কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির (Jorasanko Thakur Bari) একাংশে করা হয়েছিল তৃণমূল শিক্ষাকর্মীদের দলীয় দফতর । আর সেই দফতর করতে গিয়েই পরিবর্তন হয়েছে ডিউটি ঘরের বেশকিছু অংশে । আদালতের নির্দেশে সেখানে পরিদর্শন করে এ কথা জানালেন হেরিটেজ কমিটির (KMC Heritage Committee) সদস্য হিমাদ্রী গুহ । বিষয়টি তারা লিখিত ভাবে আদালতে জমা করবেন বলে জানান । এরপর আদালত যেমন নির্দেশ দেবে, সেই মতো তাঁরা পদক্ষেপ করবেন বলে জানালেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী ।
কবিগুরুর জন্মস্থান শিল্পকলার অন্যতম পীঠস্থান ৷ সেই জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের মতো জায়গায় কোনও রাজনৈতিক দলের দফতর করা নিয়ে প্রাক্তনী, বর্তমান ছাত্রবৃন্দ ও রবীন্দ্রপ্রেমীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়ায় । বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ আদালত পর্যন্ত গড়ায় । এমন ঐতিহ্যশালী ভবনে এই কর্মকাণ্ড তৎক্ষণাৎ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় আদালত । সেই নির্দেশ মতোই বন্ধ করা হয় ডিউটি ঘর ।
পাশাপশি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে পরিদর্শনে গিয়ে হেরিটেজ ভবনের কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য কলকাতা পৌরনিগমের হেরিটেজ কমিটিকে নির্দেশ দেয় আদালত ৷ সেই নির্দেশ মতোই আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিল হেরিটেজ কমিটি ।
আরও পড়ুন: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে বেআইনি পার্কিং, নোংরা পরিবেশ ; সরব স্থানীয় কাউন্সিলর
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, পরিদর্শনে দেখা যায় একটি ঘরের রঙ পরিবর্তন করা হয়েছে । একটি ঘরের নিচের অংশে রঙ করা হয়েছে । দুটি ঘরের সিলিংয়ের কাঠামো পরিবর্তন করা হয়েছে । চৌকঠের অংশ ভেঙে নতুন করা হয়েছে । দরজার বেশ কিছু অংশ বদলেছে ৷ মেঝেতে সিমেন্ট করে তাতে পাথর বসানো হয়েছে ।
এ প্রসঙ্গে হেরিটেজ কমিটির সদস্য হিমাদ্রী গুহ বলেন, "আমরা আদালতের নির্দেশে এখানে পরিদর্শন করলাম । বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে । সেগুলো আমরা লিখিত ভাবে আদালতের কাছে জমা করব ।"
বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরীর দাবি, "গোটা ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আড়ালে রেখে করা হয়েছিল । জানা মাত্রই সেই দফতর বন্ধ করে দেওয়া হয় । সেখানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় । আদালত যেমন ভাবে বলবে, ঠিক সেই নির্দেশ মতোই আমরা পদক্ষেপ করব ।"