কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: 2016 নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উপরের দিকে নাম ছিল প্রিয়াঙ্কা দত্ত সমাদ্দারের ৷ 33 নম্বরে তাঁর নাম থাকলেও তিনি চাকরি পাননি, অথচ নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছিলেন মেধাতালিকায় 53 নম্বরে থাকা সরমা ঘোষ ৷ চুপ থাকেননি প্রিয়াঙ্কা ৷ হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সুবিচারের আশায় ৷ সেই মামলার শুনানিতে সোমবার সব দেখেশুনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেজায় কটাক্ষ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu slammed Partha Chatterjee) ৷ কটাক্ষের সুরে পার্থকে বিচারপতি বললেন, "চাকরি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয় ৷"
বিচারপতি বসু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আরও বলেন, "আন্দোলন করলেই কি চাকরি পাওয়া যায় !" বেআইনি উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে ঠিক এমনই ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওয়েটিং লিস্টে মেধাতালিকার শুরুর দিকে নাম থাকার সত্ত্বেও তাকে চাকরি না-দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন প্রিয়াঙ্কা দত্ত সমাদ্দার।
আদালত সূত্রে খবর, 14 জানুয়ারি, 2020 সরমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই বছরই 20 মার্চ তাঁকে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা দত্ত সমাদ্দারের দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং অবস্থান বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন সরমা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই সময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে সরমা-সহ আরও বেশ কয়েকজনকে ডেকে চাকরি দিয়েছিলেন। সরমা ঘোষকে এই মামলায় যুক্ত করা হলে তিনিও একথা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ এদিন সরমা আদালতে ফের সে কথা জানালে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "চাকরি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয় ৷ আন্দোলন করলেই কি চাকরি পাওয়া যায় !"
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা বিদ্যুতের, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও
যেহেতু নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছেন সরমা ঘোষ নামে ওই শিক্ষিকা, তাই কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতাবলেই তাঁর চাকরির সুপারিশ বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।