ETV Bharat / state

"উৎসবের উন্মাদনাকে প্রশ্রয়, দায় এড়াতে পারবে না সরকার ও বিরোধীরা" - কলকাতা কোরোনা

চিকিৎসকরা বলেন, "রাজ্যের প্রশাসন আর সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমরা আবেদন করেছি । পরবর্তীতে আমাদের আশঙ্কা সত্যি হলে এরা তখন দায় এড়াতে পারবে না ।"

Kolkata Corona
Kolkata Corona
author img

By

Published : Oct 17, 2020, 2:23 PM IST

কলকাতা, 17 অক্টোবর : চিকিৎসকদের আবেদনকে অবজ্ঞা করে, তাঁদের আশঙ্কাকে অস্বীকার করে উৎসবের উন্মাদনাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে । চিকিৎসকদের আশঙ্কা সত্যি হলে, তখন দায় এড়াতে পারবে না সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো । এমনই জানিয়ে এ রাজ‍্যে উৎসবের সময় জনসমাগম রুখতে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো ফের আবেদন জানাল সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে তৈরি জয়েন্ট প্ল‍্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল ।

চিকিৎসকদের এই যৌথ মঞ্চের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল এবং পুজো কমিটিগুলির কাছে আগেই আবেদন জানানো হয়েছে । সেখানে বলা হয়েছে, আসন্ন পুজোর সময় উৎসব পালনের উৎসাহ উদ্দীপনায় কঠোরভাবে রাশ না টানলে পুজো পরবর্তী সময়ে এ রাজ্যে COVID-19 সংক্রমণের ভয়ংকর বিস্তার ও মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে । আশঙ্কার কথা প্রথমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে । এরপর রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো হয়েছে । অথচ, কোনও তরফ থেকেই এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেখতে পায়নি বলে দাবি চিকিৎসকদের এই যৌথ মঞ্চের ।

এই মঞ্চের অনলাইন পিটিশনে ইতিমধ্যেই 15 হাজার মানুষ সই করেছেন । এ দিকে, পুজোর বাজারে ভিড়, পুজোর আয়োজনে তৎপরতা ও আগ্রহ অব্যাহত । জয়েন্ট প্ল‍্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের যুগ্ম আহ্বায়ক চিকিৎসক হীরালাল কোঙার এবং চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেছেন, "সব কিছু এভাবে চললে পুজোর পর যে হারে অল্পসময়ের মধ্যে COVID-19-এ সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়বে । তা কিছুটা হলেও অনুমান করা যায় । ওই আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসা করতে হবে, সেই সময় একসঙ্গে তত বেড তো থাকবে না, ভেন্টিলেটর-ও মিলবে না । আবার, অত সংখ্যক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীও পাওয়া যাবে না ।" এছাড়াও তাঁরা বলেছেন, "তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যাবে না অনেক আক্রান্তকে । এর ফলে বাড়বে অবাঞ্ছিত মৃত্যুর সংখ্যা । এই আশঙ্কার কথা যাঁরা বুঝতে চাইছেন না, বুঝেও অন্য কিছু করতে চাইছেন না, তাঁরা আমাদের আবেদনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না । এটা তো পরোক্ষে আমাদের আবেদনকে অবজ্ঞা করা বা আশঙ্কাকে অস্বীকার করে উৎসবের উন্মাদনাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে ।"

এছাড়াও তাঁরা বলেন, "রাজ্যের প্রশাসন আর সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমরা আবেদন করেছি । পরবর্তীতে আমাদের আশঙ্কা সত্যি হলে এরা তখন দায় এড়াতে পারবে না । তখন যেমন সরকারকে দায়ি করে কথা বলার অধিকার থাকবে না সরকার বিরোধী দলগুলোর । তেমনই, কোনও ভাবে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে এই বিষয়ে কথা বলার অধিকার সরকার বা সরকারি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের থাকবে না ।"

ইতিমধ্যেই কলকাতার একটি বড় পুজো কমিটি (সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সর্বজনীন) অনুসরণযোগ্য বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছে । এ কথা জানিয়ে এবং এই পুজো কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে জয়েন্ট প্ল‍্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের যুগ্ম আহ্বায়ক চিকিৎসক হীরালাল কোঙার এবং চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেন, "রাজ্যের মানুষকে অবাঞ্ছিত রোগভোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সক্রিয় হতে, পরিহারযোগ্য মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করার জন্য এখনও সময় আছে । এই কারণে আবার আমরা অনুরোধ করছি, সব রাজনৈতিক দল, সরকার এবং পুজো কমিটিগুলির কাছে ।"

কলকাতা, 17 অক্টোবর : চিকিৎসকদের আবেদনকে অবজ্ঞা করে, তাঁদের আশঙ্কাকে অস্বীকার করে উৎসবের উন্মাদনাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে । চিকিৎসকদের আশঙ্কা সত্যি হলে, তখন দায় এড়াতে পারবে না সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো । এমনই জানিয়ে এ রাজ‍্যে উৎসবের সময় জনসমাগম রুখতে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো ফের আবেদন জানাল সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে তৈরি জয়েন্ট প্ল‍্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল ।

চিকিৎসকদের এই যৌথ মঞ্চের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল এবং পুজো কমিটিগুলির কাছে আগেই আবেদন জানানো হয়েছে । সেখানে বলা হয়েছে, আসন্ন পুজোর সময় উৎসব পালনের উৎসাহ উদ্দীপনায় কঠোরভাবে রাশ না টানলে পুজো পরবর্তী সময়ে এ রাজ্যে COVID-19 সংক্রমণের ভয়ংকর বিস্তার ও মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে । আশঙ্কার কথা প্রথমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে । এরপর রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো হয়েছে । অথচ, কোনও তরফ থেকেই এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেখতে পায়নি বলে দাবি চিকিৎসকদের এই যৌথ মঞ্চের ।

এই মঞ্চের অনলাইন পিটিশনে ইতিমধ্যেই 15 হাজার মানুষ সই করেছেন । এ দিকে, পুজোর বাজারে ভিড়, পুজোর আয়োজনে তৎপরতা ও আগ্রহ অব্যাহত । জয়েন্ট প্ল‍্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের যুগ্ম আহ্বায়ক চিকিৎসক হীরালাল কোঙার এবং চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেছেন, "সব কিছু এভাবে চললে পুজোর পর যে হারে অল্পসময়ের মধ্যে COVID-19-এ সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়বে । তা কিছুটা হলেও অনুমান করা যায় । ওই আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসা করতে হবে, সেই সময় একসঙ্গে তত বেড তো থাকবে না, ভেন্টিলেটর-ও মিলবে না । আবার, অত সংখ্যক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীও পাওয়া যাবে না ।" এছাড়াও তাঁরা বলেছেন, "তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যাবে না অনেক আক্রান্তকে । এর ফলে বাড়বে অবাঞ্ছিত মৃত্যুর সংখ্যা । এই আশঙ্কার কথা যাঁরা বুঝতে চাইছেন না, বুঝেও অন্য কিছু করতে চাইছেন না, তাঁরা আমাদের আবেদনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না । এটা তো পরোক্ষে আমাদের আবেদনকে অবজ্ঞা করা বা আশঙ্কাকে অস্বীকার করে উৎসবের উন্মাদনাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে ।"

এছাড়াও তাঁরা বলেন, "রাজ্যের প্রশাসন আর সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমরা আবেদন করেছি । পরবর্তীতে আমাদের আশঙ্কা সত্যি হলে এরা তখন দায় এড়াতে পারবে না । তখন যেমন সরকারকে দায়ি করে কথা বলার অধিকার থাকবে না সরকার বিরোধী দলগুলোর । তেমনই, কোনও ভাবে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে এই বিষয়ে কথা বলার অধিকার সরকার বা সরকারি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের থাকবে না ।"

ইতিমধ্যেই কলকাতার একটি বড় পুজো কমিটি (সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সর্বজনীন) অনুসরণযোগ্য বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছে । এ কথা জানিয়ে এবং এই পুজো কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে জয়েন্ট প্ল‍্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের যুগ্ম আহ্বায়ক চিকিৎসক হীরালাল কোঙার এবং চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেন, "রাজ্যের মানুষকে অবাঞ্ছিত রোগভোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সক্রিয় হতে, পরিহারযোগ্য মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করার জন্য এখনও সময় আছে । এই কারণে আবার আমরা অনুরোধ করছি, সব রাজনৈতিক দল, সরকার এবং পুজো কমিটিগুলির কাছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.