ETV Bharat / state

Kolkata Police: কলকাতা পুলিশের নয়া ভাবনা, নেদারল্যান্ডস-ইউএসএ পুলিশের মিলিত কৌশল রপ্ত করার পরিকল্পনা

author img

By

Published : Dec 3, 2022, 6:51 PM IST

অভিযুক্ত বা অপরাধীদের মারধর তো নয়ই এমনকি ধমকে-চমকে কথাও নয় ৷ গলার সুর নিচু করে বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে অভিযুক্তের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের মাধ্যমে গোপন কথা বার করার বিশেষ কৌশল রপ্ত করতে চায় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police interrogation technique) ৷

ETV Bharat
kolkata police and lalbazaar

কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: অভিযুক্তকে জেরা বা জিজ্ঞাসাবাদের সময় গলার সুর নিচু করে তার বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে অপরাধী বা অভিযুক্তের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ করে গোপন কথা বার করার বিশেষ কৌশল এবার রপ্ত করতে চায় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ এবার এই কৌশল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ এবং নেদারল্যান্ডস পুলিশের কাছ থেকে শিখতে চাইছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police is planning to learn new interrogation technique from USA and Netherlands Police) ।

বর্তমানে মানবাধিকার কমিশনের চাপে পড়ে অপরাধী বা অভিযুক্তদের শারীরিক হেনস্থা বা মারধরের ঘটনা কার্যত নেই বললেই চলে ৷ কিন্তু অপরাধী বা অভিযুক্তদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এবং তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করার নীতি এখনও পুলিশের মধ্যে রয়ে গিয়েছে । আর এই ভয় প্রদর্শনের রীতিকেই এবার বাতিল করে তার পরিবর্তে অভিযুক্তের সঙ্গে নরমভাবে কথা বলে জিজ্ঞাসাবাদের পাট নিচ্ছে লালবাজার (Lalbazaar) ।

লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিবছরই দেশের প্রত্যেকটি তদন্তকারী সংস্থার একটি মিটিং হয় । সেই বৈঠকে মূলত আলোচনা হয় কীভাবে অপরাধী বা কোনও ঘটনায় আটক হওয়া অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে । এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেরা বা জিজ্ঞাসাবাদের কৌশলের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ধাঁচের সঙ্গে লালবাজারের আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়ে গিয়েছে । আর এই তফাৎকে দূর করতেই এবার মার্কিনী কৌশল শেখার পরিকল্পনা করছে কলকাতা পুলিশ (Interrogation technique of Kolkata Police) ।

আরও পড়ুন: বড়দিনের আগেই জোকা-তারাতলা মেট্রো চালুর ইঙ্গিত, প্রকাশিত ভাড়ার তালিকা

মার্কিন পুলিশের কায়দায় এই জিজ্ঞাসাবাদের প্রাথমিক শর্তই হল অপরাধী বা অভিযুক্তদের থানায় আটক করার পর তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে । অভিযুক্ত বা অপরাধীর বিশ্বাস অর্জন করতে হবে তদন্তকারী আধিকারিকদের । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মতে, নরম স্বরে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে এবং মর্যাদাপূর্ণ ভাবে তার সঙ্গে কথা বলে আস্থা অর্জন করতে পারলেই, অপরাধী বা অভিযুক্তদের মনের ভিতর যে অপরাধের গোপন কঠুরি রয়েছে সেখানে আলোকপাত করা সম্ভব ৷ আর এতে মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও প্রশ্নও আসবে না । এই প্রক্রিয়ায় অপরাধী বা অভিযুক্তদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ায় মূলত স্নায়ুযুদ্ধ চলে ৷ ধৈর্য ধরে এই কৌশল অবলম্বন করলে শারীরিকভাবে আঘাত না করেও ধৃতের মস্তিষ্কের ভিতরের কথা বের করে আনা সম্ভব ৷

তবে আবার এই বিষয়ে খোদ আইপিএস মহলের একাংশের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রীতি এবং এই দেশের রীতি এক নয় । ফলে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে প্রথমেই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ না করে ,ধীর গতিতে গোটা ঘটনাক্রম বুঝে নরমে গরমে এগনোই ভালো । তবে অভিযুক্তদের মারধরের রীতি চিরতরে শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police interrogation technique) ।

কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: অভিযুক্তকে জেরা বা জিজ্ঞাসাবাদের সময় গলার সুর নিচু করে তার বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে অপরাধী বা অভিযুক্তের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ করে গোপন কথা বার করার বিশেষ কৌশল এবার রপ্ত করতে চায় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ এবার এই কৌশল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ এবং নেদারল্যান্ডস পুলিশের কাছ থেকে শিখতে চাইছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police is planning to learn new interrogation technique from USA and Netherlands Police) ।

বর্তমানে মানবাধিকার কমিশনের চাপে পড়ে অপরাধী বা অভিযুক্তদের শারীরিক হেনস্থা বা মারধরের ঘটনা কার্যত নেই বললেই চলে ৷ কিন্তু অপরাধী বা অভিযুক্তদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এবং তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করার নীতি এখনও পুলিশের মধ্যে রয়ে গিয়েছে । আর এই ভয় প্রদর্শনের রীতিকেই এবার বাতিল করে তার পরিবর্তে অভিযুক্তের সঙ্গে নরমভাবে কথা বলে জিজ্ঞাসাবাদের পাট নিচ্ছে লালবাজার (Lalbazaar) ।

লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিবছরই দেশের প্রত্যেকটি তদন্তকারী সংস্থার একটি মিটিং হয় । সেই বৈঠকে মূলত আলোচনা হয় কীভাবে অপরাধী বা কোনও ঘটনায় আটক হওয়া অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে । এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেরা বা জিজ্ঞাসাবাদের কৌশলের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ধাঁচের সঙ্গে লালবাজারের আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়ে গিয়েছে । আর এই তফাৎকে দূর করতেই এবার মার্কিনী কৌশল শেখার পরিকল্পনা করছে কলকাতা পুলিশ (Interrogation technique of Kolkata Police) ।

আরও পড়ুন: বড়দিনের আগেই জোকা-তারাতলা মেট্রো চালুর ইঙ্গিত, প্রকাশিত ভাড়ার তালিকা

মার্কিন পুলিশের কায়দায় এই জিজ্ঞাসাবাদের প্রাথমিক শর্তই হল অপরাধী বা অভিযুক্তদের থানায় আটক করার পর তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে । অভিযুক্ত বা অপরাধীর বিশ্বাস অর্জন করতে হবে তদন্তকারী আধিকারিকদের । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মতে, নরম স্বরে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে এবং মর্যাদাপূর্ণ ভাবে তার সঙ্গে কথা বলে আস্থা অর্জন করতে পারলেই, অপরাধী বা অভিযুক্তদের মনের ভিতর যে অপরাধের গোপন কঠুরি রয়েছে সেখানে আলোকপাত করা সম্ভব ৷ আর এতে মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও প্রশ্নও আসবে না । এই প্রক্রিয়ায় অপরাধী বা অভিযুক্তদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ায় মূলত স্নায়ুযুদ্ধ চলে ৷ ধৈর্য ধরে এই কৌশল অবলম্বন করলে শারীরিকভাবে আঘাত না করেও ধৃতের মস্তিষ্কের ভিতরের কথা বের করে আনা সম্ভব ৷

তবে আবার এই বিষয়ে খোদ আইপিএস মহলের একাংশের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রীতি এবং এই দেশের রীতি এক নয় । ফলে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে প্রথমেই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ না করে ,ধীর গতিতে গোটা ঘটনাক্রম বুঝে নরমে গরমে এগনোই ভালো । তবে অভিযুক্তদের মারধরের রীতি চিরতরে শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police interrogation technique) ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.