কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর যে তদন্তকারী আধিকারিক গ্রেফতার করেছিলেন, এবার লালন শেখ মৃত্যুর (Lalan Sheikh Death Case) ঘটনায় সেই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করল সিআইডি । ওই সিবিআই আধিকারিকের নাম সুশান্ত ভট্টাচার্য । এছাড়াও এফআইআর কপিতে নাম রয়েছে সিবিআই-এর ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক এবং একজন এসপি'র ।
এর আগে মৃত লালন শেখের স্ত্রী বারবার অভিযোগ করেছেন যে, লালন শেখকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে টাকাপয়সা চেয়েছিল সিবিআই'য়ের গোয়েন্দারা । ফলে অভিযুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও দায়ের করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা । এই সুশান্ত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই । ফলে অনেকেই মনে করছেন যে বর্তমানে গরুপাচার মামলায় হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের মামলা হালকা করতে এবং তদন্তকারী আধিকারিককে বাগে আনতেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে সিআইডি ।
আরও পড়ুন: লালন শেখ মৃত্যুর ঘটনায় এবার সিবিআই'য়ের বিরুদ্ধে তদন্তে সিআইডি
ভবানী ভবন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রত্যেক আধিকারিকদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে এবং প্রয়োজন পড়লে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলা হবে এবং তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে । এদিন সকালে সিআইডির একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল কলকাতা থেকে রামপুরহাটে গিয়ে গোটা ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করবেন । পাশাপাশি সিবিআইয়ের রামপুরহাটের ওই অস্থায়ী ক্যাম্পে আজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা যাবেন এবং নমুনা সংগ্রহ করবেন ।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে রামপুহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে মৃত্যু হয় লালন শেখের ৷ চলতি মাসেই বগটুই কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ সিবিআই হেফাজতে কীভাবে লালনের মৃত্যু হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ যদিও সিবিআইয়ের দাবি, স্নানঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ ৷ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি এফআইআর দায়ের করেছেন ৷ এরপরই লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তভার নিল সিআইডি (CID) ৷
আরও পড়ুন: 50 লক্ষ ঘুষ না দেওয়াতেই লালনকে খুন, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীর