ETV Bharat / state

মাধ্যমিকে পাশের হারে দ্বিতীয় কলকাতা, মেধাতালিকায় মাত্র এক - merit list

পাশের হারে দ্বিতীয় কলকাতা । অথচ 51 জনের সেরা দশের মেধাতালিকায় নাম রয়েছে কলকাতার মাত্র একজনের ।

সোহম দাস
author img

By

Published : May 21, 2019, 4:50 PM IST

কলকাতা, 21 মে : পাশের হারে দ্বিতীয় হয়েছে কলকাতা । অথচ, মাধ্যমিকের 51 জনের সেরা দশের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার মাত্র একজন । সে যাদবপুর বিদ্যাপিঠের সোহম দাস। 681 নম্বর পেয়ে দশম স্থান পেয়ে কলকাতার মুখ রক্ষা করেছে বলা যেতে পারে । সোহম ছাড়া কলকাতার অন্য কেউ মেধাতালিকায় কেন জায়গা করে নিতে পারল না? সে প্রশ্ন উঠছে ।

সন্তোষপুরের বাসিন্দা ও যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া সোহম দাস বলে, "ফলাফল প্রকাশের পর তো খুবই ভালো লাগছে । একদম শেষ নামটা আমার । ভাবতেই পারিনি ব়্যাঙ্ক করব ।" মাধ্যমিকে সোহমের প্রিয় বিষয় ছিল ভৌতবিজ্ঞান । ক্লাস ইলেভেনে পছন্দের বিষয় ফিজ়িক্স । গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে সোহম । পাশাপাশি ক্রিকেট ও ফুটবল খেলতেও পছন্দ করে । মেধাতালিকায় কলকাতার মাত্র একজন । বাকি সবাই জেলার । এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সোহম বলে, "আমি জানি না । তবে, জেলার পড়ুয়ারা নিশ্চয়ই অত্যন্ত পরিশ্রমী । অত্যন্ত মেধাবীও । কারণ, 694 সর্বোচ্চ উঠেছে । অর্থাৎ 99.14 শতাংশ । সুতরাং, পরিশ্রম তো করতেই হবে । পরিশ্রম করলেই ব়্যাঙ্ক হবে ।"

একই প্রশ্ন আজ সাংবাদিক বৈঠকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে করা হয় । উত্তরে বলেন, "পূর্ব মেদিনীপুরের পাশের হার 96 শতাংশের ঊর্ধ্বে । তারপরই কলকাতা । যে যেরকম পরীক্ষা দিয়েছে সে সেরকম নম্বর পেয়েছে । কোনও জেলা বা অনুন্নত জায়গা থেকে যদি কেউ সারাবছর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করে, তাহলে বোর্ডের কী কোনও অধিকার আছে তাকে বঞ্চিত করার । এটা আমি প্রত্যেকবারই বলি যে, এটা আপনাদের আলোচনার ও গবেষণার বিষয় ।"

কলকাতায় হিন্দু ও হেয়ারের মতো নামীদামি স্কুল থাকা সত্ত্বেও মেধাতালিকায় কলকাতার মাত্র একজন । অথচ আগে কিন্তু কলকাতার অনেকেই মেধাতালিকায় স্থান পেত । সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি আবার বলছি এটা গবেষণার বিষয় । কলকাতায় অনেক ভালো ভালো স্কুল আছে । ভালো রেজ়াল্টও করছে । কিন্তু প্রথম দশে কলকাতার কোনও পরীক্ষার্থীর নাম আসছে না । প্রথম দশে তাদেরই নাম থাকছে যারা ভীষণ ভালো ফলাফল করেছে । যেমন এবছর যে প্রথম হয়েছে সে 694 পেয়েছে । তার নম্বর কমিয়ে দেওয়ার অধিকার কি আমার আছে? তাকে বাদ দিয়ে কলকাতার কাউকে আমি মেরিট লিস্টে নিয়ে আসব? এই প্রশ্নটা খুব অবান্তর ।"

ICSE ও CBSE বোর্ডের পরীক্ষায় কলকাতা থেকে অনেকেই টপ করলেও মাধ্যমিকে কিন্তু তা হচ্ছে না । উত্তরে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ICSE ও CBSE কিন্তু শুধুমাত্র শহরভিত্তিক পরীক্ষা । এই বোর্ডের স্কুলগুলো বেশিরভাগই কলকাতায় রয়েছে । গ্রামে এমন কতগুলো CBSE, ICSE বোর্ডের স্কুল আছে, যেখান থেকে টপার আসছে? সেখানে তো স্কুল নেই ।"

পাশাপাশি তিনি বলেন, "এই বছরে মাধ্যমিকের ফলাফলের ক্ষেত্রে একটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে । সাধারণত ICSE ও CBSE বোর্ডের পরীক্ষার পরীক্ষার্থীরা বিপুল পরিমাণ নম্বর পায় । কিন্তু এবছর মাধ্যমিকের প্রথম স্থান অধিকারী 99.14 শতাংশ নম্বর পেয়েছে । এই প্রথম মাধ্যমিকে 99 শতাংশের বেশি নম্বর এসেছে । "

কলকাতা, 21 মে : পাশের হারে দ্বিতীয় হয়েছে কলকাতা । অথচ, মাধ্যমিকের 51 জনের সেরা দশের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার মাত্র একজন । সে যাদবপুর বিদ্যাপিঠের সোহম দাস। 681 নম্বর পেয়ে দশম স্থান পেয়ে কলকাতার মুখ রক্ষা করেছে বলা যেতে পারে । সোহম ছাড়া কলকাতার অন্য কেউ মেধাতালিকায় কেন জায়গা করে নিতে পারল না? সে প্রশ্ন উঠছে ।

সন্তোষপুরের বাসিন্দা ও যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া সোহম দাস বলে, "ফলাফল প্রকাশের পর তো খুবই ভালো লাগছে । একদম শেষ নামটা আমার । ভাবতেই পারিনি ব়্যাঙ্ক করব ।" মাধ্যমিকে সোহমের প্রিয় বিষয় ছিল ভৌতবিজ্ঞান । ক্লাস ইলেভেনে পছন্দের বিষয় ফিজ়িক্স । গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে সোহম । পাশাপাশি ক্রিকেট ও ফুটবল খেলতেও পছন্দ করে । মেধাতালিকায় কলকাতার মাত্র একজন । বাকি সবাই জেলার । এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সোহম বলে, "আমি জানি না । তবে, জেলার পড়ুয়ারা নিশ্চয়ই অত্যন্ত পরিশ্রমী । অত্যন্ত মেধাবীও । কারণ, 694 সর্বোচ্চ উঠেছে । অর্থাৎ 99.14 শতাংশ । সুতরাং, পরিশ্রম তো করতেই হবে । পরিশ্রম করলেই ব়্যাঙ্ক হবে ।"

একই প্রশ্ন আজ সাংবাদিক বৈঠকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে করা হয় । উত্তরে বলেন, "পূর্ব মেদিনীপুরের পাশের হার 96 শতাংশের ঊর্ধ্বে । তারপরই কলকাতা । যে যেরকম পরীক্ষা দিয়েছে সে সেরকম নম্বর পেয়েছে । কোনও জেলা বা অনুন্নত জায়গা থেকে যদি কেউ সারাবছর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করে, তাহলে বোর্ডের কী কোনও অধিকার আছে তাকে বঞ্চিত করার । এটা আমি প্রত্যেকবারই বলি যে, এটা আপনাদের আলোচনার ও গবেষণার বিষয় ।"

কলকাতায় হিন্দু ও হেয়ারের মতো নামীদামি স্কুল থাকা সত্ত্বেও মেধাতালিকায় কলকাতার মাত্র একজন । অথচ আগে কিন্তু কলকাতার অনেকেই মেধাতালিকায় স্থান পেত । সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি আবার বলছি এটা গবেষণার বিষয় । কলকাতায় অনেক ভালো ভালো স্কুল আছে । ভালো রেজ়াল্টও করছে । কিন্তু প্রথম দশে কলকাতার কোনও পরীক্ষার্থীর নাম আসছে না । প্রথম দশে তাদেরই নাম থাকছে যারা ভীষণ ভালো ফলাফল করেছে । যেমন এবছর যে প্রথম হয়েছে সে 694 পেয়েছে । তার নম্বর কমিয়ে দেওয়ার অধিকার কি আমার আছে? তাকে বাদ দিয়ে কলকাতার কাউকে আমি মেরিট লিস্টে নিয়ে আসব? এই প্রশ্নটা খুব অবান্তর ।"

ICSE ও CBSE বোর্ডের পরীক্ষায় কলকাতা থেকে অনেকেই টপ করলেও মাধ্যমিকে কিন্তু তা হচ্ছে না । উত্তরে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ICSE ও CBSE কিন্তু শুধুমাত্র শহরভিত্তিক পরীক্ষা । এই বোর্ডের স্কুলগুলো বেশিরভাগই কলকাতায় রয়েছে । গ্রামে এমন কতগুলো CBSE, ICSE বোর্ডের স্কুল আছে, যেখান থেকে টপার আসছে? সেখানে তো স্কুল নেই ।"

পাশাপাশি তিনি বলেন, "এই বছরে মাধ্যমিকের ফলাফলের ক্ষেত্রে একটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে । সাধারণত ICSE ও CBSE বোর্ডের পরীক্ষার পরীক্ষার্থীরা বিপুল পরিমাণ নম্বর পায় । কিন্তু এবছর মাধ্যমিকের প্রথম স্থান অধিকারী 99.14 শতাংশ নম্বর পেয়েছে । এই প্রথম মাধ্যমিকে 99 শতাংশের বেশি নম্বর এসেছে । "

Intro:কলকাতা, 21 মে: পাশের হারে দ্বিতীয় হয়েছে কলকাতা। অথচ, মাধ্যমিকের ৫১ জনের সেরা দশের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার মাত্র একজন। সে যাদবপুর বিদ্যাপিঠের সোহম দাস। 681 নম্বর পেয়ে দশম স্থান পেয়ে কলকাতার মুখ রক্ষা করেছে বলা যেতে পারে। পাশের হার । তার সত্ত্বেও মেধাতালিকায় কলকাতা কেন জায়গা করে নিতে পারল না? প্রশ্ন থেকেই যায়।
Body:সন্তোষপুরের বাসিন্দা ও যাদবপুর বিদ্যাপিঠের পড়ুয়া সোহম দাস বলে, "রেজাল্ট বেরানোর পর তো খুবই ভালো লাগছে। একদম লাস্ট নামটা স্বভাবতই মনে হয়েছিল আমার। জাস্ট ভাবতেই পারিনি র্যাংক করব।" মাধ্যমিকে তার প্রিয় বিষয় ছিল ফিজিক্যাল সায়েন্স। ক্লাস ইলেভেনে পছন্দের বিষয় ফিজিক্স। গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে সোহম। সঙ্গে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলাও পছন্দ তার। মেধাতালিকায় কলকাতার মাত্র একজন, বাকি সবাই জেলার। এটা কেন হল বলে মনে হচ্ছে? সোহম বলে, ""আমি জানি না। তবে, জেলার স্টুডেন্টসরা নিশ্চয়ই অত্যন্ত পরিশ্রমী। অত্যন্ত মেধাবীও নিশ্চয়ই। কারণ, 694 হায়েস্ট উঠেছে, 99.14 শতাংশ। তো পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম করলেই র্যাংক হবে।"

একই প্রশ্ন আজকের সাংবাদিক বৈঠকে করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি উত্তরে বলেন, "পূর্ব মেদিনীপুরের পাশের 96 শতাংশের উপরে। তারপরেই কলকাতা। যে যে রকম পরীক্ষা দিয়েছে সে সে রকম মার্কস পেয়েছে। আমার কোনও জেলায় যদি খুব, আন্ডার ডেভলপমেন্ট জায়গা থেকে যদি কেউ ভালো পরীক্ষা দেয় সারাবছর ভালো করে লেখাপড়া করে। বোর্ডের কি কোনও অধিকার আছে তাকে বঞ্চিত করার। এটা আমি প্রত্যেকবারই বলি এটা আপনাদের আলোচনার বিষয়, গবেষণার বিষয়।" যেখানে সেরা স্কুল হিন্দু স্কুল এর মত নামিদামি স্কুল রয়েছে কলকাতায়, সেখানে মেধাতালিকায় মাত্র একজন। আগে কলকাতার অনেকেই মেধাতালিকায় স্থান পেত। এটা কেন হচ্ছে? তিনি বলেন, "আমি আবার বলছি এটা ভালো গবেষণার বিষয়। কলকাতায় অনেক ভালো ভালো স্কুল আছে। ভালো রেজাল্টও করছে। কিন্তু, প্রথম দশে আসছে না। প্রথম দশে যারা ভীষণ ভালো, যেমন যে প্রথম হয়েছে। 694 পেয়েছে। তার কি মার্কস কমিয়ে দেওয়ার অধিকার আমার আছে? দিয়ে তারপরে কলকাতার কাউকে আমি মেরিট লিস্টে নিয়ে আসব? এই প্রশ্নটা খুব অবান্তর প্রশ্ন। যে যেরকম ভাল পরীক্ষা দিয়েছে, সে সেরকম র্যাংক করেছে।"

ICSE ও CBSE বোর্ডের পরীক্ষায় কলকাতা থেকে অনেকেই টপ করেছে। সেখানে মাধ্যমিকে কেন আসছে না? কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এই যে পরীক্ষাগুলো এগুলো কিন্তু শুধুমাত্র শহরভিত্তিক। কলকাতার উপরেই তো এই স্কুলগুলো। গ্রামে কতগুলো CBSE, ICSE স্কুল আছে, যেখানে থেকে টপার আসছে? সেখানে তো নেই স্কুল।" আরেকটি বিষয় এই বছরে নতুন। এই বছর প্রথম স্থান অধিকারী 99.14 শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এই বছর প্রথম মাধ্যমিকে 99 শতাংশের বেশি নম্বর এসেছে বলে জানাচ্ছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সাধারণত, ICSE ও CBSE বোর্ডের পরীক্ষায় এই বিপুল পরিমাণ নম্বর পেতে দেখা যায়। যেমন এই বছর ISC টপার 100 শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। সেই ট্রেন্ড মেনেই কি এই বছর মাধ্যমিকের টপার এত স্কোর করল? উত্তরে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আমার মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট অন্য কোনও বোর্ডের রেজাল্টের ট্রেন্ড দেখে তৈরি হয় না। আমার ছাত্রছাত্রীরা যে রকম পরীক্ষা দেয়, আমরা যেরকম মূল্যায়ন করি, যা রেজাল্ট হয় সেটাই জানাই। অন্য বোর্ডের সঙ্গে আমরা সামঞ্জস্য রেখে করি না। আমাদের বোর্ড সেটা ইউনিক।"

Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.