ETV Bharat / state

আগামীকালই হুগলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য - হুগলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতে চলেছে

13 মে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জন্য শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমা এলাকায় বন্ধ হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । কিন্তু লকডাউনে দিনের পর দিন এভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে পারে না সরকার । এমন দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয় । এরপর আজ হাইকোর্টে রাজ্যের আইনজীবী জানিয়ে দেন, আগামীকালই হুগলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 16, 2020, 3:32 PM IST

কলকাতা, 16 মে : আগামীকালই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় । রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে আজ একথা জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনেরাল । তিনি জানান, হুগলি জেলার যে অংশে অশান্তি ও হিংসার কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল সেখানকার পরিস্থিতি এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে । তাই পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রশাসন আগামীকাল ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করবে ।

13 মে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমা এলাকায় বন্ধ হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । সোশাল মিডিয়ায় যেভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ছবি ভাইরাল হচ্ছিল তাতে উদ্বিগ্ন ছিল প্রশাসন । এরপরই হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও একটি নির্দেশিকা জারি করে জানান, 12 মে থেকে 17 মে পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে । অন্যান্য ইন্টারনেট কম্পানি ও কেবলের নেটও বন্ধ করা হচ্ছে দু'টি মহকুমা এলাকায় । চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর এবং শ্রীরামপুরের মধ্যে শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, ডানকুনি, চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়া এই থানা এলাকাগুলিতে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা ।

কিন্তু লকডাউনে দিনের পর দিন এভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে পারে না সরকার । এমন দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয় ।একটি মামলা করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । পাশাপাশি আইনজীবী সৌমাভ মুখোপাধ্যায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লেখেন । হাইকোর্ট চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গ্রহণ করে । আরও একটি মামলা হয় একই দাবিতে । তিনটি মামলারই প্রথম শুনানি হয় গতকাল । কিন্তু অ্যাডভোকেট জেনেরাল রাজ্যের তরফে কোনও বক্তব্য জানাতে পারেননি বলে আজ জরুরি ভিত্তিতে ফের শুনানি হয় মামলাটির ।

মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের সবকিছু ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নির্ভরশীল । খাবার- দাবারের অর্ডার হোক বা ঘরে বসে কাজ করা । এমনকী ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা মানে সাধারণ মানুষ থেকে আইনজীবী, সবাই আইনি পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত থাকতে বাধ্য হবেন । এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল, ডাক্তারদের সঙ্গেও যোগাযোগের সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট না থাকলে । যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে আজ জানানো হয়, গুজব ছড়িয়ে যাতে হিংসা পরিস্থিতির আরও অবনতি না হয় সেই জন্যই প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । তবে হুগলির ওই অংশে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক । তাই আগামীকাল থেকে সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে ।

তবে প্রধান বিচারপতি টিবি এন রাধাকৃষ্ণন ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আজ মামলাটির নিস্পত্তি করে দেননি । আগামী শুক্রবার আবার মামলাটির শুনানির জন্য রাখা হয়েছে ।

কলকাতা, 16 মে : আগামীকালই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় । রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে আজ একথা জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনেরাল । তিনি জানান, হুগলি জেলার যে অংশে অশান্তি ও হিংসার কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল সেখানকার পরিস্থিতি এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে । তাই পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রশাসন আগামীকাল ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করবে ।

13 মে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমা এলাকায় বন্ধ হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । সোশাল মিডিয়ায় যেভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ছবি ভাইরাল হচ্ছিল তাতে উদ্বিগ্ন ছিল প্রশাসন । এরপরই হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও একটি নির্দেশিকা জারি করে জানান, 12 মে থেকে 17 মে পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে । অন্যান্য ইন্টারনেট কম্পানি ও কেবলের নেটও বন্ধ করা হচ্ছে দু'টি মহকুমা এলাকায় । চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর এবং শ্রীরামপুরের মধ্যে শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, ডানকুনি, চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়া এই থানা এলাকাগুলিতে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা ।

কিন্তু লকডাউনে দিনের পর দিন এভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে পারে না সরকার । এমন দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয় ।একটি মামলা করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । পাশাপাশি আইনজীবী সৌমাভ মুখোপাধ্যায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লেখেন । হাইকোর্ট চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গ্রহণ করে । আরও একটি মামলা হয় একই দাবিতে । তিনটি মামলারই প্রথম শুনানি হয় গতকাল । কিন্তু অ্যাডভোকেট জেনেরাল রাজ্যের তরফে কোনও বক্তব্য জানাতে পারেননি বলে আজ জরুরি ভিত্তিতে ফের শুনানি হয় মামলাটির ।

মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের সবকিছু ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নির্ভরশীল । খাবার- দাবারের অর্ডার হোক বা ঘরে বসে কাজ করা । এমনকী ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা মানে সাধারণ মানুষ থেকে আইনজীবী, সবাই আইনি পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত থাকতে বাধ্য হবেন । এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল, ডাক্তারদের সঙ্গেও যোগাযোগের সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট না থাকলে । যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে আজ জানানো হয়, গুজব ছড়িয়ে যাতে হিংসা পরিস্থিতির আরও অবনতি না হয় সেই জন্যই প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । তবে হুগলির ওই অংশে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক । তাই আগামীকাল থেকে সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে ।

তবে প্রধান বিচারপতি টিবি এন রাধাকৃষ্ণন ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আজ মামলাটির নিস্পত্তি করে দেননি । আগামী শুক্রবার আবার মামলাটির শুনানির জন্য রাখা হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.