কলকাতা, 27 জুলাই: বেহালার একাকি বৃদ্ধা খুন হয়েছিলেন তা পুলিশ বুঝেছিল পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পরেই । তদন্ত শুরু করে পুলিশ । তদন্তে যৌথভাবে নামে লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও । আর তাতেই কিনারার পথে বৃদ্ধা খুন রহস্য । ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বছর পঁচাত্তরের ওই বৃদ্ধার নাম শুভ্রা ঘোষ দস্তিদার। ছেলে-বউমা ও নাতনির সঙ্গে বেহালার 126 B শিশিরবাগানে থাকতেন। গত 25 জুলাই বাড়ির মেঝেতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ ৷ ঘটনার দিন সকালে ছেলে ও বউমা কাজে বেরিয়ে যান ৷ নাতনি স্কুলে গেছিল । বাড়িতে একাই ছিলেন শুভ্রা ।
পরিচারিকা সকাল 11 টায় এসে দেখেন, বাড়ির সদর দরজা খোলা কিন্তু ভিতরের দরজা বন্ধ ৷ পরিচারিকা বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে চলে যান । পরে আবার ঘুরে এসে বৃদ্ধাকে ডাকতে থাকেন, এবারও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁর ৷ সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন । দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে সকলে দেখতে পান গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন শুভ্রা ৷ ঘরের জিনিসপত্রও অগোছালো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, খোয়া গেছে বৃদ্ধার মোবাইল। অগোছালো জিনিসপত্র দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়, টাকা জিনিসপত্র হাতানোর তালে খুন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দিন কয়েক আগে ওই বাড়িতে রং ও কাঠের কাজ হয়েছে । সেই সূত্রেই পুলিশ খোঁজ শুরু করে ওই কাঠমিস্ত্রির । জানা যায় তার নাম সাহেব । আজ তাকে পৈলান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে এই খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কি না।