কুলপি, 28 জানুয়ারি: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ৷ সোমবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার কুলপি থানার তুলসীচক এলাকায় ৷ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির সামনের রাস্তায় মৃত গৌতম হালদারের (51) দেহ দেখতে পান ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় টোটোচালক গৌতম সোমবার রাতে বাড়ি ফেরেন ৷ তারপর বাড়ির সামনে টোটোর ব্যাটারি চার্জে দিয়ে রাস্তার পাশে বসেছিলেন তিনি ৷ অভিযোগ, তখনই পিছন থেকে স্ত্রী মল্লিকা হালদার তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান ৷ মঙ্গলবার ভোরে রাস্তার পাশে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা ৷ এরপরেই বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয় ৷
পুলিশ তদন্তে নেমে গৌতমকে হত্যার অভিযোগে মল্লিকা এবং তাঁর প্রেমিক গুরুদাস গায়েনকে গ্রেফতার করেছে ৷ জানা গিয়েছে, গৌতম এবং মল্লিকার দুই সন্তান রয়েছে ৷ তাঁদের বড় মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে এবং ছোট ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে ৷ পুলিশ এই ঘটনায় মৃতের মেয়ে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রী’র সঙ্গে গৌতমের দীর্ঘদিন ধরেই দাম্পত্য কলহ চলছিল ৷ অভিযোগ, স্ত্রী মল্লিকার সঙ্গে স্থানীয় যুবক গুরুদাস গায়েনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হত ৷ এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে সালিশি সভাও বসানো হয়েছিল ৷ তবে, সেখানে কোনও সুরাহা হয়নি ৷
আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মল্লিকা হালদার এবং গুরুদাস গায়েনকে গ্রেফতার করেছে কুলপি থানার পুলিশ ৷ মৃতের ভাই দাবি করেছেন, "আমার দাদাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ৷ আমি চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে আমার দাদার খুনিদের শাস্তি দিক ৷"
এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, "বেশ কয়েকদিন ধরে গৌতম হালদার স্ত্রী’র সঙ্গে গুরুদাস গায়েনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ বেশ কয়েকবার সালিশি সভা বসানো হয়েছিল ৷ ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এই খুন ৷ ইতিমধ্যে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ডহারবার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে ৷ মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে ৷"