ETV Bharat / state

Kunal Ghosh: 'অবসরের পর রাজনীতি করার জমি তৈরি করছেন !' বিচারপতির মন্তব্যের জবাব কুণালের

author img

By

Published : Nov 25, 2022, 8:35 PM IST

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের স্বীকৃতি ও প্রতীক বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ৷ তার পালটা কী বললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ?

Kunal Ghosh reaction on Justice Abhijit Gangopadhyay comment regarding TMC affiliation cancellation
Kunal Ghosh: 'অবসরের পর রাজনীতি করার জমি তৈরি করছেন !" বিচারপতির মন্তব্যের জবাব কুণালের

কলকাতা, 25 নভেম্বর: তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Kalyan Banerjee) পর দলের আর এক নেতা তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) করা মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হলেন তিনিও ৷ শিক্ষাক্ষেত্রে অযোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে বেআইনিভাবে অতিরিক্ত পদ তৈরির অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ৷ সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের (বাংলার শাসকদল) স্বীকৃতি ও প্রতীক বাতিল করে দেবেন ! এরই জবাবে কুণাল বলেন, "যদি কেউ বলেন, আমার দলকে তুলে দেবেন, তাহলে মুখপাত্র হিসাবে আমি কি তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াব ? 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলি' আপনার যা ক্ষমতা আছে, করে নিন ৷ তারপর আমিও দেখব !" এমনকী, বিচারপতির বিরুদ্ধে অবসরের পর রাজনীতিতে নামার জমি তৈরি করার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন কুণাল !

দুর্নীতির মামলা প্রসঙ্গে একজন বিচারপতি একটি রাজনৈতিক দল কার্যত তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, আবার তার জবাবে হুঙ্কার দিচ্ছেন সেই দলেরই প্রথম সারির নেতারা ! অতীতে বাংলা বা ভারতে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না রাজনীতি ও আইনের কারবারিরা ৷ তবে, আপাতত এ নিয়ে তরজা তুঙ্গে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতিতে ৷

আরও পড়ুন: তৃণমূলের স্বীকৃতি বাতিলের হুঁশিয়ারি নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে পালটা চ্যালেঞ্জ কল্যাণের

এদিন ঠিক কী বলেন কুণাল ঘোষ ? তিনি বলেন, "বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে ৷ বিচাররক, বিচারপতিরা অনেক পরিশ্রম করে ন্যায়বিচার দেন ৷ অনেক কঠিন মামলা লড়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেন ৷ কিন্তু কেউ যদি মনে করেন, তিনি যা চান, তা আদালতের পর্যবেক্ষণের মোড়কে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করবেন, আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে অরণ্যদেব সাজাবেন, তাহলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ৷ যেখানে ভুল রয়েছে, সেখানে অবশ্যই তিনি কথা বলবেন ৷ সে যাই ঘটনা ঘটুক না কেন ৷ কিন্তু তার জন্য একটা দল তুলে দেওয়া হবে ! এটা কী ? আমরা শুনেছি, আমাদের মুখপাত্রদের নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন ৷ আমিও একজন মুখপাত্র। তবে, আমি কারও নাম করে কিছু বলছি না ৷ আমি ধরে নিচ্ছি, 'এজি অর্থাৎ অরণ্যদেব গাঙ্গুলি' ! আদালতের উপর ভরসা আমরা রাখি ৷ কিন্তু, যদি কেউ বলেন, আমার দলকে তুলে দেবেন, তাহলে মুখপাত্র হিসাবে তাঁকে কি আমি রসগোল্লা খাওয়াব ? অরণ্যদেব গাঙ্গুলি আপনার যা ক্ষমতা আছে করে নিন, আমিও দেখব ৷"

এর পাশাপাশি এদিন কুণাল ঘোষ বিচারপতি পদের অপব্যবহার করারও অভিযোগ তোলেন ৷ একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ত্রিপুরায় কেন অত মানুষের চাকরি চলে গেল ? কুণাল বলেন, "বিচারপতির আসনে বসে সেই পদের অপব্যবহার করছেন তিনি ৷ তিনি আসলে নিজের 'ইমেজ' তৈরি করছেন ৷ অবসরের পর রাজনীতি করার জমি তৈরি করছেন ! একজন বিচারপতি একটি দল তুলে দিতে বলছেন ! এসব কী কথা ? আমি মনে করি, কোনও বিচারক, কোনও বিচারপতি এই ধরনের ব্যক্তি প্রচারকেন্দ্রিক প্রবণতাকে কখনও সমর্থন করবেন না ৷ মঙ্গল গ্রহ থেকে এসে অরণ্যদেব সাজছেন ! এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করার আগে মনে রাখতে হবে, আপনি আপনার চেয়ারের অপব্যবহার করছেন ৷ এমনটা করবেন না ৷ চেয়ারের প্রোটেকশন নিয়ে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা সম্পূর্ণ করার খেলা খেলবেন না !"

কলকাতা, 25 নভেম্বর: তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Kalyan Banerjee) পর দলের আর এক নেতা তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) করা মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হলেন তিনিও ৷ শিক্ষাক্ষেত্রে অযোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে বেআইনিভাবে অতিরিক্ত পদ তৈরির অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ৷ সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের (বাংলার শাসকদল) স্বীকৃতি ও প্রতীক বাতিল করে দেবেন ! এরই জবাবে কুণাল বলেন, "যদি কেউ বলেন, আমার দলকে তুলে দেবেন, তাহলে মুখপাত্র হিসাবে আমি কি তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াব ? 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলি' আপনার যা ক্ষমতা আছে, করে নিন ৷ তারপর আমিও দেখব !" এমনকী, বিচারপতির বিরুদ্ধে অবসরের পর রাজনীতিতে নামার জমি তৈরি করার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন কুণাল !

দুর্নীতির মামলা প্রসঙ্গে একজন বিচারপতি একটি রাজনৈতিক দল কার্যত তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, আবার তার জবাবে হুঙ্কার দিচ্ছেন সেই দলেরই প্রথম সারির নেতারা ! অতীতে বাংলা বা ভারতে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না রাজনীতি ও আইনের কারবারিরা ৷ তবে, আপাতত এ নিয়ে তরজা তুঙ্গে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতিতে ৷

আরও পড়ুন: তৃণমূলের স্বীকৃতি বাতিলের হুঁশিয়ারি নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে পালটা চ্যালেঞ্জ কল্যাণের

এদিন ঠিক কী বলেন কুণাল ঘোষ ? তিনি বলেন, "বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে ৷ বিচাররক, বিচারপতিরা অনেক পরিশ্রম করে ন্যায়বিচার দেন ৷ অনেক কঠিন মামলা লড়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেন ৷ কিন্তু কেউ যদি মনে করেন, তিনি যা চান, তা আদালতের পর্যবেক্ষণের মোড়কে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করবেন, আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে অরণ্যদেব সাজাবেন, তাহলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ৷ যেখানে ভুল রয়েছে, সেখানে অবশ্যই তিনি কথা বলবেন ৷ সে যাই ঘটনা ঘটুক না কেন ৷ কিন্তু তার জন্য একটা দল তুলে দেওয়া হবে ! এটা কী ? আমরা শুনেছি, আমাদের মুখপাত্রদের নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন ৷ আমিও একজন মুখপাত্র। তবে, আমি কারও নাম করে কিছু বলছি না ৷ আমি ধরে নিচ্ছি, 'এজি অর্থাৎ অরণ্যদেব গাঙ্গুলি' ! আদালতের উপর ভরসা আমরা রাখি ৷ কিন্তু, যদি কেউ বলেন, আমার দলকে তুলে দেবেন, তাহলে মুখপাত্র হিসাবে তাঁকে কি আমি রসগোল্লা খাওয়াব ? অরণ্যদেব গাঙ্গুলি আপনার যা ক্ষমতা আছে করে নিন, আমিও দেখব ৷"

এর পাশাপাশি এদিন কুণাল ঘোষ বিচারপতি পদের অপব্যবহার করারও অভিযোগ তোলেন ৷ একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ত্রিপুরায় কেন অত মানুষের চাকরি চলে গেল ? কুণাল বলেন, "বিচারপতির আসনে বসে সেই পদের অপব্যবহার করছেন তিনি ৷ তিনি আসলে নিজের 'ইমেজ' তৈরি করছেন ৷ অবসরের পর রাজনীতি করার জমি তৈরি করছেন ! একজন বিচারপতি একটি দল তুলে দিতে বলছেন ! এসব কী কথা ? আমি মনে করি, কোনও বিচারক, কোনও বিচারপতি এই ধরনের ব্যক্তি প্রচারকেন্দ্রিক প্রবণতাকে কখনও সমর্থন করবেন না ৷ মঙ্গল গ্রহ থেকে এসে অরণ্যদেব সাজছেন ! এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করার আগে মনে রাখতে হবে, আপনি আপনার চেয়ারের অপব্যবহার করছেন ৷ এমনটা করবেন না ৷ চেয়ারের প্রোটেকশন নিয়ে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা সম্পূর্ণ করার খেলা খেলবেন না !"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.