কলকাতা, 16 জানুয়ারি: দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙার কথা রেল কর্তৃপক্ষ কখনওই বলেনি । বরং স্কাইওয়াকের একটি চলমান সিঁড়িকে ঘুরিয়ে দিক পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে । এবং ট্র্যাক তৈরি হয়ে গেলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে ওই চলমান সিঁড়িটি পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে । কলকাতা মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় রেড্ডির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইটিভি ভারতকে এ কথা জানিয়েছেন ৷
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেখানেই দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনের কিছুটা অংশ বাড়ানোর কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার রক্ত থাকতে আমি দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না । এটা আমার হৃদয়ের একটা মণিমুক্তোর মতো ।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের পক্ষ থেকে গত ডিসেম্বর মাসের 20 তারিখে পূর্ত দফতরের সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে । সেই চিঠির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "চিঠিতে স্কাইওয়াক ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ না হলে রেল পরবর্তী পদক্ষেপ করবে ৷" যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনকে 100 শতাংশ কার্যকরী করার জন্য এবং যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রেল ট্র্যাককে আরও কিছুটা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে ।
মমতা এমন দাবি করলেও এই বিষয়ে খুব স্পষ্ট করে মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় রেড্ডি জানান যে, এই কাজের জন্য দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের কিছুটা অংশের পরিবর্তন প্রয়োজন । স্কাইওয়াকের ক্ষেত্রেও কিছুটা বাড়ানো হবে এবং সেটি বর্তমান স্কাইওয়াকের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে । মোদ্দা কথা হল, বর্তমান স্কাইওয়াক যেমন আছে তেমনই থাকছে । স্কাইওয়াকটির নকশা কিছুটা পরিবর্তন করে সেটিকে একটু ঘুরিয়ে দেওয়া হবে । কাজ শেষ হলে স্কাইওয়াকে ওঠার সুবিধার জন্য আরও একটি চলমান সিঁড়িও করে দেবে মেট্রো । আরভিএনএল-এর দেওয়া নকশায় এই সবকিছু উল্লেখ করা রয়েছে বলে দাবি করেন জেনারেল ম্যানেজার ।
শুধুমাত্র দুটি পিলার তৈরি করার জন্য দুই মিটার বাই দুই মিটার জমির প্রয়োজন । তিনি খুব পরিষ্কার করে জানান যে, মেট্রো কর্তৃপক্ষ আখেরে রাজ্যের মানুষকেও সাহায্য করার চেষ্টা করছে । এর ফলে মেট্রো যাত্রীদের পাশাপাশি যাঁরা স্কাইওয়াক ব্যাবহার করছেন, তাঁদেরও যাতায়াতে অনেকটা সুবিধা হবে । এই কাজটি সম্পূর্ণ হলে দুটো প্লাটফর্মেই ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে । আরও দ্রুত হবে মেট্রো পরিষেবা । কর্তৃপক্ষের মতে, বিষয়টি হয়তো সঠিক ভাবে রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছয়নি । তাই এই বিভ্রান্তি ।
আরও পড়ুন: