কলকাতা 2 মার্চ: ফের দুর্নীতির অভিযোগ ৷ এবার 2020 সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়মের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ (CBI Probe in 2020 Primary Recruitment)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে আদালত গঠিত সিবিআই'য়ের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট এই দুর্নীতির তদন্ত করবে । ইডি-কেও সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা রেখে কাজ করতে হবে । কীভাবে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে (যারা ওএমআর সিট সাপ্লাই দিত) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের গোপন বিভাগ হিসেবে কাজ করতে দেওয়া হল, তা জানতেই এই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে ।
2020 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্ষদ নম্বর বিভাজন সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করার পর দেখা যাচ্ছে অন্তত 15 থেকে 20 জন প্রার্থীকে মাধ্যমিক পাসে 5 নম্বর বরাদ্দ থাকলেও তাকে দেওয়া হয়েছে 6 এরও বেশি নম্বর । একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পাসের 10 বরাদ্দ থাকলেও দেওয়া হয়েছে 15 । এছাড়াও প্রশিক্ষণে 15-র জায়গায় দেওয়া হয়েছে 23। এরা সকলেই বর্তমানে চাকরি করছে।
এই সবটাই পর্ষদের গোপন বিভাগ এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি করেছে বলে অভিযোগ । তাই বিচারপতির নির্দেশ, কীভাবে বাইরের এক এজেন্সি পর্ষদের গোপনীয় বিভাগ হিসেবে কাজ করতে পারে তা সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে হবে । পাশাপাশি যদি দেখা যায় এমন ভুলের কারণে অনেকে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন সেক্ষেত্রে পর্ষদের সে সময়ের অ্যাড হক কমিটির প্রতিটি সদস্যকে জেরা করতে হবে । প্রয়োজনে সিস্টার এমিলিয়া বাদে নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সকলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে। প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে 20 এপ্রিলের মধ্যে। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত হবে ।
48 ঘণ্টার মধ্যে সিবিআই ওই কমিটির সদস্যদের জেরা করা শুরু করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে আদালত। কীভাবে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে গোপনীয় বিভাগ হিসেবে কাজ করতে দেওয়া হল জেরা করে সেই তথ্য উদ্ধার করতে হবে । ওই কোম্পানিও এই তদন্তের আওতার বাইরে নয় । প্রয়োজনে তাদেরও হেফাজতে নিতে হবে । 20 এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।
আরও পড়ুন : 2016 প্রাথমিকে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি, হাইকোর্টে লিখিত জানালেন ইন্টারভিউয়াররা