কলকাতা, 21 জানুয়ারি: আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে সকাল থেকেই ভাঙড় ছিল থমথমে ৷ দফায়-দফায় অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ 24 পরগণার গ্রাম ৷ বিকেল গড়াতে ভাঙড়ে অশান্তিক আঁচ এসে পড়ল শহরেও ৷ এক্ষেত্রে আইএসএফের সঙ্গে পুলিশি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে হয়ে উঠল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা (ISF-Police Clash at Dharmatala in Kolkata) ৷ শনিবার ছিল আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সেই উদ্দেশে এদিন ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সভার আয়োজন করা হয়।
ঘটনাক্রমে এদিন সকালে ভাঙড়ের ঘটনার জেরে এদিন ধর্মতলায় ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সভা অবস্থান বিক্ষোভের আকার নেয় ৷ সেই সভায় পুলিশি হস্তক্ষেপেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পালটা ইটবৃষ্টি শুরু করে ৷ আইএসএফ কর্মীদের ঠেকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল ৷ মঞ্চ থেকে টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে । গ্রেফতার করা হয় তাঁকে ৷ আরও ঘোরালো হয় পরিস্থিতি ৷ ধর্মতলায় মোতায়েন হয় আরও পুলিশ বাহিনী। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। কার্যত অবরুদ্ধে হয়ে পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র ৷ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের লাগাতার কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ বেশ কিছু সময় পর পরিস্থতি স্বাভাবিক করে। ধর্মতলা চত্বরে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল ।
এদিন সকালে দক্ষিণ 24 পরগনার হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয় তৃণমূল-আইএসএফের। পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলা হয়। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারির দাবি করেন। পালটা গাড়িতে হামলা চালানো, নওশাদ সিদ্দিকীকে আক্রমণ করার অভিযোগে আরাবুল ইসলামেরও গ্রেফতারির দাবি করে আইএসএফ। ধর্মতলার সভা থেকেই আরাবুলকে গ্রেফতার করার দাবি করেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে জখম 4
নওশাদ সিদ্দিকীর দাবি, এদিন তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় আরাবুল ইসলাম অনুগামীরা ৷ গাড়ির কাঁচ ভালো না-হলে তাঁর ড্রাইভার প্রাণে নাও বাঁচতে পারতেন বলে দাবি নওশাদের ৷