কলকাতা, 27 মার্চ : প্রায়ই শহরের বাজার সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে ৷ ঘিঞ্জি জায়গার মধ্যে দাহ্য বস্তু পেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আগুন ৷ ফলে দমকল বাহিনী পৌঁছনোর আগেই আগুনের গ্রাসে চলে যাচ্ছে এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ ৷
কলকাতা পৌরনিগমের মতে, বাজারের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার একটা অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে হকারদের দোকানের উপর টাঙানো বড় বড় প্লাস্টিক ৷ এই দাহ্য বস্তুর ফলে মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করে আগুন ৷ গড়িয়াহাট মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের পর প্লাস্টিকের ব্য়বহার কমাতেই হকারদের ভ্রাম্যমাণ স্টল বা গাড়ি ব্য়বহার করার কথা বলে পৌরনিগম (KMC on Plastic Use in Market) ৷ বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ ও পৌরনিগম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দোকান থেকে প্লাস্টিক খুলে দিলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের দোকানগুলিতে প্লাস্টিকের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে ।
অতি সম্প্রতি কলকাতায় ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পৌর কর্তৃপক্ষের চিন্তা বাড়িয়েছে । হকাররা রোদ, জল আটকাতে আর মাথার ছাদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না প্লাস্টিক বা ত্রিপল । ফুটপাতের হকার কর্নার থেকে দ্রুত সরাতে হবে প্লাস্টিক । এই আবেদন জানিয়ে এবার কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম । সোমবারই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য লালবাজারে চিঠি পাঠানো (KMC will give a Letter to Lalbazar over plastic issue) হবে বলে শনিবার মেয়র পারিষদ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
এদিনের বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আর কোনও ঝুঁকি নেওয়া চলবে না । এখানে মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত । তাই প্লাস্টিক কিংবা ত্রিপলের বদলে বিকল্প কিছু করতে হবে । দ্রুত সব প্লাস্টিক সরিয়ে ফেলতে হবে ।"
পৌরনিগমের চিঠি পেয়ে কলকাতা পুলিশ কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার । তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, দু'দিন অভিযান করে ফের যে কে সেই হবে না তো ? বর্তমানে বিভিন্ন বাজার এলাকা বা শহরের অধিকাংশ ফুটপাথের এমনই চিত্র । এমনকি শিয়ালদা এনআরএস থেকে আরজিকর, বিভিন্ন বড় হাসপাতালগুলির লাগোয়া দেওয়ালে সার দিয়ে খাবার হোটেলগুলিতেও একই অবস্থা দেখা যায় ৷ তবে এসএসকেএম এবং হাজরা মোড়ের ফুড কর্নারের কিছু হকার ছোট গাড়িতে ব্যবসা করছেন ।
আরও পড়ুন : Illegal Arms Recovery : শহরের বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে তৎপর লালবাজার