কলকাতা, 12 জানুয়ারি : জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে জমি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে পুনরায় বিচারের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । 2015 সালে নদিয়ার জেলাশাসকের আর্বিট্রেশন বা সালিশি বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি আশিস কুমার চক্রবর্তী গতকাল এই নির্দেশ দিয়েছেন ।
বারাসত ডাকবাংলো মোড় থেকে ডালখোলা পর্যন্ত 34 নম্বর জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয় 2010 সালে । সেই অনুযায়ী জমি দিলে জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছিল জাতীয় সড়ক আইন 1956 সালের আইন অনুযায়ী । ইতিমধ্যে 2013 সালে কেন্দ্রীয় সরকার জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নতুন আইন আনে । 2014 সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই আইন কার্যকর হয় গোটা দেশে । সেইমতো শহর এলাকার ক্ষেত্রে বাজারমূল্যের 4 গুণ এবং গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে ওই 4 গুণের আরও দুই গুণ যোগ হবে, এছাড়াও নতুন আইন অনুসারে জমিদাতারা পাবেন অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা । কিন্তু, এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল তাঁদের । এই দাবি করে পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাসসহ একাধিক জমিদাতা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ।
আরও পড়ুন : বিজেপিকে দমদম পৌরসভার সভাগৃহে সভা করার অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের
সেই মামলাতেই গতকাল বিচারপতি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে জমি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে পুনর্বিচারের নির্দেশ দিলেন । রায় প্রসঙ্গে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, "এই রায়ে দুস্থ জমিদাতাদের আর্থিক সহায়তার একটা বড় সুযোগ এনে দিল আদালত । পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে জেলাশাসকের রায় খারিজ করে দেওয়ায় এই নতুন জমিদাতারা নতুন আইনে অনেক বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য হলেন ।"
তিনি আরও জানান, "জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য গোটা রাজ্যে জমিদাতাদের নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার রাস্তা খুলে গেল ।" এমনকী এই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সালিশিতে ত্রুটির অভিযোগ নিয়ে নতুন করে মামলা দায়ের করতে পারবেন জমি দিয়ে সন্তোষজনক ক্ষতিপূরণ না পাওয়া জমিদাতারা ।