ETV Bharat / state

Laborer Death in Kolkata: পৌরনিগমের রাস্তায় কাজ চলাকালীন মৃত্যু শ্রমিকের, সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন

কলকাতা পৌরনিগমের রাস্তায় কাজের সময় ধসে আটকে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের ৷ এরপরই ফের প্রশ্ন উঠছে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে ৷

Kolkata Municipal Corporation
শ্রমিকের মৃত্যু
author img

By

Published : May 25, 2023, 10:13 AM IST

Updated : May 25, 2023, 5:56 PM IST

শ্রমিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম

কলকাতা, 25 মে: কলকাতা পৌরনিগমের তরফে পার্কসার্কাস এলাকায় একটি স্কুলের অদূরে রাস্তা খুঁড়ে চলছিল জলের পাইপ লাইনের কাজ । কাজ চলাকালীন হঠাৎ রাস্তার নীচের মাটি ও বালি আলগা হয়ে ধস নামে ৷ ধসে চাপা পরে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের । মৃতের নাম সলমন মল্লিক । বয়স 22 বছর ।

ওই শ্রমিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে । কাজ করতে গিয়ে একজন পৌর শ্রমিকের মৃত্যু মর্মান্তিক । কলকাতা কর্পোরেশন তাদের পরিবারের পাশে রয়েছে । কিছু লোক তাদের উসকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে । সেটা ঠিক হয়ে যাবে । আমরা কারও প্রাণ ফেরাতে পারব না । কিন্তু তাদের পরিবারের পাশে থাকব ।"

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সলমন মল্লিকের বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার সন্দেশখালিতে। পার্কসার্কাসের কাছে একটি স্কুলের সামনে বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতা কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল । গর্তে নেমে খোঁড়ার সময় বিপত্তি ঘটে বলে জানা গিয়েছে । সেই সময় আচমকা ধসে চাপা পড়ে যায় ওই শ্রমিক । সঙ্গে থাকা বাকি শ্রমিকরা দ্রুত মাটি সরিয়ে তাঁকে তোলার চেষ্টা করেন । খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশকেও । পরে উদ্ধার দেহ শ্রমিকের নিথর দেহ । উদ্ধার করে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওযা হয় ৷ সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । গর্ত গভীর হওয়া কারণেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে মত চিকিৎসকদের।

এই ঘটনার পরে ফের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ ঠিকাদাররা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করায় ৷ তবে সেই কাজ করার ক্ষেত্রে শ্রমিক সুরক্ষা বজায় রাখা হয় না কেন ? পাশাপাশি পুলিশ ও পৌরনিগমও এই ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে ! আইনেই রয়েছে শ্রমিকদের কাজের সময় সব ধরনের সুরক্ষা দিতে হবে । জ্যাকেট থেকে দড়ি প্রদান করতে হবে । প্রায় 10 ফুটের নীচে বেশ কিছু সময় ওই শ্রমিক চাপা পড়েছিল । তবে সুরক্ষা জ্যাকেট বা মাস্ক থাকলে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হলেও হত বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের ।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে দক্ষিণ কলকাতায় এমনই একটি ঘটনা ঘটে ৷ সোখানে ড্রেনের পাম্পিং স্টেশন তৈরির সময় শ্রমিক কাজে নীচে নামলে দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয় । সেখানেও শ্রমিকদের সুরক্ষা কিছুই ছিল না বলে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ ওঠে । ওই শ্রমিকরা ড্রেনের লাইনে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের জেরে নীচেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন । তারপর যখন তাদের উদ্ধার করা হয় তখন প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয় ।

আরও পড়ুন: তিন কোটি বিনোদন কর বকেয়া নাইটদের! শাহরুখের দলকে নোটিশ ধরাল কেএমসি

শ্রমিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম

কলকাতা, 25 মে: কলকাতা পৌরনিগমের তরফে পার্কসার্কাস এলাকায় একটি স্কুলের অদূরে রাস্তা খুঁড়ে চলছিল জলের পাইপ লাইনের কাজ । কাজ চলাকালীন হঠাৎ রাস্তার নীচের মাটি ও বালি আলগা হয়ে ধস নামে ৷ ধসে চাপা পরে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের । মৃতের নাম সলমন মল্লিক । বয়স 22 বছর ।

ওই শ্রমিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে । কাজ করতে গিয়ে একজন পৌর শ্রমিকের মৃত্যু মর্মান্তিক । কলকাতা কর্পোরেশন তাদের পরিবারের পাশে রয়েছে । কিছু লোক তাদের উসকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে । সেটা ঠিক হয়ে যাবে । আমরা কারও প্রাণ ফেরাতে পারব না । কিন্তু তাদের পরিবারের পাশে থাকব ।"

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সলমন মল্লিকের বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার সন্দেশখালিতে। পার্কসার্কাসের কাছে একটি স্কুলের সামনে বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতা কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল । গর্তে নেমে খোঁড়ার সময় বিপত্তি ঘটে বলে জানা গিয়েছে । সেই সময় আচমকা ধসে চাপা পড়ে যায় ওই শ্রমিক । সঙ্গে থাকা বাকি শ্রমিকরা দ্রুত মাটি সরিয়ে তাঁকে তোলার চেষ্টা করেন । খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশকেও । পরে উদ্ধার দেহ শ্রমিকের নিথর দেহ । উদ্ধার করে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওযা হয় ৷ সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । গর্ত গভীর হওয়া কারণেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে মত চিকিৎসকদের।

এই ঘটনার পরে ফের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ ঠিকাদাররা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করায় ৷ তবে সেই কাজ করার ক্ষেত্রে শ্রমিক সুরক্ষা বজায় রাখা হয় না কেন ? পাশাপাশি পুলিশ ও পৌরনিগমও এই ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে ! আইনেই রয়েছে শ্রমিকদের কাজের সময় সব ধরনের সুরক্ষা দিতে হবে । জ্যাকেট থেকে দড়ি প্রদান করতে হবে । প্রায় 10 ফুটের নীচে বেশ কিছু সময় ওই শ্রমিক চাপা পড়েছিল । তবে সুরক্ষা জ্যাকেট বা মাস্ক থাকলে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হলেও হত বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের ।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে দক্ষিণ কলকাতায় এমনই একটি ঘটনা ঘটে ৷ সোখানে ড্রেনের পাম্পিং স্টেশন তৈরির সময় শ্রমিক কাজে নীচে নামলে দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয় । সেখানেও শ্রমিকদের সুরক্ষা কিছুই ছিল না বলে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ ওঠে । ওই শ্রমিকরা ড্রেনের লাইনে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের জেরে নীচেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন । তারপর যখন তাদের উদ্ধার করা হয় তখন প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয় ।

আরও পড়ুন: তিন কোটি বিনোদন কর বকেয়া নাইটদের! শাহরুখের দলকে নোটিশ ধরাল কেএমসি

Last Updated : May 25, 2023, 5:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.