ETV Bharat / state

Primary Teacher Recruitment Scam: 2016 প্রাথমিকে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি, হাইকোর্টে লিখিত জানালেন ইন্টারভিউয়াররা

author img

By

Published : Feb 24, 2023, 2:33 PM IST

কোনওরকম অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি 2016 সালের প্রাথমিক নিয়োগে (2016 Primary Recruitment)৷ হাইকোর্টে লিখিতভাবে জানালেন ইন্টারভিউয়াররা ৷

Etv Bharat
হাইকোর্ট

2016 প্রাথমিক নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য

কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: 2016 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আলাদা করে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি (No Aptitude Test in 2016 Primary TET)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এই কথাই লিখিতভাবে জানিয়েছেন একাধিক ইন্টারভিউয়ার । 2016 সালে প্রায় 42 হাজার নিয়োগ হয়েছিল । যার মধ্যে অর্ধেক নিয়োগই ইচ্ছে মতো নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে বলে দাবি মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির ।


শুক্রবার তিনি লিখিত নথি দেখিয়ে জানান, 2016 সালে যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই হাইকোর্টে এসে জানিয়েছেন তাঁদেরকে আলাদা করে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিতেই বলা হয়নি । অথচ অ্যাপটিটিউড টেস্টের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে 5 নম্বর দেওয়া হয় । তাহলে এই নম্বর দেওয়া হল কোথা থেকে ? কীভাবে ? এটাই প্রশ্ন মামলাকারীদের ।

2016 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আদৌ অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । কিন্তু পর্ষদ যে হলফনামা দেয় তাতে দেখা যায় ইন্টারভিউতে যে রকম তিন চারটি প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় তার বাইরে কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি । এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই টেস্ট নেওয়া হয়েছিল কিনা জানতে বিভিন্ন জেলায় যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন সেই ইন্টারভিউয়ারদের হাইকোর্টে ডেকে পাঠান । এর জন্য তাদের যাতায়াতের খরচ বাবদ দূরের জেলার ক্ষেত্রে 2 হাজার আর কাছের হলে 500 টাকা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দিতে নির্দেশও দেন তিনি ।

বিচারপতির নির্দেশ মতো গত 21 ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন জেলা থেকে হাইকোর্টে এসেছিলেন অন্তত 30 জন । তাদের মধ্যে 25 জন লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাদেরকে আলাদা করে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার কথা বলা হয়নি । এই বিষয়ে তরুণজ্যোতির বক্তব্য, "এটা আর একটা বড় জালিয়াতি । যদি অ্য়াপটিটিউড টেস্ট না নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেই 5 নম্বর কীভাবে দেওয়া হল ? অন্তত 25 হাজার প্রার্থীকে এই নম্বর ইচ্ছেমতো দিয়ে পাশ করিয়ে চাকরিতে ঢোকানো হয়েছে । এই বিষয়টি আদালতে তুলে ধরা হবে ৷" উল্লেখ্য, ওই বছরে যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে থেকে আগামী সপ্তাহে আরও এক দফা বিভিন্ন জেলার ইন্টারভিউয়ারদের সঙ্গে কথা বলবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।

আরও পড়ুন : প্রাথমিকে নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে প্রশ্ন, ইন্টারভিউয়ারদের তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

2016 প্রাথমিক নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য

কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: 2016 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আলাদা করে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি (No Aptitude Test in 2016 Primary TET)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এই কথাই লিখিতভাবে জানিয়েছেন একাধিক ইন্টারভিউয়ার । 2016 সালে প্রায় 42 হাজার নিয়োগ হয়েছিল । যার মধ্যে অর্ধেক নিয়োগই ইচ্ছে মতো নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে বলে দাবি মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির ।


শুক্রবার তিনি লিখিত নথি দেখিয়ে জানান, 2016 সালে যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই হাইকোর্টে এসে জানিয়েছেন তাঁদেরকে আলাদা করে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিতেই বলা হয়নি । অথচ অ্যাপটিটিউড টেস্টের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে 5 নম্বর দেওয়া হয় । তাহলে এই নম্বর দেওয়া হল কোথা থেকে ? কীভাবে ? এটাই প্রশ্ন মামলাকারীদের ।

2016 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আদৌ অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । কিন্তু পর্ষদ যে হলফনামা দেয় তাতে দেখা যায় ইন্টারভিউতে যে রকম তিন চারটি প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় তার বাইরে কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি । এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই টেস্ট নেওয়া হয়েছিল কিনা জানতে বিভিন্ন জেলায় যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন সেই ইন্টারভিউয়ারদের হাইকোর্টে ডেকে পাঠান । এর জন্য তাদের যাতায়াতের খরচ বাবদ দূরের জেলার ক্ষেত্রে 2 হাজার আর কাছের হলে 500 টাকা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দিতে নির্দেশও দেন তিনি ।

বিচারপতির নির্দেশ মতো গত 21 ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন জেলা থেকে হাইকোর্টে এসেছিলেন অন্তত 30 জন । তাদের মধ্যে 25 জন লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাদেরকে আলাদা করে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার কথা বলা হয়নি । এই বিষয়ে তরুণজ্যোতির বক্তব্য, "এটা আর একটা বড় জালিয়াতি । যদি অ্য়াপটিটিউড টেস্ট না নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেই 5 নম্বর কীভাবে দেওয়া হল ? অন্তত 25 হাজার প্রার্থীকে এই নম্বর ইচ্ছেমতো দিয়ে পাশ করিয়ে চাকরিতে ঢোকানো হয়েছে । এই বিষয়টি আদালতে তুলে ধরা হবে ৷" উল্লেখ্য, ওই বছরে যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে থেকে আগামী সপ্তাহে আরও এক দফা বিভিন্ন জেলার ইন্টারভিউয়ারদের সঙ্গে কথা বলবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।

আরও পড়ুন : প্রাথমিকে নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে প্রশ্ন, ইন্টারভিউয়ারদের তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.