কলকাতা, 18 মার্চ: ডিএ আন্দোলনে এবার সামিল হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ ডিএ-এর দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের পথেই অনড় রাজ্য় সরকারি কর্মীরা ৷ সরকারের একাধিক হুঁশিয়ারি এবং রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেও প্রাপ্য় মহার্ঘভাতার জন্য় এখনও রাস্তায় বসে আছেন রাজ্য় সরকারি কর্মীরা ৷ এবার তাঁদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ধরনা মঞ্চে (DA Agitation) গেলেন নওশাদ ৷
শহিদ মিনারের পাদদেশে চলছে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন। আজ তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ 51 তম দিনে পড়ল। তবে শুধু অবস্থান বিক্ষোভ নয়, গত 37 দিন ধরে অনশনও করছেন তাঁরা। পাশাপাশি এদিন সরকারি কর্মীরা ডিজিটাল অসহযোগিতার (Digital Non-Cooporation) কর্মসূচিও নিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সকলেই আজ গণ অনশনে থেকেছেন। আর তাঁদের এই আন্দোলনেই এদিন সামিল হয়েছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আইএসএফ বিধায়ক-সহ সকলেই এদিন কালো ব্যাজ পরে এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।
এদিন ডিএ আন্দোলনে সামিল হয়ে নওশাদও 12 ঘন্টার অনশন (Hunger Strike) করেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, "এটা শুধু ডিএ আন্দোলন নয়, এই আন্দোলনে বহু দাবি তোলা হয়েছে ৷ ওরা আমাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন ৷ সে কারণেই আজ আমি এসেছি। আমি বলব যুবদের এই আন্দোলনে সামিল হতে। সরকার এঁদের সমস্যার সমাধান না-করে কুরুচিকর মন্তব্য করছেন শুধু।"
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তলব সিবিআইয়ের
ডিজিটাল অসহযোগিতা বলতে সরকারি কর্মীরা এদিন জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যে সমস্ত কাজ তাদের কাছে আসছে। তারা সে ধরনের কোনও কাজ করবেন না। আন্দোলনে সামিল সন্দীপ ঘোষ বলেন, "সরকার আমাদের কোনও কম্পিউটার দেননি। আমরা আমাদের নিজস্ব ফোনে সরকারি কাজ করি। অতএব আমরা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করি। কিন্তু সরকার তা করে না। তাই আমরা সরকারি হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেছি। আমরা ঠিক করেছি হোয়াটসঅ্যাপে আর কোনও কাজ আমরা করব না।"
প্রসঙ্গত গত 10 তারিখ ধর্মঘট পালন করেছে সরকারি কর্মীরা (Govt Employee)। কিছুদিন কর্ম বিরতিও পালিত হয়। তবে এখনও সরকারের তরফে কোনও সদুত্তর দেয়নি এই ডিএ-র বিষয়। তবে সরকারি কর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকার তাদের দিক বিবেচনা না করে তাহলে পঞ্চায়েত ভোটে তারা কোনও সরকারি কর্মীকে পাবেন না।