কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। স্কুল বাছাই হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিয়োগ পত্র তাদের হাতে এসে পৌঁছয়নি এই অভিযোগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছে যান চাকরিপ্রার্থীরা। আইনি জটিলতা কাটিয়ে তাদের যেন দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হয় সেই কারণেই বুধবার এই বিক্ষোভ করা হয় বিচারপতির বাড়ির সামনে এমনটাই জানা গিয়েছে। বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের হাতে পোস্টার প্ল্যাকার্ডও ছিল ৷ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এদিন দেখা করতে বেরিয়ে আসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷
আইনি জটিলতা কাটিয়ে তাদের দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে বুধবার এই জমায়েত হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বাড়ির সামনে। যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে নয় বরং, বিক্ষোভকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল, "আমরা ভগবান দর্শনে এসেছি। ভগবান আমাদের উদ্ধার করুন।" এদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ির উপর থেকে নীচে নেমে এসে কথা বলেন অভিজিৎ গঙ্গপাধ্যায়। তাঁদের সমস্যার কথা শুনে বিক্ষোভকারীদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শও দেন তিনি। আর্থিক সমস্যা দূর করতে লিগাল এইড সেলে যাওয়ার পরামর্শও দেন বিচারপতি। পাশাপাশি কেন তারা তাঁর বাড়িতে এসেছেন সেই বিষয়টিও জানতে চান বিচারপতি।
সেখানে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তারা কারও কথা বা পরামর্শে আসেনি। নিজেদের ইচ্ছেতেই তারা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে এসেছে বলে জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। তবে না-জানিয়ে আসার জন্য অনেকেই ক্ষমা প্রার্থনা করেন এদিন। সেখানে বিচারপতিকে বলতে শোনা যায় , "এতে ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই।"
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী সোমা দাস। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতির কাছে আবেদন করেন, সোমা দাসের মতো তাঁদেরও সুপারিশ করে দিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেখানে বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, "সোমা দাসের চাকরির ব্যবস্থা আমি করিনি। মানবিক কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সোমা দাসের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। আমি তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম মাত্র।"
আরও পড়ুন: