কলকাতা, 23 অগস্ট: কলকাতা কর্পোরেশনে সজল ঘোষের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ও বহিরাগত বিজেপি নেতাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। এই মর্মে বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষের নামে অভিযোগ দায়ের করলেন কলকাতা কর্পোরেশনের তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। ওই অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধস্তাধস্তিরও উল্লেখ আছে। এদিন কলকাতা কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন মালা রায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলররা। তৃণমূল কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে মুখ্য সচেতক অভিযোগ দায়ের করেছেন নিউ মার্কেট থানায়।
সম্প্রতি উত্তর কলকাতায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষকে নিয়ে বিজেপি কাউন্সিলর সাংবাদিক সম্মেলন করেন কর্পোরেশনেJ কাউন্সিলর ক্লাবে। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে বাধা দেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। দাবি ছিল, বিজেপি কাউন্সিলর সাংবাদিক সম্মেলন করুন কিন্তু দলের নেতা-কর্মীরা নয়। আর সেই দাবি ঘিরে গত শনিবার বচসা আর সেখান থেকে হাতাহাতি হয় দুই পক্ষের কাউন্সিলরদের মধ্যে। ধুন্ধুমার লাগে কর্পোরেশনে।
এরপর তৃণমূলের চিফ হুইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, তৃণমূল কাউন্সিলররা সাংবাদিক সম্মেলন থামাতে গেলে তাদের গায়ে হাত দেয় বিজেপি কাউন্সিলরের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করা সিআইএসএফ জওয়ানরা। কর্পোরেশনের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
সমস্যা ঠিক কী কারণে হল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বুধবার বৈঠক ডাকেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। সেখানে হাজির ছিলেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার, পৌর সচিব হরিহর প্রসাদ মণ্ডল, চিফ হুইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, কাউন্সিলর অসীম বসু।
বৈঠক শেষে মালা রায় জানিয়েছেন, সেদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়া অন্য কারও নিরাপত্তা রক্ষীকে কর্পোরেশনের লবিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। মালা রায় জানিয়েছেন, অন্য জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা রক্ষীকে কর্পোরেশনের লবির বাইরে নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া হবে। সেই নির্দিষ্ট জোনের মধ্যেই তাদের থাকতে হবে। সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে শনিবারের ঝামেলার সূত্রপাত।
ঠিক হয়েছে কোনও দলের কাউন্সিলররাই আর কাউন্সিলর ক্লাবরুম কিংবা লবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারবেন না। শুধুমাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করার নির্দিষ্ট জায়গাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করা যাবে। কর্পোরেশনের অনেকেই জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বন্ধ হতে চলেছে তাও। কাউন্সিলর ছাড়া কোনও অন্য কাউকে আর কাউন্সিলর রুমে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জবরদখল রুখতে পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের, 52টি জমিতে সরকারি সাইনবোর্ড