কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: ভুয়ো কিউআর কোড ব্যবহার করে একাধিক নিষিদ্ধ শব্দবাজি পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বিহারের পাটনার উদ্দেশে । কিন্তু তার আগেই অভিযুক্তদের পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । উদ্ধার হয়েছে 840 কেজি বাজি ৷ এই ঘটনায় চম্পাহাটির বাসিন্দা বাপ্পা মুখোপাধ্যায় এবং রঞ্জিত মিত্র ওরফে কালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । বিস্ফোরক আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে । দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে এই বাজিগুলি ৷ সেখান থেকে আনুমানিক সাড়ে আট কুইন্টাল বাজি কলকাতায় পাচারের জন্য আনা হয়েছিল ৷ এমনটাই পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে ।
লালবাজার সুত্রের খবর, বাজিগুলি কারখানা থেকে ট্রাকে পাচার করার সময়ই হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ । বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বড়বাজার থানা এলাকায় । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতার বড়বাজারের কাছে এমজি রোডে একটি গাড়িকে প্রথমে দাঁড় করায় সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা । এরপরেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই বিপুল পরিমাণ বাজি । বাজি উদ্ধারের পর দু'জনকে আটক করে পুলিশ । থানায় নিয়ে গিয়ে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ । পরে অবশ্য তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
আটক হওয়া দুই যুবকের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুর পুলিশ থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত চম্পাহাটি থেকে বাজিগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিহারের পটনায় । জানা গিয়েছে, চম্পাহাটি থেকে প্রথমে কলকাতার এম জি রোডের একটি গোডাউনে ওই বাজিগুলিকে সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়েছিল । পরে পুলিশি চক্ষুর আড়ালে পাচার করে দেওয়া হচ্ছিল ওই বিপুল পরিমাণে বাজিগুলি ।
আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পর বাজি পাচার! 50 টন নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত এসটিএফের
এই বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, অভিযুক্তরা মূলত পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে গাড়ির ভিতরে থাকা বাক্সে ভুয়ো কিউআর কোড লাগিয়ে রেখেছিলেন । তদন্তকারীরা ওই কোডগুলি স্ক্যান করে দেখেন ৷ সেখানে কিছুই মিলছে না । পরে বাক্স খুলে প্রায় প্রায় 840 কেজি বাজি উদ্ধার করে পুলিশ । এই বাজিগুলি কোথায় তৈরি হয়েছিল, এগুলি পাচারের নেপথ্যে অন্য কোনও বড় মাথা ছিল কি না, তা খুঁজে বার করছে তদন্তকারীরা ।