ETV Bharat / state

মমতার একুশে, এক কঠিন লড়াইয়ের সামনে নেত্রী - 21শে জুলাই শহিদ দিবস

অনেকটাই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি । একদিকে লকডাউন অন্যদিকে আমফানের ত্রাণ বণ্টন নিয়ে নানা অভিযোগ । গোদের উপর বিষ ফোঁড়ের মতো রাজ্যে রকেট গতিতে BJP-র উত্থান । এক কঠিন পরিস্থিতির সামনে মমতা এবং তাঁর দল । সামনেই বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে সম্ভবত শেষ একুশে । মমতার ভোকাল টনিকের অপেক্ষায় তাঁর সৈনিকরা । কী বার্তা দেবেন নেত্রী ? আলোচনায় দীপঙ্কর বসু ।

July 21 rally
মমতার একুশে, এক কঠিন লড়াইয়ের সামনে নেত্রী
author img

By

Published : Jul 20, 2020, 6:33 PM IST

কলকাতা, 20 জুলাই : গত বছরের টার্নিং পয়েন্ট ছিল BJP-কে তুলোধনা করা । সঙ্গে অবশ্যই ‘কাট মানি’ ইশু । এ বছর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আবারও সেই একই দুঃস্বপ্নের প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে । আর তা-ও আবার ঠিক 21শে জুলাই শহিদ দিবসের জনসভার প্রাক্কালেই । যে দিনটা সাধারণত শুধুই মমতার ।

কোভিড-19 প্যানডেমিক এবং তার জেরে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে এই প্রথম 21শের জনসভা ডিজিটাল মাধ্যমে হতে চলেছে । তার উপর এমন সময়ে তা হচ্ছে, যখন বাংলার প্রেক্ষাপটজুড়ে BJP-র প্রাধান্য ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে । তৃণমূলের নেতা-পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বেড়ে চলেছে । সর্বোপরি, প্রথমত লকডাউন ও দ্বিতীয়ত ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে বিপর্যস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণসামগ্রী, অর্থ সাহায্য বণ্টনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গরমিলের পাহাড় প্রমাণ অভিযোগের জমেছে ।

2019 সালে একাধিক কারণে মমতা জনরোষের মুখে পড়েছিলেন । যার জন্য তাঁকে 21শের মঞ্চ থেকে নিজের দলের নেতাদের ‘কাট মানি’ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে হয়েছিল । সরকারি প্রকল্প থেকে জনগণকে উপকৃত হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেআইনিভাবে এই কমিশন তথা 'কাট মানি' তুলেছিলেন তাঁর দলের তাবড় নেতারা । সন্দেহ নেই, 'কাট মানি' মমতার স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে সেই সময় বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল । এ বছর ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর ত্রাণ বণ্টনে দুর্নীতির দায়ে দলের কিছু অভিযুক্ত কর্মী এবং নেতাকে নিয়ে মমতাকে আবার সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে এবং হচ্ছেও । সঙ্গে ধেয়ে আসছে কড়া সমালোচনা ।

পশ্চিমবঙ্গে 2019-এ গেরুয়া ব্রিগেডের দুরন্ত ফল মমতাকে আবার নতুন করে কৌশল সাজাতে বাধ্য করেছিল । লোকসভা ভোটে বাংলায় BJP ১৮ টি আসন পায় । আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে একুশে জুলাইয়ের এই শহিদ দিবসের জনসভাই সম্ভবত তাঁর শেষ 21শের সভা । কাজেই এবার চাপটা অনেক বেশি । 1993 সালের 21 জুলাই মধ্য কলকাতার চৌরঙ্গির কাছে পুলিশের গুলিতে 13 জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয় । তখন থেকেই নিহতদের স্মরণে মমতা এই জনসভার আয়োজন করে আসছেন । গত কয়েক বছরে এই জনসভার তাৎপর্য এবং বহর ক্রমশ বেড়েছে, কারণ এই জনসভা থেকে মমতা তাঁর পরবর্তী পরিকল্পনাসমূহ এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রোডম্যাপ পেশ করেন । এ বছর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সাগ্রহে অপেক্ষা করবেন এটা জানতে, দিদি তাঁদের বর্তমান এবং সুস্পষ্ট 'ত্রাস' BJP-র সঙ্গে মোকাবিলা করার কী পথ বাতলে দেন । সেই মমতা, যিনি 2021-র বিধানসভা ভোটে জিতে হ্যাটট্রিক করতে চান । সেই মমতা, যাঁর দিকে গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রথম রাউন্ডে চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধেয়ে এসেছিল ।

সন্দেহ নেই, লোকসভা ভোটে তৃণমূল জোরদার ধাক্কা খেয়েছিল । গোটা উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে । তবে, এটাও বাস্তব যে, গত বছরের শেষের দিকে বিধানসভার উপ-নির্বাচনে মমতা কামব্যাক করতে পেরেছিলেন তিনটি আসনেই জয় হাসিল করে । তৃণমূলের পরবর্তী পরীক্ষা হতে পারত রাজ্যব্যাপী পৌরভোট, চলতি বছরের গোড়ার দিকে যা হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু, কোভিড-19 প্যানডেমিকের জন্য তা পিছিয়ে গিয়েছে এবং যার অর্থ দাঁড়ায়, 2021-এর বিধানসভা ভোটের পূর্বাভাস পাওয়া গেল না । অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের ভালো ফলকে হাতিয়ার করে BJP মমতা ও তাঁর তৃণমূলকে জোরদার টক্কর দিতে প্রস্তুতি অনেকটা সংগঠিত করে নিতে পারল ।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘হিন্দু শরণার্থী’দের বসবাসের ইশু এবং 30টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব এমন একটি ফ্যাক্টর যা BJP এবং তৃণমূল, কেউই উপেক্ষা করতে পারবে না । গেরুয়া ব্রিগেড ইতিমধ্যেই মতুয়াদের ক্ষোভে ইন্ধন জুগিয়েছে । মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন 1971 সাল থেকে ভারতে রয়েছেন এবং ভারতের নাগরিকত্ব দাবি করে চলেছেন । BJP বঙ্গের সেই 2.5 কোটি ভোটারদের উপর নির্ভর করছে, যাঁরা বহু বছর ধরে, ধাপে-ধাপে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন এবং বসবাস করছেন । ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে দাপুটে জয় হাসিল করেছে BJP, এবার তাদের লক্ষ্য মমতার এখনও পর্যন্ত অভেদ্য গড় হিসাবে পরিচিত দক্ষিণবঙ্গ । যার প্রস্তুতিতে তারা কোনও খামতি রাখতে চাইছে না এবং ঘর গোছানোর কাজে তারা ইতিমধ্যেই অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা এবং নির্মলা সীতারামনের মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সামিল করেছে ।

এটা ঠিক যে, মমতা এবং তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস CAA-বিরোধী এবং NRC-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন থেকে কিছুটা হলেও লাভবান হয়েছে । কিন্তু, হিন্দু শরণার্থীদের জন্য BJP-র বার্তা খুব সহজ । CAA-র মাধ্যমে BJP ভারতে তাদের স্থায়ী এবং বৈধ ঠিকানার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে এবং তৃণমূল এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে । গত লোকসভা ভোটে এই নীতি প্রয়োগ করে সুফল ঘরে তোলে গেরুয়া শিবির । 2021-এর রাজ্য বিধানসভা ভোটে এবারও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করবে, এটা প্রায় নিশ্চিত এবং এভাবেই তারা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ।

2019 উপ-নির্বাচনের পর মমতাকে দেখা গিয়েছিল সমর্থক ও দলীয় কর্মীদের তাঁর নিজস্ব, অননুকরণীয় ভঙ্গিতে বলতে, 'বাংলার পাপ, BJP সাফ' । সেই একই ধারা কী তিনি 2021 বিধানসভা ভোটেও বজায় রাখতে পারেন? পারবেন কী ক্রমশ ক্ষমতা বাড়াতে থাকা BJP এবং বাম-কংগ্রেস জোটের (যারা ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর তৃণমূল স্তরে ত্রাণকার্যে অংশ নিয়ে মানুষের মনে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে) মোকাবিলা করতে ? 21 জুলাই, অর্থাৎ কাল সবার চোখ থাকবে পর্দায়, দুপুর দু'টোয় । যেখানে ‘ভার্চুয়ালি’ আবির্ভূত হবেন মমতা তাঁর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিতে ।

সন্দেহ নেই, বাস্তবিকই তৃণমূল স্তরে তাঁর কাঁধে এখন কঠিন দায়িত্ব ।

কলকাতা, 20 জুলাই : গত বছরের টার্নিং পয়েন্ট ছিল BJP-কে তুলোধনা করা । সঙ্গে অবশ্যই ‘কাট মানি’ ইশু । এ বছর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আবারও সেই একই দুঃস্বপ্নের প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে । আর তা-ও আবার ঠিক 21শে জুলাই শহিদ দিবসের জনসভার প্রাক্কালেই । যে দিনটা সাধারণত শুধুই মমতার ।

কোভিড-19 প্যানডেমিক এবং তার জেরে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে এই প্রথম 21শের জনসভা ডিজিটাল মাধ্যমে হতে চলেছে । তার উপর এমন সময়ে তা হচ্ছে, যখন বাংলার প্রেক্ষাপটজুড়ে BJP-র প্রাধান্য ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে । তৃণমূলের নেতা-পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বেড়ে চলেছে । সর্বোপরি, প্রথমত লকডাউন ও দ্বিতীয়ত ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে বিপর্যস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণসামগ্রী, অর্থ সাহায্য বণ্টনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গরমিলের পাহাড় প্রমাণ অভিযোগের জমেছে ।

2019 সালে একাধিক কারণে মমতা জনরোষের মুখে পড়েছিলেন । যার জন্য তাঁকে 21শের মঞ্চ থেকে নিজের দলের নেতাদের ‘কাট মানি’ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে হয়েছিল । সরকারি প্রকল্প থেকে জনগণকে উপকৃত হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেআইনিভাবে এই কমিশন তথা 'কাট মানি' তুলেছিলেন তাঁর দলের তাবড় নেতারা । সন্দেহ নেই, 'কাট মানি' মমতার স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে সেই সময় বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল । এ বছর ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর ত্রাণ বণ্টনে দুর্নীতির দায়ে দলের কিছু অভিযুক্ত কর্মী এবং নেতাকে নিয়ে মমতাকে আবার সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে এবং হচ্ছেও । সঙ্গে ধেয়ে আসছে কড়া সমালোচনা ।

পশ্চিমবঙ্গে 2019-এ গেরুয়া ব্রিগেডের দুরন্ত ফল মমতাকে আবার নতুন করে কৌশল সাজাতে বাধ্য করেছিল । লোকসভা ভোটে বাংলায় BJP ১৮ টি আসন পায় । আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে একুশে জুলাইয়ের এই শহিদ দিবসের জনসভাই সম্ভবত তাঁর শেষ 21শের সভা । কাজেই এবার চাপটা অনেক বেশি । 1993 সালের 21 জুলাই মধ্য কলকাতার চৌরঙ্গির কাছে পুলিশের গুলিতে 13 জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয় । তখন থেকেই নিহতদের স্মরণে মমতা এই জনসভার আয়োজন করে আসছেন । গত কয়েক বছরে এই জনসভার তাৎপর্য এবং বহর ক্রমশ বেড়েছে, কারণ এই জনসভা থেকে মমতা তাঁর পরবর্তী পরিকল্পনাসমূহ এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রোডম্যাপ পেশ করেন । এ বছর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সাগ্রহে অপেক্ষা করবেন এটা জানতে, দিদি তাঁদের বর্তমান এবং সুস্পষ্ট 'ত্রাস' BJP-র সঙ্গে মোকাবিলা করার কী পথ বাতলে দেন । সেই মমতা, যিনি 2021-র বিধানসভা ভোটে জিতে হ্যাটট্রিক করতে চান । সেই মমতা, যাঁর দিকে গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রথম রাউন্ডে চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধেয়ে এসেছিল ।

সন্দেহ নেই, লোকসভা ভোটে তৃণমূল জোরদার ধাক্কা খেয়েছিল । গোটা উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে । তবে, এটাও বাস্তব যে, গত বছরের শেষের দিকে বিধানসভার উপ-নির্বাচনে মমতা কামব্যাক করতে পেরেছিলেন তিনটি আসনেই জয় হাসিল করে । তৃণমূলের পরবর্তী পরীক্ষা হতে পারত রাজ্যব্যাপী পৌরভোট, চলতি বছরের গোড়ার দিকে যা হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু, কোভিড-19 প্যানডেমিকের জন্য তা পিছিয়ে গিয়েছে এবং যার অর্থ দাঁড়ায়, 2021-এর বিধানসভা ভোটের পূর্বাভাস পাওয়া গেল না । অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের ভালো ফলকে হাতিয়ার করে BJP মমতা ও তাঁর তৃণমূলকে জোরদার টক্কর দিতে প্রস্তুতি অনেকটা সংগঠিত করে নিতে পারল ।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘হিন্দু শরণার্থী’দের বসবাসের ইশু এবং 30টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব এমন একটি ফ্যাক্টর যা BJP এবং তৃণমূল, কেউই উপেক্ষা করতে পারবে না । গেরুয়া ব্রিগেড ইতিমধ্যেই মতুয়াদের ক্ষোভে ইন্ধন জুগিয়েছে । মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন 1971 সাল থেকে ভারতে রয়েছেন এবং ভারতের নাগরিকত্ব দাবি করে চলেছেন । BJP বঙ্গের সেই 2.5 কোটি ভোটারদের উপর নির্ভর করছে, যাঁরা বহু বছর ধরে, ধাপে-ধাপে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন এবং বসবাস করছেন । ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে দাপুটে জয় হাসিল করেছে BJP, এবার তাদের লক্ষ্য মমতার এখনও পর্যন্ত অভেদ্য গড় হিসাবে পরিচিত দক্ষিণবঙ্গ । যার প্রস্তুতিতে তারা কোনও খামতি রাখতে চাইছে না এবং ঘর গোছানোর কাজে তারা ইতিমধ্যেই অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা এবং নির্মলা সীতারামনের মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সামিল করেছে ।

এটা ঠিক যে, মমতা এবং তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস CAA-বিরোধী এবং NRC-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন থেকে কিছুটা হলেও লাভবান হয়েছে । কিন্তু, হিন্দু শরণার্থীদের জন্য BJP-র বার্তা খুব সহজ । CAA-র মাধ্যমে BJP ভারতে তাদের স্থায়ী এবং বৈধ ঠিকানার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে এবং তৃণমূল এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে । গত লোকসভা ভোটে এই নীতি প্রয়োগ করে সুফল ঘরে তোলে গেরুয়া শিবির । 2021-এর রাজ্য বিধানসভা ভোটে এবারও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করবে, এটা প্রায় নিশ্চিত এবং এভাবেই তারা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ।

2019 উপ-নির্বাচনের পর মমতাকে দেখা গিয়েছিল সমর্থক ও দলীয় কর্মীদের তাঁর নিজস্ব, অননুকরণীয় ভঙ্গিতে বলতে, 'বাংলার পাপ, BJP সাফ' । সেই একই ধারা কী তিনি 2021 বিধানসভা ভোটেও বজায় রাখতে পারেন? পারবেন কী ক্রমশ ক্ষমতা বাড়াতে থাকা BJP এবং বাম-কংগ্রেস জোটের (যারা ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর তৃণমূল স্তরে ত্রাণকার্যে অংশ নিয়ে মানুষের মনে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে) মোকাবিলা করতে ? 21 জুলাই, অর্থাৎ কাল সবার চোখ থাকবে পর্দায়, দুপুর দু'টোয় । যেখানে ‘ভার্চুয়ালি’ আবির্ভূত হবেন মমতা তাঁর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিতে ।

সন্দেহ নেই, বাস্তবিকই তৃণমূল স্তরে তাঁর কাঁধে এখন কঠিন দায়িত্ব ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.