কলকাতা , 25 ফেব্রুয়ারি : কলকাতায় রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া খাবারের গুণগত মান ঠিক থাকলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে । এই রিপোর্ট পেশ করল কলকাতা পৌরনিগম । সম্প্রতি, কলকাতা পৌরনিগম ও একটি বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কলকাতার স্ট্রিট ফুড নিয়ে সমীক্ষা করা হয় । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)- এর গাইডলাইন মেনে কলকাতার রাস্তার ধারের খাবারগুলির গুণগত মান নিয়ে সমীক্ষা করা হয় । সেখানেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিতে নজর দিতে বলা হয় ।
বর্তমানে ভেজাল খাবার মানুষের অসুস্থতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাই খাবারের মান উন্নয়ন করলেই এই বিষয়টাকে কমানো যাবে। তার জন্য খাবারের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিকাঠামো রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, খাবারের দোকানগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। রান্নায় ব্যবহৃত জল এবং বাসন ধোয়ার জন্য পরিষ্কার জলের ব্যবহার করতে হবে । যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলে খাবারের দোকান চালানো যাবে না । কম দামে ভালো খাবার দিতে হবে ।
কলকাতার 104 টি জায়গায় পৌরনিগম এবং ওই বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগ কলকাতার স্ট্রিট ফুডের পরিদর্শন করা হয় । তারই সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় আজ । সেই রিপোর্ট পেশ করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর ন্যাশনাল লেভেল প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর ইন্দিরা চক্রবর্তী । তাঁর তত্ত্বাবধানে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে স্ট্রিট ফুডের উপর সার্ভে করা হয় । তিনি জানিয়েছেন, আশা করা যায় এর ফলে আগামী দিনে কলকাতা শহরের স্ট্রিট ফুডের মান আরও ভালো হবে । তিনি জানিয়েছেন, এখনও কিছু কিছু খাবারের দোকানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে ।
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, দেশের অন্য রাজ্যের তুলনায় কলকাতা স্ট্রিট ফুড অনেক বেশি নিরাপদ । তবে পরিষ্কার পরিচ্ছনতায় নজর দিতে হবে । কলকাতার কিছু কিছু জায়গায় স্ট্রিট ফুড হাব গড়ে তোলা হবে । পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী ট্রামকে ব্যবহার করা হবে । যেখানে যত ভাঙা অযত্নে পড়ে থাকা ট্রাম রয়েছে সেগুলিকে ফুড হাব তৈরি করার জন্য কাজে লাগানো হবে ।