কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: ফের তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত । 6 দিনের জেল হেফাজত হয়েছে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর (Firhad Reacts on Nawsad Allegation)। তিনি অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে । সেই অভিযোগের উত্তরে নওশাদ সিদ্দিকীকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদাহরণ টেনে ধর্মকে হাতিয়ার না করার (Do not use religion as tool for politics) হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম ।
নওশাদের জামিনের আবেদন খারিজ: ভাঙড় ও কলকাতায় গন্ডগোলের জেরে ধর্মতলা মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে (Nawsad Siddique Latest News)। প্রথমে তাঁর পুলিশ হেফাজত হয় । এর পর আজ তাঁকে আদালতে তোলা হলে ফের তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী । জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক ।
তৃণমূলের তক্রান্ত বলে অভিযোগ নওশাদের: জামিনের বিরোধিতা করার প্রসঙ্গে এ দিন ধৃত বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল চক্রান্ত করছে । পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ঘটনা ও একাধিক দলীয় নেতা কর্মীদের ধরপাকড় বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের সামনে প্রভাব ফেলতে পারে দলের কর্মীদের উপর, এমন অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ।
নওশাদকে পালটা ফিরহাদের: এ দিন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim Latest News) নওশাদের চক্রান্ত করার অভিযোগকে খারিজ করে পালটা তোপ দেগেছেন ৷ তিনি বলেন, "রাজনীতি করতে গেলে মাঠে নেমে রাজনীতি করতে হবে । ধর্ম অবলম্বন করে রাজনীতি করা ঠিক না । তাহলে আপনার সঙ্গে আর বিজেপি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে তফাৎ কোথায় ?"
আরও পড়ুন: 'পঞ্চায়েতে হারের ভয়েই আমাকে আটকে রাখা !' তোপ নওশাদের
'ধর্ম অবলম্বন করে রাজনীতি ঠিক নয়': ফিরহাদ আরও বলেন, "রাজনীতি করতে নেমেছেন । আমরাও আন্দোলন করেছি গ্রেফতার হয়েছি, জেলে গিয়েছি । আপনি যদি ধর্মীয় নেতা হন, তাহলে ধর্ম নিয়ে থাকুন । আর রাজনীতি করলে তাহলে রাজনৈতিক ময়দানে থাকতে হবে । ধর্মকে অবলম্বন করে রাজনীতি করাটা ঠিক নয় ৷ যে দল সারা রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট করে একটা মাত্র আসন পেয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস তাকে নিয়ে ভাববে ? এগুলো হচ্ছে গায়ে মানে না, আপনি মোড়ল ।"
দিলীপকে জবাব ফিরহাদের: এ দিকে, দিলীপ ঘোষের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে মন্তব্যের পালটা জবাব দিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "তাহলে বাংলা থেকে একজনও সাংসদ সংখ্যালঘুদের থেকে নেই কেন বিজেপিতে ? কেন উত্তরপ্রদেশ থেকে একজনও সংখ্যালঘু সাংসদ নেই বিজেপির ? কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একজনও সংখ্যালঘু মুখ নেই ? তাহলে এটা ধর্মীয় পার্টি নাতো কী ? আসলে সও চুহে মারকে বিল্লি হজ কো চলি । বিজেপির অবস্থা তাই হয়েছে । কী করে সংখ্যালঘু ভোটকে নেওয়া যায় ! কিন্তু আমরা জানি কারা দু হাজর লোককে খুন করেছেন, কারা দিল্লিতে এত বড় হত্যালীলা চালিয়েছেন । তাই মানুষ জানে যে, যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ পথে চলেন, তাঁরা কখনওই বিজেপিকে সমর্থন করবেন না ৷"