কলকাতা, 7 জুলাই: নির্বাচনের আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মুর্শিদাবাদ যাত্রা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । তাঁর অভিযোগ নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিরোধীদের হয়ে ভোট প্রচার করছেন রাজ্যপাল । তাদের সুবিধা করে দিতেই ময়দানে নেমেছেন তিনি ।
এ দিন কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ । সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বিজেপির 'দালাল' আখ্যা দিয়ে, তাঁর জেলা সফরের জন্য তাঁকে পালটা আক্রমণ করলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । এ দিন তিনি বলেন, রাজ্যপাল সংবিধানের সীমা লঙ্ঘন করে গিয়েছেন । একইভাবে ধৈর্যের সীমাও লঙ্ঘন করে গিয়েছেন তিনি । পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যপাল বিরোধীদের হয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন । এর জন্য শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপালের নিন্দাই করছে তা নয়, এর জন্য যা যা পদক্ষেপ করার তা করা হবে ।
এ দিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন কুণাল । তিনি বলেন,রাজ্যপাল প্ররোচনা তথা উস্কানি দিচ্ছেন বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ-কে । এদের হয়ে ঘটনাকে বিকৃত করে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করে জনমানসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে । কুণালের স্পষ্ট অভিযোগ, ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিনি চেষ্টা করছেন বিরোধীদের সুবিধা পাইয়ে দিতে । এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার করতে ।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নিল কমিশন
প্রসঙ্গত, রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের সংখ্যা বিগত সময়ে আর নতুন ঘটনা নয় । প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সময় থেকেই এই পরম্পরা শুরু হয়েছিল যা এখনও চলছে । এ দিন এই নিয়ে রাজ্যপালের কড়া সমালোচনা করেছেন কুণাল । তিনি বলেন, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সময় যে অপসংস্কৃতি শুরু হয়েছিল রাজ্যে, সিভি আনন্দ বোস তার ধারক এবং বাহক হিসাবে কাজ করছেন । শুধু তাই নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তিনি তাঁর প্রাক্তনীকে ছাপিয়ে গিয়ে সংবিধানের দেওয়া রাজধর্মকে উপেক্ষা করছেন ।
এ দিন কুণাল ঘোষ বলেন, "নির্বাচনের আগে রাজ্যপালের কাজ সাংবাদিক সম্মেলন করা নয় । তাঁর যদি কোনও কিছু খারাপ লাগে, তিনি রাজ্যকে বা কমিশনকে চিঠি দিতে পারেন । একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বা দিল্লিতে রাষ্ট্রপতিকেও জানাতে পারেন । তার বদলে তিনি আশারামজি বাপুর মতো আনন্দরাম বাপু সেজে বলতে শুরু করছেন । এটা কি রাজ্যপালের কাজ !" কুণালের মতে, আসলে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল । বিজেপি এজেন্টের মতো কাজ করছেন তিনি ।