কলকাতা, 28 মার্চ: ঈদে দেওয়া হবে লুঙ্গি-শাড়ি, দুর্গাপুজোয় ফ্রক-শার্ট ৷ আর এসবই দেওয়া হবে বিনামূল্যে ৷ উদ্যোগ কলকাতা পৌরনিগমের ৷ ঈদ, বড়দিন বা দুর্গাপুজোর দিনে শহরের প্রান্তিক মানুষগুলো এবং তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতেই কলকাতা পৌরনিগমের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে (KMC to distribute dress for free in the eve of festivals)
পৌরনিগমের সামাজিক কল্যাণ ও দারিদ্র দূরীকরণ বিভাগের তরফে এই সব উৎসবের সময় সমাজের সবস্তরের মানুষরাই যাতে আনন্দে গা ভাসাতে পারেন, সেকারণেই বিনামূল্যে দেওয়া হবে নতুন জামাকাপড় । দুর্গাপুজো, ঈদ কিংবা বড়দিনে গড়িয়াহাট, শ্যামবাজার থেকে নিউ মার্কেট, সব জায়গাতেই উপচে পরে ভিড় । জমিয়ে চলে কেনাকাটা ৷ এই বাজারের লড়াইয়ে মন চাইলেও সামিল হতে পারে না আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল বা পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলি । ভ্যানচালক, রিক্সাচালক, দিনমজুর বা পরিচারিকারা চাইলেও নিজের স্ত্রী, সন্তান বা পরিবারের জন্য নতুন জামাকাপড় কিনতে পারেন না । এবার তাদের জন্যই বাজেটে নতুন পোশাক খাত বরাদ্দ করল কলকাতা পৌরনিগম।
বৃদ্ধ থেকে নবজাতক, সকলেই পাবে এই উপহার। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদ। আর সেই ঈদ উপলক্ষে 144টি ওয়ার্ডের সংখ্যালঘু মানুষদের মধ্যে শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি বিলি করবে কলকাতা পৌরনিগমের সমাজের কল্যাণ ও দারিদ্র দূরীকরণ বিভাগ। পৌরনিগম সূত্রে খবর, বাচ্চাদের জন্য বাবাস্যুট, তরুণীদের লেগিনস-কুর্তি এবং শাড়ি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: তিলজলার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা
একইভাবে, দুর্গাপুজোর মরশুমেও দেওয়া হবে এই পোশাক । কলকাতা পৌরনিগমের তথ্য বলছে, মহিলাদের তাঁতের শাড়ি এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে এখন লুঙ্গি দেওয়া হবে । চলতি বছর 14 হাজার 400টি ধুতি, 25 হাজার 920টি ফ্রক, 16 হাজার 300 লুঙ্গি, 25 হাজার 920টি বাবাস্যুট, 17 হাজার 280টি বারমুডা-টি শার্ট, 17 হাজার 280টি লেগিনস-কুর্তি মোট 144টি ওয়ার্ডের গরিব পরিবারের মধ্যে বিলি করা হবে ।
কলকাতা পৌরনিগমের সমাজ কল্যাণ ও নগর দারিদ্র দূরীকরণ বিভাগের মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "তন্তুজ থেকে কেনা হবে এই শাড়ি, ধুতি এবং লুঙ্গি । কেনার আগে আমি নিজের হাতে মান যাচাই করে নেব । ঈদের পর দুর্গাপুজোতেও দেওয়া হবে নতুন পোশাক ।" তাঁর কথায়, "সম্প্রীতির শহর কলকাতায় কোনও ধর্মের নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে নয়, সব ধর্মের লোকজনই পাবে এই উপহার । সব মিলিয়ে কলকাতার এক লক্ষেরও বেশি গরিব মানুষ এবছর নতুন জামা-কাপড় পাবেন ।"