনানি হবে । কেন্দ্রকেও এই মামলায় পার্টি(যুক্ত) করা হয়েছে । অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকে পরের শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । গত 11 জানুয়ারি সিবিআইয়ের অভিযুক্ত আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুখোমুখি হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । তা সত্ত্বেও সব অফিসার জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি হননি ।
ময়নাতদন্তের ব্যাপারে দ্বিতীয় রিপোর্ট পেশ: পাশাপাশি বিচারপতি লালন শেখ মৃত্যু মামলায় ময়নাতদন্তের ব্যাপারে দ্বিতীয় মতামত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিআইডিকে । এসএসকেএম ও কল্যাণী এইমসে যে ময়নাতদন্ত হয়েছিল, সে ব্যাপারে ফের ডাক্তারদের মতামত নিয়ে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ । সেই রিপোর্ট এ দিন আদালতে জমা পড়েছে ।