ETV Bharat / state

Kolkata Municipal Corporation: সবুজ রক্ষায় তৎপর কলকাতা পৌরনিগম, ছুটির দিনেও কর্মীদের গাছে জল দেওয়ার নির্দেশ - গাছ

প্রখর রোদে শুকচ্ছে মাটি ৷ সবুজের প্রাণ রক্ষায় নিয়মিত জল দিতে ছুটির দিনেও কর্মীদের কাজের নির্দেশ কলকাতা পৌরনিগমের ৷

KMC
কলকাতা পৌরনিগম
author img

By

Published : Apr 23, 2023, 5:02 PM IST

কলকাতা, 23 এপ্রিল: ছুটির দিনেও কর্মীদের করতে হবে কাজ ৷ নিয়মিত দিতে হবে শহরের গাছগুলিতে জল ৷ এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের তরফে ৷ এরই মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে শহরে ৷ যার জেরে প্রখর রোদ ও তীব্র গরমের থেকে মিলেছে সাময়িক স্বস্তি । তবে হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে ফের গরম বাড়ার । তাপপ্রবাহের হাত থেকে সহজে রেহাই নেই আপাতত। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পৌরনিগমের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ এখন শহরের অবশিষ্ট সবুজ রক্ষা করা। তাই যেটুকু সবুজ আছে তাকে নিয়মিত দু'বেলা জল দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে পৌরনিগমের উদ্যান বিভাগ।

সম্প্রতি এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের 31 মে পর্যন্ত জলের গাড়িগুলিকে নিয়মিত কাজ করতে হবে । তাদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে । ছুটির দিনেও প্রতিদিনের মত নিয়ম করে দু'বেলা জল দিতে হবে গাছে । 44 ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল পারদ। দিনদু'য়েক হল তাপমাত্রা নেমেছে ৷ মিলেছে খানিক স্বস্তি । তবে ফের ঊর্ধবমুখী হবে পারদ। এর ফলে রোদে শুকোবে মাটি । তাই গাছের যাতে ক্ষতি না হয়, প্রতিদিন দিতে হবে দু'বেলা জল ।

পরিবেশ প্রেমীদের একাংশের দাবি, আমফানের মত দুর্যোগের পর কলকাতায় সবুজ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ৷ যা শহরবাসীর কাছে বিপদ সংকেত । কারণ সেসময় প্রচুর পরিমাণে গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে শহরে ৷ সংখ্যাটা কয়েক হাজারের কাছাকাছি ৷ তবে যে পরিমাণ গাছের ক্ষতি হয়েছিল সেই তুলনায় গাছ লাগানো হয়নি । ফলে বাতাসে দূষণ লাগামহীন । আর যত গাছ কমবে তাপমাত্রা বাড়বে ৷ সেটা আর বলার অবকাশ রাখে না । তাই এখন যেটুকু গাছ আছে শহর জুড়ে তাকে রক্ষা করতে হবে ৷ চারা গাছ বড় হচ্ছে সেটার দিকে লক্ষ্য দিতে হবে ৷ সেগুলিকেও রক্ষা করতে হবে এই গরমের আবহে ।

বর্ষার সময় নতুন চারা বসাতে হবে কলকাতাজুড়ে । না হলে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া মুশকিল । কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গাছে জল দিতে প্রায় দু'লক্ষ লিটার জল লাগে । যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে সেই জলের পরিমাণও দ্বিগুণ করা হচ্ছে । পৌরনিগমের কন্ট্রোল রুমে বেশ কিছু জায়গা থেকে গাছে জল দেওয়ার অনুরোধ আসে । অনেকেই জানান, চারা গাছ মরে যাচ্ছে নিয়মিত জল না-পেয়ে । সেই সব শোনার পরেই পরিস্থিতি বিচার করে কর্পোরেশনের নয়া সিদ্ধান্ত ।

ওয়াটার স্প্রিংকলার দেওয়া 12টি জলের গাড়ি রয়েছে শহরে ৷ তারাই গাছে জল দেওয়ার কাজ করে প্রতিদিন। গড়ে তিন থেকে চারটি ট্রিপ করে তারা । এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, গাছ রক্ষায় পৌরনিগম তৎপর । নিয়মিত জল দেওয়া হয় সেগুলিতে ৷ তবে যা গরম পড়েছে তাতে দু'বেলা জল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী 31 মে পর্যন্ত । ছুটির দিনগুলিতে কর্মী ও চালকরা জল দেওয়ার কাজ করবেন । এর জন্য অতিরিক্ত জ্বালানি তেল খরচ বরাদ্দ করা হচ্ছে । এদের অন্যতম লক্ষ্য কলকাতার গ্রিন বাফার জোনগুলিতে বেশি করে নজর দেওয়া ।

আরও পড়ুন: পরিষেবা পেয়ে কতটা সন্তুষ্ট নাগরিকরা, এবার রেটিং-ফিডব্যাকে জানবে পৌরনিগম

কলকাতা, 23 এপ্রিল: ছুটির দিনেও কর্মীদের করতে হবে কাজ ৷ নিয়মিত দিতে হবে শহরের গাছগুলিতে জল ৷ এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের তরফে ৷ এরই মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে শহরে ৷ যার জেরে প্রখর রোদ ও তীব্র গরমের থেকে মিলেছে সাময়িক স্বস্তি । তবে হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে ফের গরম বাড়ার । তাপপ্রবাহের হাত থেকে সহজে রেহাই নেই আপাতত। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পৌরনিগমের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ এখন শহরের অবশিষ্ট সবুজ রক্ষা করা। তাই যেটুকু সবুজ আছে তাকে নিয়মিত দু'বেলা জল দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে পৌরনিগমের উদ্যান বিভাগ।

সম্প্রতি এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের 31 মে পর্যন্ত জলের গাড়িগুলিকে নিয়মিত কাজ করতে হবে । তাদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে । ছুটির দিনেও প্রতিদিনের মত নিয়ম করে দু'বেলা জল দিতে হবে গাছে । 44 ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল পারদ। দিনদু'য়েক হল তাপমাত্রা নেমেছে ৷ মিলেছে খানিক স্বস্তি । তবে ফের ঊর্ধবমুখী হবে পারদ। এর ফলে রোদে শুকোবে মাটি । তাই গাছের যাতে ক্ষতি না হয়, প্রতিদিন দিতে হবে দু'বেলা জল ।

পরিবেশ প্রেমীদের একাংশের দাবি, আমফানের মত দুর্যোগের পর কলকাতায় সবুজ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ৷ যা শহরবাসীর কাছে বিপদ সংকেত । কারণ সেসময় প্রচুর পরিমাণে গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে শহরে ৷ সংখ্যাটা কয়েক হাজারের কাছাকাছি ৷ তবে যে পরিমাণ গাছের ক্ষতি হয়েছিল সেই তুলনায় গাছ লাগানো হয়নি । ফলে বাতাসে দূষণ লাগামহীন । আর যত গাছ কমবে তাপমাত্রা বাড়বে ৷ সেটা আর বলার অবকাশ রাখে না । তাই এখন যেটুকু গাছ আছে শহর জুড়ে তাকে রক্ষা করতে হবে ৷ চারা গাছ বড় হচ্ছে সেটার দিকে লক্ষ্য দিতে হবে ৷ সেগুলিকেও রক্ষা করতে হবে এই গরমের আবহে ।

বর্ষার সময় নতুন চারা বসাতে হবে কলকাতাজুড়ে । না হলে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া মুশকিল । কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গাছে জল দিতে প্রায় দু'লক্ষ লিটার জল লাগে । যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে সেই জলের পরিমাণও দ্বিগুণ করা হচ্ছে । পৌরনিগমের কন্ট্রোল রুমে বেশ কিছু জায়গা থেকে গাছে জল দেওয়ার অনুরোধ আসে । অনেকেই জানান, চারা গাছ মরে যাচ্ছে নিয়মিত জল না-পেয়ে । সেই সব শোনার পরেই পরিস্থিতি বিচার করে কর্পোরেশনের নয়া সিদ্ধান্ত ।

ওয়াটার স্প্রিংকলার দেওয়া 12টি জলের গাড়ি রয়েছে শহরে ৷ তারাই গাছে জল দেওয়ার কাজ করে প্রতিদিন। গড়ে তিন থেকে চারটি ট্রিপ করে তারা । এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, গাছ রক্ষায় পৌরনিগম তৎপর । নিয়মিত জল দেওয়া হয় সেগুলিতে ৷ তবে যা গরম পড়েছে তাতে দু'বেলা জল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী 31 মে পর্যন্ত । ছুটির দিনগুলিতে কর্মী ও চালকরা জল দেওয়ার কাজ করবেন । এর জন্য অতিরিক্ত জ্বালানি তেল খরচ বরাদ্দ করা হচ্ছে । এদের অন্যতম লক্ষ্য কলকাতার গ্রিন বাফার জোনগুলিতে বেশি করে নজর দেওয়া ।

আরও পড়ুন: পরিষেবা পেয়ে কতটা সন্তুষ্ট নাগরিকরা, এবার রেটিং-ফিডব্যাকে জানবে পৌরনিগম

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.