কলকাতা, 29 মার্চ: এবার প্রশ্নের মুখে 42 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি (42000 Teachers can lose their Job due to Primary Recruitment Scam) । 2016 সালের নিয়োগ নিয়ে সিবিআইয়ের দায়ের করা রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ।
এই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারি হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, কোনও অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি । নিয়ম অনুয়ায়ী, 5% অ্যাডিশনাল প্যানেল তৈরি করাই হয়নি । পাশাপাশি এস বসু রায় এবং কোম্পানিকে কোনও রকম টেন্ডার ছাড়াই নিয়োগের কাজে নিযুক্ত করা হয় । তাতে 10 লক্ষ টাকা আগাম দেওয়া হয়েছিল ।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, "2016 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে একটা বাইরের এজেন্সিকে গোপন নথির (ওএমআর) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল টেন্ডার ছাড়াই । তাদেরকে আগাম পেমেন্টও দেওয়া হয়েছিল । এটা দুর্নীতি নয় তো কী ? কী করে এই সরকারের শিক্ষা দফতর এই বেআইনি কাজ মেনে নিল ?"
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর নির্দেশেই হয়েছিল কি না সেটা দেখার । যেখানে 42 হাজার 942-এর বেশি নিয়োগ হয়েছিল । তা বাতিল বলে ঘোষণা করতে হবে কি না খতিয়ে দেখা দরকার বলে উল্লেখ বিচারপতির । তারজন্য ডিজিটাইজ ওয়ে মার্কশিটের বিষয়ে 4 এপ্রিল মামলার শুনানি করা হবে । 6 এপ্রিল ফের আর একটা মামলার শুনানি হবে ।
আরও পড়ুন: এবার নজরে প্রাথমিক শিক্ষা সচিব, নথি-সহ ডাক পড়ল ইডি দফতরে
তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচি হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, 'Adbl' কোড নামে প্যানেল দেখিয়ে নিয়োগ হয়েছে । কিন্তু কোনও অ্যাডিশনাল প্যানেল করাই হয়নি । এদিন শুনানিতে মামলাকারী রাকেশ মণ্ডলের তরফে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, "যদি দেখা যায় ব্যাপক দূর্নীতি হয়েছে, তাহলে তাতে দু-চারজন সৎ থাকলেও তাদের ভুগতে হয় । কিছু করার নেই । 42 হাজার নিয়োগেই যদি বেশি সংখ্যক দূর্নীতি হয় তাহলে তা বাতিল করাই উচিত ।"
তারপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আমি চাইছি, যে বিপুল দূর্নীতি হয়েছে তাতে অন্তত 1% আধিকারিকদের আমি বরখাস্ত করতে চাই । তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই । তার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করব ।"