কলকাতা, 25 মে: এবিভিপি সদস্যদের দেশপ্রেম শেখাবেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী ! এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে । আর এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ফের মহাগুরুকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । মিঠুন এবিভিপি-র পুরো নাম বলতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক । মিঠুনকে বিদ্রুপ করতে গিয়ে তিনি টেনে এনেছেন গোমাংস খাওয়ার প্রসঙ্গ ৷
বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষ বলেন, "মিঠুন চক্রবর্তী এবিভিপি-র পুরো নামটাই বলতে পারবেন না । চিরকুটে লিখে দিতে হবে । যা দেখে বারবার এবিভিপি নামটা তাঁকে বলতে হবে । ওদের সংগঠন অস্তিত্বহীন । ভিড় হয় না । ফলে একটা পুরনো ফিল্ম স্টারকে আনিয়ে ডিস্কো ড্যান্সারের গল্প শোনাবে । জিমি জিমি আজা আজা শোনাবে । আরএসএস-কে বলব, মিঠুনদার থেকে জেনে নিতে যে, তিনি বিফ খান কি না । তারপর যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । মিঠুন চক্রবর্তী বক্তব্য রাখবেন, কী রাখবেন না !"
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা পর্যটনের মুখ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণাল ফের খোঁচার সুরে বলেন, "ভালো অলরাউন্ডার সৌরভ । আমি দাদার ভক্ত । তাঁর প্রশ্নের মধ্যে তাঁর উত্তর লুকিয়ে আছে । নিশ্চয় তিনি এমন কিছু করছেন যার জন্য তাঁকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে । সৌরভ বাংলার গর্ব । কোনও বিতর্ক চাই না । ওনারই ভেবে দেখা উচিত কারওকে নিয়ে চর্চা হয় না, ওনাকে নিয়ে কেন হয় ।"
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে মামলা করেছেন সে প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী আগে জবাব দিক কাঁথি পৌরসভাতে সুদীপ্ত সেনের পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ঢুকেছে কি না । যদি ব্ল্যাকমেইল করে টাকা তোলে, তাহলে ওকে গ্রেফতার করা হোক ।
কুণালের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনলে হেঁচকি ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর । নবজোয়ার যাত্রায় যেভাবে ভিড় হচ্ছে এই দেখে ও প্রলাপ বলছে । নবজোয়ারকে ও ভয় পেয়েছে । আতঙ্কিত শুভেন্দু অধিকারী । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার যাত্রায় এ জেলা থেকে ওই জেলায় যাচ্ছেন, মানুষ তাঁকে দেখতে ভিড় করছেন । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে মানুষ যদি জাতীয় সড়কে যায়, তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী করবেন । ও (শুভেন্দু) অভিষেককে জড়িয়ে নিজের প্রচার করতে চাইছে ।
সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট প্রসঙ্গে এ দিন কেন্দ্রকে একহাত নেন কুণাল ঘোষ ৷ তিনি বলেন, 20 টি রাজনৈতিক দল বয়কট করেছে । তিনটি কারণে বিরোধিতা করেছে তৃণমূল । কেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র, মহাত্মা গান্ধি, বিআর আম্বেদকর থাকতে সাভারকারের জন্মদিনে সংসদ ভবন উদ্বোধন হচ্ছে । ভারতে এ রকম আর্থিক পরিস্থিতিতে এত টাকা খরচ করে সংসদ ভবন কেন করা হচ্ছে ? উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন রাষ্ট্রপতিকে উদ্বোধক হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়নি ?
পাশাপাশি নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর না যাওয়া প্রসঙ্গে কুণাল বলেছেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যান বা না যান তাতে বিরোধীদের কিছু যায় আসে না । যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী বারবার টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন, তারপর আর কী করবেন । গেলেও সমালোচনা করবে, না গেলেও সমালোচনা করবে বিরোধীরা ।
আরও পড়ুন: উনি ভালো অলরাউন্ডার, কুণালের খোঁচা কি সৌরভের দিকে!