কলকাতা, 9 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা যেমন ভিনরাজ্যে আটকে রয়েছেন, তেমনই এখানে আটকে রয়েছেন অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকরা । ভিনরাজ্যে আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের জন্য সেখানকার প্রশাসনের মাধ্যমে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের যেসব শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গে আটকে রয়েছেন, তাঁরা কি একইরকমভাবে সাহায্য পাচ্ছেন ? ব্যারাকপুরে আটকে বিহারের কয়েকজন শ্রমিকের এই রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ এই প্রশ্নটাই তুলছে । তাঁরা ETV ভারতের মাধ্যমে তাঁদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন ।
ব্যারাকপুরের 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার একটি নামি জুতো কারখানায় অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন বিহারের আট বাসিন্দা । একটি ঘরেই কোনওরকমে থাকেন তাঁরা । লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে । রোজগারও বন্ধ । গত মাসে যে টাকা পেয়েছিলেন তাও শেষ । ঘরে অবশিষ্ট নেই রেশনও । স্বস্তির মধ্যে শুধু ওই ঘরটুকু । অন্যান্য জায়গার মতো তাঁদের ঘরছাড়া করেননি বাড়ির মালিক । এই অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা ।
তাঁদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও সহযোগিতা করছে না । তাই গতকাল ETV ভারতের মাধ্যমে তাঁরা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের কাছে আবেদন জানান । বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও সহযোগিতা করছে না । জুতোর কারখানায় কাজ করতে এসেছিলাম । এখন কাজ বন্ধ । হাতে জমানো টাকা-পয়সা শেষ । দয়া করে অবিলম্বে আমাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিন । না হলে না খেতে পেয়ে মারা যাব ।"
জুতোর কারখানার শ্রমিকরা জানান, তাঁরা সাহায্যের জন্য স্থানীয় ঘোলা থানায় গিয়েছিলেন । পরে পুলিশ তাঁদের নাম-ঠিকানা লেখে । ব্যস, তারপর আর কোথায় কী ? কেউ খোঁজও নিতে আসেননি । শ্রমিক বিনয় দাস বলেন, "পুলিশ নাম-ঠিকানা লিখে নিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিল । কিন্তু কোনও সাহায্যই এখনও পর্যন্ত পাইনি ।"