কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: ঘেরাও মুক্ত হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ অন্যান্য অধ্যাপকরা (Kolkata Medical College Students Withdraw Their Sit in Protest) ৷ তবে, আজ দুপুর 2টোর মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ৷ তা না হলে, আমরণ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা ৷ পাশাপাশি, আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা এও জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলনের কারণে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হবে না ৷ কারণ, তাঁরা পড়ুয়া ৷ রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে তাঁরা সরাসরি সম্পর্কিত নন । এদিন ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর কয়েকজন অধ্যাপক শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ৷ তবে, অধিকাংশ অধ্যাপক এখনও মেডিক্যাল কলেজেই রয়েছেন ৷
দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি ৷ যার ফলে পড়ুয়াদের বিভিন্ন সমস্যাগুলির কোনও সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ আর সেই কারণে কলকাতা মেডিক্যালের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গত সোমবার রাত থেকে ঘেরাও আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়াদের একাংশ ৷ অধ্যক্ষ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের প্রধান এবং অন্যান্য অধ্যাপকদের ঘেরা করেন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা ৷ তাঁদের দাবি, দ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচন করতে হবে ৷ আর সেই নিয়ে আদ দুপুর 2টোর মধ্যে কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে আন্দোলনকারীরা ৷
এক আন্দোলনকারী পড়ুয়া বলেন, “আমরা ঘেরাও তুলে নিয়েছি ৷ সবাই চলে যেতে পারেন ৷ কিন্তু, আজ (বুধবার) দুপুর 2 টোর মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের জানাতে হবে ৷ অন্যথায় আমরণ আন্দোলন শুরু হবে ৷” তবে, অধিকাংশ বিভাগের প্রধান এবং অন্যান্য চিকিৎসক অধ্যাপকদের ঘেরাও করে রাখার ফলে মঙ্গলবার থেকে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৷ সকল চিকিৎসক অধ্যাপকদের ঘেরাও মুক্ত করতে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে যান নার্সরা ৷ কিন্তু, সেখানে তাঁরা আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের থেকে বাধা পান ৷
আরও পড়ুন: নির্বাচনের দাবিতে অটল পড়ুয়ারা, অচলাবস্থা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের মুক্ত করার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন নার্সরা ৷ এতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে ৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায় ৷ পরিষেবা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রোগীর পরিজনেরাও ৷ ফলে মঙ্গলবার দিনভর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷
প্রসঙ্গত, এর আগেও একবার নির্বাচনের দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছিলেন পড়ুয়ারা ৷ সেই সময় জানানো হয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে ৷ এর পর আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয় আগামী 23 ডিসেম্বর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে ৷ কিন্তু, পড়ুয়াদের অভিযোগ, কোনও অজানা কারণে সেই নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য় পিছিয়ে দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷ এরপরই দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে পড়ুয়াদের একাংশ সোমবার রাত থেকে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে ৷ পড়ুয়াদের অভিযোগ, এখনই নির্বাচন হলে শাসকদল হেরে যাবে ৷ সেই কারণেই বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷