কলকাতা, 17 ডিসেম্বর: বহুতলের পার্কিং স্পেস বা গ্যারাজের জায়গায় কারখানা, দোকান গজিয়ে ওঠার অভিযোগ । ব্যাপক সমস্যার মুখে আবাসিকরা। আইনি পদক্ষেপ নিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের কারখানা বা দোকান তৈরি করার অনুমতি মিলেছে খোদ কলকাতা পৌরনিগমের তরফে। এই ঘটনাকে ক্রেতা সুরক্ষা লঙ্ঘনের সমান বলে অভিযোগ কলকাতা কর্পোরেশনের বরো চেয়ারম্যান রত্না সুরের। দাবি, এবার থেকে পার্কিং স্পেস বা গ্যারাজের জায়গায় কারখানা, দোকান তৈরির ক্ষেত্রে এনওসি বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হবে বহুতলের আবাসিকদের থেকেও ৷
এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "চরিত্র বদলে অনুমতি দেওয়া হয় না। কলকাতা কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া কেউ গ্যারেজের জায়গা অন্য কাজে ব্যবহার করলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ট্রেড লাইসেন্স এখন অনলাইনে আবেদন করলেই পাবেন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যেমন পাচ্ছেন তেমন বেআইনি কিছু করলে, নিয়ম লঙ্ঘন করলে সেই লাইসেন্স বাতিলও হতে পারে। কাউন্সিলররা নির্দিষ্ট ঠিকানা ধরে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া যাবে।"
তৃণমূল কাউন্সিলর ও বরো চেয়ারম্যান রত্না সুর অভিযোগ করে বলেন, "গ্যারেজ পরিবর্তন করে দোকান করলে ক্রেতা সুরক্ষা লঙ্ঘিত হচ্ছে। আবাসনে পার্কিং স্পেসে ব্যবসার অনুমতি দিলে আবাসিকদের বাধ্যতামূলক ভাবেই এনওসি নেওয়া হলে ভালো হয়। কোন বাড়িগুলোর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা হয়েছে বা হবে সেই তালিকা কাউন্সিলরকে অবগত করতে হবে। না হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাগরিকরা ভাবেন, এসব কাউন্সিলরের মদতে হচ্ছে।"
এই সমস্যা নিয়ে সহমত জানিয়েছেন বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝাও। তিনি জানান, সত্যি সমস্যার বিষয়। গাড়ি বাড়ছে, রাখার জায়গা কম। নতুন বাড়ির তলায় গাড়ি রাখার জায়গা করতে হবে। গ্যারেজের জায়গায় দোকান হলে সেই ফ্ল্যাটের লোকজন গাড়ি রাস্তায় রাখতে বাধ্য হন। এলাকার লোকজনকে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। কাউন্সিলরের নাম বদনাম হয়। কিন্তু কাউন্সিলর বিষয়টা জানতেই পারেন না। কাগজে আঁকা নকশা দেখলে ভালো লাগবে। বাস্তবে গেলে অন্য ছবি।
উল্লেখ্য, বহুতলে ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে নীচে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা বা গ্যারাজ বানানো হয় ৷ কিন্তু অভিযোগ, বছর খানেক যেতেই অনেক জায়গায় দেখা যায় গাড়ি রাখার জায়গায় একাধিক দোকান বা কারখানা তৈরি হচ্ছে। এই সমস্যা কলকাতা শহরের সব অংশেই প্রকট। আইনি পথে এগোতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে প্রোমোটার বাড়ির নকশা গ্যারেজের জায়গার চরিত্র বদল করে দোকান বা ব্যবসা করার জায়গায় রূপান্তর করেছে। সেখানে যাঁরা কিনেছেন তাঁরা ট্রেড লাইসেন্স পেয়েছেন কলকাতা কর্পোরেশন থেকে। ফলে আবাসিকদের গাড়ি রাখা নিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
1. টাকার বিনিময় স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ, ফেসবুক লাইভ কলেজ অধ্যাপকের
3. 'সংসদে নিরাপত্তায় বড় গলদ ছিল, বাংলার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই !' দিল্লি যাওয়ার আগে দাবি মমতার