কলকাতা, 16 এপ্রিল: মাথা নিচু করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ বিরোধী দলনেতাকে এভাবেই বিঁধলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে 'শাসকদলের বিধায়কদের চাকরি বিক্রির এজেন্ট' বলে কটাক্ষ করেছিলেন ৷ অভিযোগ করেছিলেন, 100 জন বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতিতে এজেন্টের কাজ করেছেন ৷ যা নিয়ে পালটা শুভেন্দুকে বিঁধে কুণালের মন্তব্য, ‘‘এগুলি কি উনি মন্ত্রিসভায় থাকাকালীন বলেছিলেন ? নাকি এই অভিযোগগুলি এনে ইস্তফা দিয়েছিলেন ?’’
কুণাল ঘোষ পালটা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মাথা নিচু করে বিজেপিতে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ৷ নারদা-কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন এদিন ৷ কুণাল বলেন, ‘‘যদি শুভেন্দু অধিকারী এই দুর্নীতির কথা বলে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যেতেন, বুঝতাম তিনি বাপের বেটা ৷ তার বদলে শুভেন্দুকে দেখা গিয়েছেন নারদায় যে বিজেপি তাকে চোর বলেছিল, মাথা নিচু করে সেখানেই গিয়ে ঢুকেছে ৷’’ ঘুরিয়ে ওই 100 বিধায়কের তালিকায় শুভেন্দু অধিকারী আছেন কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কুণাল ৷ তাঁর অভিযোগ, জেলযাত্রা থেকে বাঁচতে এসব কথা বলছেন বিরোধী দলনেতা ৷
তবে, বড়ঞার বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে এ দিন তৃণমূলের অবস্থান নিরপেক্ষ বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ৷ তাঁর কথায়, ‘‘যদি কেউ কোনও অপরাধ করে থাকেন ৷ নিশ্চিতভাবে তাঁকে তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে ৷ তাঁর আইনি যা যা প্রক্রিয়া আছে সেগুলিও চলবে ৷ এই নিয়ে আমাদের কারও কিছু বলার নেই ৷ যদি কেউ অন্যায় করে থাকেন, তাঁকে আড়াল করার কোনও প্রশ্নই নেই ৷’’
আরও পড়ুন: উদ্ধার তৃণমূল বিধায়কের একটি মোবাইল, চলছে দ্বিতীয় ফোনের খোঁজ
তিনি দাবি করেছেন, যে অভিযোগগুলি উঠেছে তা পুরোটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ৷ আর সেই অভিযোগগুলিকে প্রতিষ্ঠা করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভাবভঙ্গির সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষ ৷ তাঁর মতে, তদন্তকে তদন্তের মতো চলতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ একটা নির্দিষ্ট অভিমুখে তদন্তকে চালনা করে তৃণমূলকে ছোট করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ ৷ এর উদ্দেশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করা ৷