কলকাতা, 5 অক্টোবর : আমফান দুর্নীতির বিষয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিবকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । 9 অক্টোবর মামলার শুনানিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিবকে আদালতে হাজির থাকতে হবে । জানাতে হবে, কেন এতদিনেও দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করতে পারেননি তাঁরা । আজ এই দিয়েছে নির্দেশ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ।
আমফান দুর্নীতিতে একাধিক মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে । আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা বণ্টনে যে দুর্নীতি হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে একাধিকবার রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের তরফে মামলার শুনানিতে হাজির ছিলেন না কেউ । আজ ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিবকে 9 অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ।
এর আগে প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল এখন পর্যন্ত কতজন আমফানের ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে রাজ্যের ওয়েবসাইটে । পাশাপাশি আবেদন সত্ত্বেও যারা এখনও ক্ষতিপূরণ পায়নি তাদের চিহ্নিত করতে । আজ প্রধান বিচারপতি অনুপস্থিত থাকায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয় ।
মামলাকারীদের মূল দাবি ছিল, বহু মানুষ এখনও আমফানের ক্ষতিপূরণ পায়নি । ক্ষতিপূরণ বন্টন নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে । যারা ক্ষতিপূরণ পায়নি তাদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিক আদালত । আদালতে মামলা হওয়ার পর রাজ্য সরকারের তরফে 6 ও 7 আগস্ট আবেদনপত্র জমা দেওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয় । ওই দুই তারিখে কোরোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে মানুষ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্লক অফিসে জমায়েত করে । কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্য বিকেল চারটে না বাজতেই আবেদন নেওয়া বন্ধ করে দেয় । এমনকী পুলিশ দিয়ে তাদেরকে জোর করে হটিয়ে দেওয়া হয় ।
17 অগাস্ট রাজ্যের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ওইদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশেষ মামলায় ব্যস্ত আছেন বলে মামলার শুনানি হয়নি । এরপর রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট । কিন্তু আজ মামলার শুনানিতেও রাজ্যের তরফে কেউ উপস্থিত ছিলেন না ।