কলকাতা, 1 জুলাই: "আগামী 11 জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে। তারপর থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে জেলা পরিদর্শনে দেখা গেলে কালো পতাকা দেখানো হবে।" শনিবার এক ভিডিয়ো বার্তায় এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা পর থেকেই আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে গিয়েছে। অথচ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে প্ররোচনা দিতে জেলা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। ভোট সংক্রান্ত হিংসায় যে ক'জন মারা গিয়েছে তাদের মধ্যে তৃণমূল কর্মী বাদে বাকিদের বাড়িতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। এরকম একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সতর্ক হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
এদিন ভিডিয়োতে বার্তায় কুণাল ঘোষ বলেন, "রাজ্যপাল ডক্টর সিপি আনন্দ বোস রাজধর্ম পালন করছেন না। রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করছেন না। তার রাজনৈতিক পর্যটন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রচার ও প্ররোচনা দিতে ব্যবহার করছেন। তৃণমূলের কর্মীদের বিশেষ করে যাদের মেরে দেওয়া হল তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন না রাজ্যপাল। তিনি পুরোদস্তুর বিজেপির ক্যাডার হয়ে রাজনৈতিক প্ররোচনা দিচ্ছেন। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং রামফ্রন্টের চেয়ারম্যান সিভি আনন্দ বোসকে বলব, তৃণমূলের যারা মারা গেল তাদের বাড়িতে যাচ্ছেন না ৷ আপনাকে বলব 11 জুলাই ভোট গণনার পর বাংলার যে জেলাতে আপনি পা রাখবেন সেখানেই কালো পতাকা দেখতে হবে ৷ শুনতে হবে সিভি আনন্দ বোস গো-ব্যাক স্লোগান।"
শুধু রাজ্যপালকে নয়, বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "পূর্ব মেদিনীপুরে গো-হারা হারবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটা বুঝতে পেরে পাগলের মতন আচরণ করছে শুভেন্দু। রাম-বাম-কংগ্রেস এক হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে আদি বিজেপি নব্য বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে নির্দল প্রার্থী হচ্ছে। বিজেপির দুই ভাই সিপিএম আর কংগ্রেস আই হাতে হাত মিলিয়ে রয়েছে। পাগলের মত অবস্থা হচ্ছে ওদের।"
আরও পড়ুন: 'রাজ্যপাল ঘুরে ঘুরে বিরোধীদের উসকানি দিচ্ছেন', টুইটে তোপ কুণালের