কলকাতা, 29 জুন: গত তিন থেকে চার বছর সৌজন্যতা বজায় রাখতে পুজোর সময়ে কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশ পাঠানো হয়। ব্যাস! ওখানেই দাঁড়ি, বছর ভর আর নয়। তাই, চলতি বছর বর্ষার শুরুতেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রফতানির দাবি করা হচ্ছে (Kolkata Fish Trader Association Want Bangladeshi Hilsha Fish)।
মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, বাংলাদেশি ইলিশের স্বাদ যেমন তেমন গন্ধে ভরপুর ৷ ঠিক তেমনই দামও বেশি। চাহিদাও তুঙ্গে। পদ্মা সেতু চালুর পর ইলিশ রফতানি অনেকটাই সুবিধাজনক হবে। কলকাতা-ঢাকা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে ৷ কম সময়ে আর কম খরচে যাতায়াত হচ্ছে। পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। তাই, তারই অঙ্গ হিসাবে ফের সরকারি অনুমতি নিয়ে এপার বঙ্গে ইলিশ আসতে থাকুক। তিস্তা নদীর জল চুক্তি জটিলতায় 2012 সাল থেকে এদেশে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় শেখ হাসিনার সরকার। মাঝে মধ্যে চোরাপথে এদেশে ইলিশ ঢুকলেও কলকাতায় পৌঁছয় না বললেও চলে। অথচ, জলের এই রুপোলি শস্যর চাহিদা তুঙ্গে।
শিয়ালদা ওল্ড বৈঠকখানা ফিস সেলার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শঙ্কর কুমার গোলের দাবি, বহুবছর বাংলাদেশি ইলিশ কলকাতায় আসে না। দেশের কোথাও যায় না বলেই জানি। অথচ, 10-12 বছর আগে বর্ষার মরশুমে টন-টন ইলিশ ঢুকত কলকাতার মাছ বাজারগুলিতে। সম্প্রতি পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। পণ্য বাণিজ্য-পরিবহন সুলভ হয়েছে। তাই, আমরা এখন বাংলাদেশি ইলিশ পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই, দুই দেশের প্রধানরা তড়িঘড়ি আলোচনায় ব্যবস্থা করুক।"
আরও পড়ুন : ঢাকা-কলকাতা আরও কাছাকাছি, বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু খুলে দিলেন শেখ হাসিনা
উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। ওপার বাংলার মাছ ব্যবসায়ীরা পুজোর সময় বাংলাদেশ সরকারের থেকে অনুমতি নিয়ে কলকাতায় ইলিশ পাঠাতে পারেন। পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এই মাছ আসে।