কলকাতা, 17 এপ্রিল : কোষাগারে টান, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়ে চিঠি দিল কলকাতা পৌরনিগম (KMC Gives Letter to State Gov) । পৌরনিগমে দীর্ঘদিন স্থায়ী পদে নিয়োগ বন্ধ । অন্যদিকে পরিসর বেড়েছে কাজের । তাই বাধ্য হয়েই বিভিন্ন সময় অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে হয় পৌর কর্তৃপক্ষকে । আইন অনুসারে, পৌরনিগমের স্থায়ী কর্মীদের বেতনের একাংশ রাজ্য সরকার দিলেও অস্থায়ী কর্মীদের সম্পূর্ণ বেতনের ভার বহন করতে হয় পৌর কর্তৃপক্ষকেই ৷ কিন্তু ক্রমশ তলানিতে ঠেকা আয়ের ফলে সেই বেতনের টাকা দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষে ৷
এমন পরিস্থিতিতে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে রাজ্য সরকারই ভরসা কলকাতা পৌরনিগমের কর্তাদের কাছে ৷ জানা গিয়েছে, রাজ্যের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন কলকাতা পৌরনিগমের কমিশনার বিনোদ কুমার ৷ কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, তৃণমূল বোর্ডের সময়কালে প্রায় দশ বছর পৌরনিগমে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়নি । একমাত্র জঞ্জাল সাফাই বিভাগে কয়েকশো কর্মী নেওয়া হয়েছিল । অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে এখন । পৌরনিগমের অন্দরের খবর, এভাবে আর কদিন অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান কর্তৃপক্ষ ৷
আরও পড়ুন : অসুস্থ হয়ে পড়লেন আন্দোলনরত এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি মীনাক্ষীর
অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এবার কড়া হচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ । যথেচ্ছ ভাবে যখন-তখন চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী কর্মী নেওয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ স্বচ্ছতা আনতে ও কত সংখ্যায় অস্থায়ী কর্মী কাজ করছেন তার উপর নজর রাখতে বিশেষ আইডি নম্বরও চালু করা হয়েছে । পৌরনিগম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বর্তমানে 14 হাজারের কাছাকাছি অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন । প্রতি মাসে তাঁদের বেতন বাবদ কমবেশি 20 কোটি টাকা খরচ হয় । বর্তমানে কোষাগারের যা হল, তাতে এই টাকা দিয়ে আর বেশিদিন দিয়ে চলা সম্ভব নয় বলে মনে করছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ কর্মীদের বেতন বন্ধ হলে তার প্রভাব পরিষেবায় পড়বে ও তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তাই এই পরিস্থিতিতিতে রাজ্যের দ্বারস্থ হল কলকাতা পৌরনিগম ৷