কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, এনআরএসের পর এসএসকেএম। ফের সরকারি হাসপাতালে দালালচক্রের পর্দাফাঁস। লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার জালে চার অভিযুক্ত। সোমবার এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বর থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
সোমবার রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের প্রতারণার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি-রাউডি বিভাগ (গুন্ডাদমন শাখা)-এর অফিসাররা এদিন হাসপাতালে প্রতারকদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছিল। সেই সময়ই চারজনকে ধরে পুলিশ ৷ ধৃত অভিষেক মল্লিক (23), অভয় বাল্মিকী (20), দেব মল্লিক (19) এবং সুরিন্দর কুমার (30)। ধৃতরা সকলেই ভবানীপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে রোগী ভরতির নামে হাসপাতালে রমরমিয়ে দালাল চক্র চালাত এরা। মোটা টাকার বিনিময়ে রোগীদের ভরতির সুযোগও করে দিত এই চার ব্যক্তি। বেশ কয়েকদিন লাগাতার এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ছিল লালবাজারে ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা বিশেষ অভিযান শুরু করে ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 120বি (অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র), 420 (প্রতারণা), 506 (ভয় দেখানো এবং হুমকি) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, দালাল চক্রের খপ্পরে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রাণ দিতে হয়েছে রোগীকে। কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সেই ঘটনার পর থেকে সরকারি হাসপাতালে দালালচক্র রুখতে তৎপর পুলিশ। শুরু হয়েছে গ্রেফতারি। শনিবার রাতে নীলরতন সরকার হাসপাতাল চত্বর থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর তার রেশ কাটতে না-কাটতেই এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বর থেকে এবার পুলিশের জালে চার।
কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, "এসএসকেএম হাসপাতালে এই অভিযুক্তরা বেশ কিছুদিন ধরে সক্রিয় ছিল। তারা হাসপাতালে ভরতি করার নামে বেশ কিছু রোগী ও তাদের পরিবারকে প্রতারণা করেছে। এদের বিষয়ে আমরা বেশ কিছু অভিযোগও পেয়েছিলাম।" অন্যদিকে, বিধায়ক মদন মিত্র অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যে একটি বড় র্যাকেট চলছে ৷ একই সঙ্গে, পুলিশের এই পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ নবান্নের, পুলিশকেও নামতে নির্দেশ
মদন মিত্র বলেন, "কিছু প্রভাবশালী লোক এই অপরাধীদের মদত দিচ্ছে। এই সমস্ত লোকেরা একটি বড় র্যাকেট গড়ে তুলেছে। একজন রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পাঠায় টাকা নিয়ে, তারপর টাকা তাদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হয় ৷"