কলকাতা, 20 নভেম্বর: আবার্জনাময় পুকুরটি পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই নির্দেশ মানার বদলে নির্দ্বিধায় আস্ত পুকুরটাই লোপাট করার পরিকল্পনা করেছিলেন গড়ফার গৌরাঙ্গ সরনির বাসিন্দা এক ব্যক্তি ৷ তবে, শেষরক্ষা হল না ৷ পুলিশ (Kolkata Police) ও প্রশাসনের তৎপরতায় ভেস্তে গেল পুকুর ভরাটের (Pond Filling) প্রক্রিয়া ৷ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি আর্থ মুভার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷
শহর কলকাতায় মাঝেমধ্যেই পুকুর ভরাটের অভিযোগ ওঠে ৷ তবে, ইদানীংকালে আমজনতা এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ৷ তাই শুধুমাত্র পরিবেশপ্রেমীরাই নন, তাঁরাও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখলে রুখে দাঁড়ান এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন ৷ এক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে ৷ যদিও একেবারেই কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা যে ঘটে না, এমনটাও নয় ৷ যেমন, পরিবেশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, অনেক সময়েই পৌরনিগমে বা পুলিশের কাছে পুকুর ভরাটের অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয় না ৷ এমনকী, 'টক টু মেয়র'-এ ফিরহাদ হাকিমকেও এ নিয়ে অনেকে অভিযোগ করেছেন ৷ এরই ভিত্তিতে মেয়র নির্দেশ দেন, পুকুর ভরাটের অভিযোগ এলেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে পদক্ষেপ করতে হবে পৌরকর্মীদের ৷ প্রয়োজনে তাঁদের পুলিশের সাহায্যও নিতে হবে ৷ মেয়রের এই নির্দেশর পর তৎপর হয়েছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাও ৷
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর ও বাসিন্দাদের তৎপরতায় ব্যর্থ পুকুর ভরাটের অপচেষ্টা
এই প্রেক্ষাপটে জানা যায়, আগেও কলকাতার 106 নম্বর ওয়ার্ডের গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকায় একটি পুকুর বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ পরবর্তীতে কাউন্সিলর অরিজিৎ দাস ঠাকুরের নেতৃত্বে সেই পুকুরটি পরিষ্কার করা হয় ৷ এবার সেই ওয়ার্ডেরই অন্য প্রান্তে গড়ফা থানার গৌরাঙ্গ সরনিতে আরও একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ আসে ৷ পৌরনিগম আগেই ওই পুকুর ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার করার জন্য নোটিশ দিয়েছিল ৷ কিন্তু, তারপরও কাজের কাজ কিছু হয়নি ৷ এরপরই গড়ফা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং পুকুর ভরাটের কাজে ব্যবহৃত আর্থ মুভারটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় কাউন্সিলরও ৷ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷