কলকাতা, 24 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আবারও উঠছে বিতর্ক । এবার প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাকে ঘিরে । বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে জরুরি বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠানো হয় । সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালের তৈরি করা অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির প্রধান তথা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে । সেই বৈঠকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।
সূত্রের খবর, উপাচার্য অভিযোগ তুলেছেন, এই কমিটি নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ তাঁর কাছে রয়েছে । তার ফলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপাচার্যের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন, যদি এই কমিটি নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকে তাহলে তদন্ত কমিটি নতুন করে গঠন করা হবে । যার নেতৃত্বে থাকবেন কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ৷
এছাড়াও রাজভবনের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে তৎপর হয়েছেন । তিনি বলেন, "রাজ্যপাল বলেছেন নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন, তা করতে হবে ইউজিসির গাইডলাইন মেনে । আজকের মধ্যেই সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু কথা উনি বলছিলেন । তবে আজ তা সম্ভব নয়, কাল আমরা দেখব ।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওয়েবেল থেকে একটি খসড়া তাদের কাছে এসেছে, যেখানে প্রায় 35 লক্ষেরও বেশি খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য ৷ এছাড়াও নতুন আরেকটি সংস্থার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে । তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে সিসিটিভির ভবিষ্যৎ কর্ম সমিতির সিদ্ধান্তের হাতে, জানালেন নয়া উপাচার্য
জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষতা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সেটাও উপাচার্যকে দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল । ছাত্র-ছাত্রী ও সিভিল সোসাইটি ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ও ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয় সামনে আসার জেরে যেন ভয়ে না পেয়ে থাকে, সেই বিষয়টাও দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের যা গাইডলাইন রয়েছে ব়্যাগিং সংক্রান্ত, সেগুলি 200 শতাংশ পালন করার জন্যও বলা হয়েছে বৈঠকে । যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে অবিলম্বে যেন রাজভবন সঙ্গে যোগাযোগ করেন উপাচার্য, সেই নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ।