কলকাতা, 28 অগস্ট: প্রতিবছর পুজো হোক বা পয়লা বৈশাখ কিংবা ঈদ ৷ যে কোনও উৎসব উপলক্ষে আচমকাই ফুটপাতের ফাঁকফোকর দেখে গজিয়ে ওঠে নতুন হকার । নিউ মার্কেট থেকে শুরু করে হাতিবাগান এলাকায় রাস্তার উপরে পসরা সাজিয়ে বসেন তারা । আর এমন নতুন হকার বরদাস্ত করবে না কলকাতা পৌরনিগম। তাই পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজোর আগেই তালিকা বহির্ভূত হকারদের তুলে দিতে হবে। সোমবার মেয়র পারিষদের বৈঠকে হকার সমস্যা সংক্রান্ত এই এসওপি সিদ্ধান্তের অনুমোদন মিলেছে ।
বেহালাকাণ্ডের পর হকারদের কারণে যানজট, আর তার জেরে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে না কলকাতা পৌরনিগম। তাই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে । নতুন এসওপি অনুযায়ী আগে পুলিশি ব্যবস্থা, তারপর আলোচনা। টাউন ভেন্ডিং কমিটিতে আলোচনা পরে হবে ৷ আগে পুলিশ দিয়ে তোলা হবে নয়া হকারদের ।
এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, নতুন এই এসওপি শহরের হকার সমস্যা মেটাতে সাহায্য করবে । ডালাওয়ালার অত্যাচারে ফুটপাথে হাঁটাচলার জায়গা নেই । নেমে রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে ৷ শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই চিত্র। সম্প্রতি হাতিবাগান থেকে ফোন যায় হকার সমস্যা নিয়ে । এতদিন অভিযোগ পেয়ে আলোচনায় বসতো টাউন ভেন্ডিং কমিটি। সেখান থেকে সমাধান সূত্র বের হত। এখন নতুন বসা হকারদের ক্ষেত্রে আগে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে ।
বিষয়টি নিয়ে টাউন ভেন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান দেবাশিস কুমার বলেছেন, নতুন করে যে এসওপি তৈরি হয়েছে তাতে বলা হয়েছে হকারদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । পরে তা নিয়ে টাউন ভেন্ডিং কমিটিতে আলোচনা হবে ৷
কলকাতা পৌরনিগম এলাকা ও বৃহত্তর কলকাতা মিলিয়ে এই মূহূর্তে হকারের সংখ্যা 2 লক্ষ 75 হাজার। সংখ্যাটা নিয়ে সন্দিহান হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা। হকারের সংখ্যা জানতে 2012 সালে শেষবার সমীক্ষা হয়েছিল । হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা শক্তিমান ঘোষ জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ সমীক্ষা হলেই জানা যাবে শহরে এই মুহূর্তে হকারের সংখ্যা কত। বেআইনি হকার ঠেকাতে টাউন ভেন্ডিং কমিটির শংসাপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে হকারদের হাতে । সেই শংসাপত্র দেওয়ার পরেই শুরু হবে নতুন সমীক্ষা । নিয়ম অনুযায়ী শহরের মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ হকার থাকতে পারে ।
আরও পড়ুন : বেহালায় ছাত্রমৃত্যুর জের, মহানগর জুড়ে স্কুল গেটের 10 ফুটের মধ্যে আর হকার নয়